হাইলাইট
।।১ মের বদলে ১ এপ্রিল থেকে ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত।।পিএমএলএ আইনে ইডির যাকে খুশি গ্রেফতার নয়, কোর্টে তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অনুমতি নিতে হবে।।সংবাদ মাধ্যম ভুল বোঝাচ্ছে, জোটে ছিলাম, আছি, ইন্ডিয়া জোট দিয়েই সরকার গড়ব।।ওরা রবীন্দ্রনাথের ছবি উল্টো ধরে, ওরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, ওরা বাঙালি বিরোধী বাংলার সংস্কৃতি জানে ।।মোদি নয়, এবার দিদি ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে দিল্লিতে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে, গতকাল পর্যন্ত আমাদের হিসেব ওরা ১৯৫, ইন্ডিয়া জোট ৩১৫।।মরিয়া রেখার মিশন তৃণমূল পেটাও।।লড়াই চলছে, ওরা পারলে আমাকে মেরে ফেলতেও পারে।।শুভেন্দুদা না থাকলে সন্দেশখালিতে এতবড় অপারেশন করা যেত না, তৃণমূলকে ফাঁসাতে ৭২ মহিলাকে ২০০০ টাকা করে দিয়ে।।রাজ্যপালের আরও কেলেঙ্কারি আছে পাশে বসাও পাপ, অনেক প্রমাণ আছে, রাজ্যপাল পদত্যাগ করুন আমি আর রাজভবনে যাব না।।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুমকি দিচ্ছেন বিরোধীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখব, শাহ’র সঙ্গে একমঞ্চে কয়লা মাফিয়া জয়দেব।।কেজরির জামিন মঞ্জুর ।।সন্দেশখালি বোঝাল, পাপ তার বাপকেও ছাড়ে না মিথ্যা ধর্ষণ ফাঁস করল বিজেপির লোকেরাই, বুথ পিছু ৫ মহিলার বঙ্গজননী বাহিনী এবার প্রতি ঘরে যাবে।।চমকাইতলা, আরামবাগে সিপিএম খুন করে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ডেডবডি পাচার করত।।ভারতরত্ন চাই না, বাংলার মমতারত্ন পেলেই গর্বিত।।হাইকোর্টের রায়ে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ কারও চাকরি যাচ্ছে না

১ মের বদলে ১ এপ্রিল থেকে ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত

এগরায় মমতা ৩৬৫ দিন। মে মাসের ১ তারিখ থেকে সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়ার ঘোষণা আগেই করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এবার মে মাসের পরিবর্তে

Read More »

পিএমএলএ আইনে ইডির যাকে খুশি গ্রেফতার নয়, কোর্টে তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অনুমতি নিতে হবে

ইডির যথেচ্ছাচারে রাশ, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় ৩৬৫ দিন। নয়াদিল্লি। পিএমএলএ আইনে অভিযুক্ত দেখি য়ে যেকোনো রাজনৈতিক নেতাকে অথবা রাজনৈতিক নেতাদের গণিত ব্যবসায়ীদের নিজের ইচ্ছে

Read More »

সংবাদ মাধ্যম ভুল বোঝাচ্ছে, জোটে ছিলাম, আছি, ইন্ডিয়া জোট দিয়েই সরকার গড়ব

ইন্ডিয়া জোট নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা ৩৬৫ দিন। ‘বাংলায় নয়, সর্বভারতীয় স্তরে আমি ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছি, জোটে ছিলাম, আছি এবং ওই জোট

Read More »

ওরা রবীন্দ্রনাথের ছবি উল্টো ধরে, ওরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, ওরা বাঙালি বিরোধী বাংলার সংস্কৃতি জানে 

বাঙালির অপমানে গর্জে উঠলেন মমতা ৩৬৫ দিন। সন্দেশখালিতে বিজেপি যেভাবে চক্রান্ত করে বাংলার বিরুদ্ধে কুৎসা করেছে তা ‘নরেন্দ্র মোদির জঘন্য অপরাধ’ বলে বার্তা দিলেন বাংলার

Read More »

মোদি নয়, এবার দিদি ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে দিল্লিতে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে, গতকাল পর্যন্ত আমাদের হিসেব ওরা ১৯৫, ইন্ডিয়া জোট ৩১৫

বনগাঁয় মমতার গর্জন ৩৬৫ দিন। এবার আর মোদির সরকার দিল্লিতে ক্ষমতায় আসছে না। গতকালের হিসেব অনুযায়ী ১৯০ থেকে ১৯৫টি আসন তারা পাবে। ৩১৫ টির বেশি

Read More »

মরিয়া রেখার মিশন তৃণমূল পেটাও

সন্দেশখালিতে ৫০০০ টাকার ভুয়ো ‘ধর্ষিতা’ বাহিনীর কেচ্ছা ফাঁস হতেই ৩৬৫ দিন। সন্দেশখালি। প্রথমে ২০০০ টাকা মাথাপিছু দিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় স্তরের

Read More »
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

পূর্ণাঙ্গ কথোপকথন যা ভিডিওতে আছে

সন্দেশখালিতে স্টিং ভাজপা চক্রান্ত ফাঁস

 

৩৬৫ দিন। ৩২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের সন্দেশখালিতে ‘স্টিং অপারেশন’ চালিয়ে যে ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়েছে তার। কথোপকথন এর ট্রান্সক্রিপ্ট।

প্রশ্ন: শুভেন্দুদা তাঁর লোকদের দিয়ে টাকা পাঠালেন মোবাইল পাঠালেন। সব রকমের সহায়তা করছেন। খালি হাতে তো কিছু হয় না?

উত্তর না খালি হাতে কিছু হবে না।

প্রশ্ন: দাদা তুমি জানো তোমরা কী লেভেলের কাজ করেছ! রেপ হয় নাই। তাকে রেপ বলে চালিয়েছ।

উত্তরঃ (হাসতে হাসতে) শুভেন্দুদার নির্দেশেই আমরা এই কাজ করেছি। উনি আমাদের সাহায্য করেছেন। শুভেন্দুদা বলেছেন, এটা না করলে, তাবড় তাবড় লোকদের গ্রেফতার করানো যাবে না। আমরাও ওখানে দাঁড়াতে পারব না।

শুভঙ্কর গিরি ছেলেটা ভাল ছিল। কিন্তু টাকার গোলমালের জন্য ও পরে হটে গেল। ও-ই সবার ব্রেনওয়াশ করছিল।

প্রশ্ন গোটা বিষয়টি শুভেন্দুদা নিয়ন্ত্রণ করত?

উত্তর হ্যাঁ, উনিই সব নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ওঁর পিএ এক বার এসেছিল। পীযূষ না কী যেন নাম। এখানে তো খুব একটা আসত না। শুভঙ্করের হাত ধরে ঘুরে বেড়াত। আমাকে খুব একটা গুরুত্ব। দিত না। আমিও দিতাম না। ও যদি আমার সঙ্গে থাকত, শুভঙ্করকে আর লাগত না। আমি শুভেন্দুর পিএ-কে দিয়ে সব করাতাম।

প্রশ্ন শুভঙ্কর গিরি কে? ও তো এখানকার বিজেপির কনভেনর? ও-ই ব্রেনওয়াশ করত?

উত্তর ও আমাকে দিয়ে বলাত, এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে। ধর্ষণের অভিযোগ কী ভাবে কোথায় করতে হবে, আমাকে বলে দিত। আমি সেই মতো কাজ করাতাম।

প্রশ্ন মহিলারা রাজি হলেন কী ভাবে? মিথ্যা অভিযোগ লেখাতে কে রাজি করাল? যেটা হয়নি, তা-ও সেটা লিখল সবাই? ‘না’ বলল না?

উত্তর ‘না’ বলেনি কেউ। আমরা যা বলেছি, ওরা শুনেছে। ওদের বলেছিলাম, যদি আপনারা অভিযোগ না লেখান, তা হলে আপনাদের এই আন্দোলন সফল হবে না। এখানে আপনাদের। টিকতেও দেবে না। প্রথমে রেখা অভিযোগ দায়ের করল। তার পর ওকে দেখে অন্য মহিলারাও অভিযোগ করার সাহস পেল।

প্রশ্ন এটা কিন্তু আপনার ক্রেডিট দাদা…

উত্তর আমি প্রথমে তিন জন মহিলাকে জোগাড় করেছিলাম। কিন্তু তারা রাজি হয়নি। ভয় পেয়ে গেল। এসটি কমিশন এসেছিল। এসে প্রথমেই জুঁই সিংহের (নাম পরিবর্তন) খোঁজ করল। তাতে জুঁই ঘাবড়ে গেল। এসটি কমিশনার ভাল ছিলেন। বাংলা, আদিবাসী ভাষা সব বলতে পারেন। আমাকে ঘরে রেখে বাকিদের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। মাদুর পেতে বসতে বলেছিলেন। তার পর বলেছিলেন, এসটিদের সমস্যা একটাই, আমি দিল্লি থেকে এত দূর এসেছি, আপনারা আমাকে সত্যি কথা বলতে পারছেন না?

প্রশ্ন উনি তো জানতেন না বিষয়টা সাজানো। আসলে জুঁই ঘাবড়ে গিয়ে কিছু বলতে পারছে না। জুই তো জানে এটা মিথ্যা।

উত্তর (হাসতে হাসতে) হ্যাঁ, উনি বলছিলেন, তোমার কোনও ভয় নেই। কেউ তোমাকে কিছু বলবে না। থানা-পুলিশের আপনাকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা নেই। আমি পাশে আছি। কিন্তু ও ভয় পেয়ে গেল।

প্রশ্ন তোমরা ভাল করে ওকে ট্রেনিং দাওনি?

উত্তর ট্রেনিং দিয়েছিলাম। ভাল করে নিতে পারেনি। স্টুডেন্ট ভাল ছিল না। অন্যরাও ওকে ভয় দেখিয়েছিল, এটা করলে ফেঁসে যাবে। তাই। কিন্তু আমরা তো বলেছিলাম, সাত-আট মাস আগে ধর্ষণ হয়েছে বলতে। তা হলে আর মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যাপার থাকত না। এ সব আমাদের করতে হয়েছে। শুভঙ্কর ওখান থেকে ফোন করত আমি এখানে বসে এ সব করাতাম।

প্রশ্ন জুঁই কার কার নাম নিয়েছিল?

উত্তর শাহজাহানের (শাহজাহান শেখ) নাম, উত্তম সর্দারের নাম, শিবু হাজরার নাম।

প্রশ্ন দাদা, এটা রাজনীতি। যে কোনও উপায়ে জিততে হবে।

উত্তর আপনি আর শান্তনু মিলে সন্দেশখালির আন্দোলনটা টিকিয়ে রেখেছেন। শুধু আমরা দু’জনেই জানতাম আমরা কী করছি।

প্রশ্ন আপনারা যে ভাবে মহিলাদের ম্যানেজ করেছেন, দেখুন দাদা, এখন আপনার সঙ্গে আমাদের আড়াল করার কিছু নেই। উত্তর এখন তো আর আড়াল-আবডাল কিছু নেই। তা-ও তো ওরা হলে যে অ্যামাউন্ট আপনাদের বলত, আমি কি তা বলেছি? আমি বেশি বলিনি। আমার প্রয়োজন হলে আপনাদের বলব।

প্রশ্ন মেয়েরা কি এমনি এমনি বেরিয়েছে? এটা তো পরিষ্কার যে, মেয়েরা ধর্ষিতা হয়নি। তাদের আপনারা এটা বুঝিয়েছেন। এটা তাদের দিয়ে আপনারা করিয়েছেন।

উত্তর হ্যাঁ, ওদের সঙ্গে বসতে হয়েছিল। কথা বলতে হয়েছিল।

প্রশ্ন মেয়েরা কি জবানবন্দি দিয়েছিল? ক’জন দিয়েছিল? রেখা। ছাড়া আর কে দিয়েছিল? আপনার কাছে লিস্ট আছে?

উত্তর আছে সব লিস্ট। রেখা ছাড়াও অনেকে জবানবন্দি দিয়েছে।

প্রশ্ন এটা করতে মেয়েদের রাজি করানো কি কম কথা! এর পর যদি দল আপনাদের সঙ্গে বেইমানি করে, তার চেয়ে খারাপ কিছু। হবে না।

উত্তর আমাদের এখানে রাজ্য স্তরের নেতারা রয়েছেন। জেলার নেতারাও রয়েছেন। এমনকি, লোকসভার কনভেনরও এখানকার, সন্দেশখালির। বাণী (নাম পরিবর্তিত) নামের একটা মেয়ে ছিল। জবানবন্দি দিয়েছিল। আমিই ওকে ম্যানেজ করেছি। এর মধ্যে এখ ানকার একটা মেয়ে কোচবিহারে গিয়ে নাকি উল্টো দিয়ে এসেছে শুনলাম। বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছে। ও নাকি বলেছে, আমরা আন্দোলন করেছি, আমরা আর গুরুত্ব পাচ্ছি না। যারা করেনি, তাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কোচবিহারে যাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাদের কারা সব শিখিয়েছে, আমি জানি না।

প্রশ্নকর্তা একটা কথা বলুন, মেয়েদের কাছে ইজ্জত সবচেয়ে বড় জিনিস। সেটা নিয়ে তাদের মিথ্যা বলতে হচ্ছে। তার মানে সবাইকে কতটা বোঝাতে হয়েছে। কারণ সারা বাংলাতে জমি দখল তেমন গুরুত্ব পায় না। ধর্ষণ একটা বড় জিনিস।

উত্তর এসটি কমিশনার অনন্ত নায়েক এসেছিলেন। যেখান থেকে অভিযোগ হয়েছে, তিনি এসে সরাসরি সেই বাড়িতে ঢুকেছিলেন। কিন্তু মেয়েটাকে যা শিখিয়েছিলাম, ভাল করে বলতে পারেনি। (হাসি)

প্রশ্ন আপনারা কী বলতে বলেছিলেন? কী শিখিয়েছিলেন?

উত্তর ওকে বলতে বলেছিলাম, ধর্ষণ হয়েছে। ঘাবড়ে গিয়েছিল। সেটা বলতে পারেনি। জুঁই সিংহ ওর নাম। ও আন্দোলনে আছে এখনও।

প্রশ্ন এদেরকে আপনি সঙ্গে রাখুন। লোক দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিল হয়তো। কিন্তু কাজটা করতে রাজি তো হয়েছিল। এরা আবার কাউকে কিছু বলে আপনাকে না ফাঁসিয়ে দেয়। এদের আপনি হাতে রাখুন। এক জনও বেরিয়ে গেলে কিন্তু সর্বনাশ।

উত্তর না, ওরা কিছু বলবে না। শুভেন্দুদার কথাতেই আমরা সব করেছি। আমার মণ্ডল থেকে ১০-১৫ জন মহিলা আছে, যারা এই অভিযোগ করেছে।

প্রশ্ন এদের হাতে রাখুন। জুঁই, যে ঘাবড়ে গিয়েছিল, তাকে প্রথম তালিকায় রাখুন। এদেরকে টাকা দেওয়া হয়েছিল তো? কে টাকা পাঠিয়েছিল? শুভেন্দুদা?

উত্তর হ্যাঁ। শুভঙ্করের মাধ্যমে জুঁইকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। আমরা ওখানে যাইনি। কত টাকা দেওয়া হয়েছিল, আমরা জানি না। তবে শুনেছিলাম, ভাগাভাগিতে ত্রুটি ছিল। প্রশ্ন কত টাকা করে দেওয়া হয়েছিল? উত্তর দু’হাজার টাকা আমি শুনেছি।

প্রশ্ন এত কম? এত কাজ করল, মাত্র দু’হাজার পেল?

উত্তর হ্যাঁ। এমনকি, রেখাকেও টাকা দেওয়া হয়েছিল। ও তখনও প্রার্থী হয়নি। ও আর এক জনকে টাকা দিতে বলেছিল। তাকেও টাকা দেওয়া হয়েছিল।

প্রশ্ন যাঁরা ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের হাতে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে কিন্তু।

উত্তর হ্যাঁ, সেই জন্যই তো আপনারা এখানে এসেছেন।

প্রশ্ন মোট ৬০ জন মহিলা আছেন। প্রত্যেককে হাতে রাখার জন্য তিন হাজার করে দেওয়া হবে। কিন্তু দল পাঁচটি খেপে এই টাকা দিতে চায়। ৭০০, ৬০০, ৫০০, ৫০০; এ ভাবে শেষ দিন পর্যন্ত আমরা দিতে পারি। আমরা বার বার দিতে আসব টাকা। আজকালের মধ্যে একটা দিয়ে দেব। এ মাসের শেষে আর এক বার দেব। সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহে একটা, দ্বিতীয় সপ্তাহে একটা এবং তৃতীয় সপ্তাহে একটা দেব। এক এক জন মহিলা পাঁচ ভাগে মোট তিন হাজার টাকা পাবেন। যাঁরা অভিযোগ করেছেন, এবং যাঁদের মুখ টিভি বা ভিডিয়োতে প্রকাশ্যে এসেছে, তাদের আমরা এই টাকা দেব। এদের আগে নিরাপত্তা দিতে হবে।

একই ভিডিয়োতে এর পর জুই সিংহের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে।

প্রশ্ন মিথ্যা কেস দিয়ে কতটা ঝুঁকি নিয়েছেন?

জুঁই (উত্তর) সারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েছি।

প্রশ্ন আপনার পাশে দল না দাঁড়ালে দলের পাশে থাকবেন?

জুঁই (উত্তর) না।

প্রশ্ন এক জন মেয়ের কাছে সম্ভ্রম অনেক বড়। দলকে বাঁচাতে ওদের নামে মিথ্যা ধর্ষণের কেস দিয়েছেন। এসসি কমিশন যখন এসেছিল, ঘাবড়ে গিয়েছিলেন?

জুঁই (উত্তর) ঘাবড়ে গিয়েছিলাম তা নয়। আমাকে বোঝানো ভুল হয়েছে। আমার কাছে কাগজটা আছে। আমি তো এত ইংরেজি জানি না। ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়েছি। কাগজে যা লেখা ছিল, তা আমাকে বোঝানোর কথা ছিল। ওখানে শাহজাহান, শিবু হাজরাদের কথা লেখা ছিল। আমি বুঝিনি। ওই কাগজে লেখা ছিল শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার আমাকে ধর্ষণ করেছে। সেটা আমাকে ভাল ভাবে বোঝানো হয়নি। আমাকে যদি আগে পড়ে বুঝিয়ে দিত, তা হলে আমি রাজি হতাম। রাতের অন্ধকারে কাগজে আমাকে সই করে দিতে বলেছিল। করে দিয়েছিলাম। বুঝতে পারিনি। আমাদের বুথ সভাপতি ছিল। বিজেপির ছেলেরা দিয়েছিল কাগজ। এ দিকে, কমিশনার এসেছেন। সই তো হয়ে গিয়েছে। তার পরে বসিরহাটের বড়বাবু এবং এক জন ম্যাডাম আসেন। আমি বুঝতে পারি যে, বাঁচতে গেলে আমাকে মিথ্যা বলতে হবে। এরা যাতে না ধরা পড়ে আর আমি যাতে বাঁচি। আমি ওদের বললাম, আমি তো ইংরেজি জানি না। পড়াশোনা জানি না। শুধু নাম সই জানি। থানার বড়বাবু আমাকে এই কাগজ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন আমি বুঝি, বয়ান না মিললে আমার বিপদ, ছেলেগুলোরও বিপদ। তখন আমার মাথায় এল, আমাদেরই এক তৃণমূল কর্মী আমাকে মেরেছিল। সত্যিই মেরেছিল। আর কাগজে যে ধর্ষণের কথা বলা আছে, সেটা তো আমাকে বলেনি কেউ। কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে, আমি তো মিথ্যা বলতে পারি না। আমার বৌদি তখন মাঝে এসে গিয়েছিল। বৌদি বলে, ও বুঝিয়ে কথা বলতে পারে না। বুথ সভাপতি অশোক সই করিয়েছিল। ও নিজেও তো পড়াশোনা জানে না। না হলে তো আমিও একটা কেস ফাইল করতে পারতাম।

প্রশ্ন আপনারা কত জন অভিযোগ করেছিলেন?

জুঁই (উত্তর) এক জন শ্লীলতাহানির মামলা করেছিল। তার বর থানায় গাড়ি চালায়। এখন সে আমাদের ধারেকাছে আসে না। আমার নাম জুইরানি সিংহ (নাম পরিবর্তিত) এবং ওর নাম জুই সিংহ। তিন জন। জুঁই সিংহ রয়েছে।

– প্রশ্ন আপনাদের মদ পিছু কত টাকা করে দিতে হবে?

গঙ্গাধর (উত্তর) বুথ প্রতি মদের জন্য কত খরচ লাগছে, আপনি হিসাব নিয়ে রাখুন। পাঁচ হাজার করে দিলে হয়ে যাবে। এর থেকে বেশি চাইব না। আগে ভোটটা তো জেতাতে হবে।

প্রশ্নকর্তা মহিলা, পুরুষ মিলিয়ে পাঁচ হাজার?

উত্তর এখানে ৫০টি বুথ। আড়াই লক্ষ টাকার কাছাকাছি লাগবে। মহিলাদের সংখ্যা কম। ছেলেদের সংখ্যা বেশি।

প্রশ্ন আর এসটি পাড়াগুলিতে?

উত্তর ওরা হাঁড়িয়া খায়। বাংলা ৬০ টাকা করে বোতল। আদিবাসীদের মধ্যে প্রায় সবাই তা-ই খায়। ২০ শতাংশ আদিবাসী মহিলা। আড়াই লক্ষের মধ্যেই মহিলাদেরও ধরা আছে।

প্রশ্ন আমরা মহিলাদের দিকেও নজর দিতে চাইছি। কত লাগবে ঠিক করে বলুন।

উত্তর এখানে ছেলেদের থেকে মেয়েরা বেশি মদ খায়। ভোটের আগের দিন খাওয়ালে ভোট দিতে পারছে না, এমন যাতে না হয়। অন্য দলও খাওয়াবে।।

প্রশ্ন ভোট অবধি আপনার কত টাকা দরকার?

উত্তর মোটামুটি দু’লক্ষ। আমার টিফিন খরচা ধরে। অতিরিক্ত কাজ না করতে হলে এতেই হয়ে যাবে।

প্রশ্ন আগের যে কোরাকাটির ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা হল, তিনি কেমন আছেন?

উত্তর ওরা এই সব চালানো লোক (পিস্তল ধরার কায়দা করে)।

প্রশ্ন মোট কটা পিস্তল লাগবে?

উত্তর কোরাকাটিতে ৩০টা আর মণিপুরে ২০টা হলেই হবে। ম্যানেজ হয়ে যাবে। আর কোনও অস্ত্র লাগবে না। সন্দেশখালিতে অস্ত্র লাগবে না। যা লাগবে ওই কোরাকাটি আর মণিপুর। আমার লোক তৈরি আছে। চালিয়ে নিতে পারবে। ওই সব ছেলেপুলেদের দেখ লে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। কোরাকাটি বন্দুকের জায়গা। কার্তুজ ৬০০টা লাগবে। এমনই কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, যারা কাজ সেরে ফেরত দেবে বন্দুকগুলো। দরকার হলে আমার বাড়িতে ডেকে কথা হয়ে যাবে।

প্রশ্ন সাবধানে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় চেকিং চলছে।

তাই এখানেই কোথাও করতে হবে। ওদের বোঝাতে হবে। না হলে কোনও গোলমাল হলে ওরা আবার রিপোলিংয়ের কথা তুলবে। – ভোট যেমন জিততে হবে, তেমন সুরক্ষাটাও দেখতে হবে। সহজে ভোট হবে না।

উত্তর হ্যাঁ, সহজে ভোট হবে না। কোনও দিন হয় না। সোজা নেওয়া যাচ্ছে না।

– শাস্তি দোলুই নামের আরও এক জনকে দেখা যায় ভিডিয়োতে। যাঁর পরিচয় হিসাবে বলা হয়, সন্দেশখালি ১-এর বিজেপি মণ্ডল সভাপতি।

Scroll to Top