৩৬৫দিন। ভূপতিনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে গণ প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার ভূপতিনগরে অভিষেকের নির্দেশে যান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন জনসভার মঞ্চ থেকে এলাকার মহিলাদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেতৃত্বের পরামর্শ,যখন দেখবেন রাতের অন্ধকারে ছদ্মবেশী ভজপা লুটেরারা এসে হামলা করছে, ঠিক তখনই শাঁখ বাজিয়ে-উলুধ্বনি দিয়ে গোটা এলাকাকে জাগিয়ে দেবেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্ররোচনায় পা দিয়ে আইন নিজেদের হাতে না তুলে নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন।একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এলাকায় ঢুকলে যথাযথ আইনি কাগজ খতিয়ে দেখারও কথা বলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কুণাল ঘোষ বলেন, তৃণমূল পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে ভূপতিনগরের পাশে রয়েছে। বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে তালিকা নিয়ে এনআইএ এলাকায় ঢুকে তৃণমূল নেতাদের রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে যাবে, তা মেনে নেওয়া হবে না। এমসিসি লাগু হওয়ার পর বিজেপির নেতা এনআইএ-র এসপির বাড়িতে ঢুকে তালিকা দিয়ে এসেছেন, ভূপতিনগরে কাদের গ্রেফতার করতে হবে। ইতিমধ্যেই আমরা তা দেখিয়ে দিয়েছি। এর পিছনে রয়েছে গদ্দার অধিকারী। এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। দলের ১০ জনের কমিটি নির্বাচন কমিশনে যাবে। যারা প্রকৃত দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এনআইএ’ র হাতে ধৃত ২ তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানা ও বলাইচরন মাইতির স্ত্রীকে এদিনের জনসভার মঞ্চে এনে সংবর্ধনা দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব।কুণাল ঘোষ ও চন্ডিমা ভট্টাচার্য ছাড়াও ভূপতি নগরের সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সভাপতি পীযুষ কান্তি পন্ডা ও কাঁথি লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক।
এনআইএ’ এর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এফআইআর
এনআইএ তল্লাশির নামে শনিবার ভোররাতে বাড়িতে হানা দিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ ।শনিবার রাত্রে ভূপতিনগর থানায় এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে অভিযোগ অভিযোগ দায়ের করেছে ধৃত তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানার স্ত্রী মনি জানা। ইতিমধ্যেই এনআইএ এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মনোব্রত জানার স্ত্রী মনি জানার অভিযোগ, ভোররাতে যখন ঘুমাচ্ছিলেন তখন বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে এনআইয়ের দল ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে তল্লাশির নামে গোটা বাড়ি তছনছ করে দেয় লণ্ডভণ্ড করে দেয়।এবং তার স্বামীকে টেনে হিচড়ে তুলে গলা ধরে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাইরে নিয়ে যায়। তার স্ত্রী মনি জানা বাধা দিতে গেলে তাকেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ তাকে লাথি মারে তার গায়ের বস্ত্র ছিঁড়ে দেয়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় সামরিক বাহিনীসহ এনআইয়ের আধিকারিকরা। চিৎকার শুনে প্রতিবেশী মহিলারা যখন ছুটে আসেন দেখেন মনি জানা লাথির ঘায়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে আছে মাটিতে। তাকে রক্ষা করতে পাড়ার অন্যান্য মহিলারা চেষ্টা করলে তাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ লাথি মারে হেনস্থা করে। এমন অভিযোগ ভূপতিনগর থানায় লিখিতভাবে করেছেন মনি জানা।তৃণমূলের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, মনোব্রতর বাড়ি থেকে এনআইএ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে তারা শ্লীলতাহানি করেছে।তদন্ত করে দেখা হবে।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ৩৫৪ ধারায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
