মমতার তীব্র আক্রমণ আপনি বিচারব্যবস্থার কলঙ্ক
মেদিনীপুরে তৃণমূল প্রার্থীর ভোট প্রচার করে মমতা তমলুকে এলেন প্রচার করতে। যেভাবে ২৬০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হল এই প্রসঙ্গেই দুটি জনসভা থেকেই একদিকে যেমন নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র সমালোচনা করলেন অন্যদিকে নাম না করেই তমলুক বিধানসভা কেন্দ্রে ভাজপা প্রার্থী জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলীর তীব্র আক্রমণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এদিন মমতা যা বললেন,
১. আর যিনি এখানে দাঁড়িয়েছেন তিনি ভাবছেন এটাও বিচারালয়। তাই তিনি বলছেন পদ ত্যাগ করতে হবে। আমি বলি আগে নিজে দেহ ত্যাগ করুন তারপর পদ ত্যাগের কথা বলবেন। আপনি বিচারালয়ের কলঙ্ক। আপনি বিচারালয়কে কালিমা লিপ্ত করেছেন। আপনার কোন অধিকার নেই মানুষের কাছে এসে মানুষের কথা বলবার। ছিলেন তো বিকাশ ভট্টাচার্যের জুনিয়র, যিনি সবার চাকরি খান। আর এখন হয়েছেন গদ্দারের জুনিয়র না সিনিয়ার তা জানিনা। মমতা ব্যানার্জিকে গালাগালি দেওয়া তো অনেক দূরের কথা। আগে দেবাংশুর সাথে লরুন। অন্যপ্রার্থীকে এখানে আমরা দিইনি, কারণ তুমি এক কথায় সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের চাকরি খেয়েছো। দেবাংশুকে আমি বলবো যাদের চাকরি গেছে সেই পরিবারগুলোকে নিয়ে এসে – তাদের দুঃখের কথা মানুষের কাছে বলবেন। প্রশাসন কোর্টে গেছে ছাত্রছাত্রীরা ও গেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা থাকবে কোথায়, পড়াশুনা করবে কোথায়, মানুষ তৈরি হবে না গদ্দার তৈরি হবে? দেবাংশুকে পাঠিয়েছি এখানে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে। ওকে আমি দাঁড় করিয়েছি ও আগামী দিনে মেদিনীপুর জেলাকে সাফ সূত্র করবে।
২. যাকে প্রার্থী করেছেন মহানুভব। একেবারে ঈশ্বরের পরেই উনি। নাকি ঈশ্বরের ওপরে হবে? কথায় কথায় ছাত্র-ছাত্রীদের চাকরি খে তেন। শ্রমের পরিবর্তে টা কখনো ফেরত পাওয়া যায়। এর কৈফিয়ত আমি চাই দিতে হবে। আর যিনি এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি খাওয়ার বিরুদ্ধে প্রথম কলম নেড়েছিলেন তিনি দেমাংশুর বিরুদ্ধে লড়ছেন। আগামী দিনে কোন বিচার পাবেন? যিনি বিচারকের আসনে বসে বিজেপির সঙ্গে কথা বলতেন নিজেই বলেছেন, সবার চাকরি খেতেন, আর বিজেপি করতেন। তাকে বিতাড়িত করে দিন।
৩. আসল কাজটা হলো এরা যেন কেউ ভোটে কাজ করতে না পারে। আমাদের সেন্ট্রাল এজেন্সির লোকেরা যেন ভোটে কাজ করতে পারে। তাই বাংলার ছেলেমেয়েদের ওরা কেউ বিশ্বাস করে না। সাহস থাকা ভালো, দুঃসাহস থাকা ভালো নয়। তাই বাংলায় এত ফেজে নির্বাচন হচ্ছে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করে বলবো কোন কোন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছেন তার তালিকা প্রকাশ করুন। লক্ষ্য পার্সেন্ট বাংলায় কেন দিয়েছেন বাংলাটাকে দখল করবেন বলে?
৪. আর গদ্দার এখন তো দেখছেন গভমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট উনি। সিবিআই কার বাড়ি যাবে সেটা উনি ঠিক করেন। কাকে কাকে জেলে ভরবেন সেটাও উনি ঠিক করবেন। কার কার চাকরি খাবেন সেটাও উনি ঠিক করবেন। ওনার এক পকেটে বোমা আর এক পকেটে সিবিআই এজেন্সি আর ইডি।
৫. নিজেই বলেছে ২৬ হাজার লোকের চাকরি খেয়ে নেব। এটা গর্বের? ২৬ হাজার ছেলেমেয়েদের যারা স্কুলে পড়ায় তাদের চাকরি খেয়ে নেওয়াটাকে আপনারা সমর্থন করেন? আজ যদি নিজেদের ঘরে ছেলে মেয়ে হতো তাহলে কি হতো? এই রায়টা যে বেরোবে, তুমি ৪৮ ঘন্টা আগে জানলে কি করে? তুমি কি রায়টা রেখে দিয়েছিলে না তোমার পার্টি অফিস থেকে লিখে দিয়েছিল? এই যে আড়াই লক্ষ পরিবার একজনের কিছু হলে তোমার বাড়ির সামনে কিন্তু এরা আসবে এসে বিচার চাইবে। মেদিনীপুরের ছেলেমেয়েরাও আছেন তো এর মধ্যে? আমরা কিন্তু আপনাদের সঙ্গে আছি। আমি এর শেষ দেখতে চাই।
৬. আমি নন্দীগ্রামের দিনগুলিতে আপনাদের জেলার কোন নেতা-নেত্রীদের দেখিনি।
৭. আনিসুর পাঁশকুড়ার ছেলে যে এখন জেলে আছে এইখানকার গদ্দারটার জন্য।
৮. তোর স্কুটার কিংবা বাইক আছে। আনিসুর বলল হ্যাঁ দিদি বাইক আছে। আমি বললাম কাউকে কিছু বলবি না। আমরা গ্রামের রাস্তা দিয়ে তমলুক পর্যন্ত পৌঁছালাম জেলা হাসপাতালে।
৯. এভাবে যখন গেলাম কেউ বেরোয়নি না পিতা না পুত্র। তারপর অনেক জল হলদি নদী দিয়ে বয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত কোন বিচার পাইনি মানুষ। কল্যানরা সিবিআই করলেও আজ পর্যন্ত মানুষ কোন বিচার পায়নি। দশ দিন পিতা পুত্র বাইরে বেরোয়নি। আমাকে বইতে লিখতে হয়েছিল। তখন ওরা দলে ছিল। এখন লিখতে হলে আমি ওটা সংশোধন করে দেবো।
১০. তৃণমূলের বিরুদ্ধে যখন লড়াই হচ্ছে তখন ভোটে দাঁড়িয়েছিল অখিল গিরি। বাপ বেটা মাটি মাপ ছিল।