ভাজপার টকিং ডল কঙ্গনার বোমা
৩৬৫ দিন। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামালো কে? মোদি ভাই আবার কে! ফের ফাউল প্লে ভাজপার ‘টকিং ডল’ কঙ্গনার। এবার রীতিমত বোমা ফাটিয়েছেন তিনি। কঙ্গনা বলেছেন, রাশিয়ার পুতিন কিংবা ইউক্রেন তাকিয়ে আছে মোদির দিকে। তিনি নাকি মার্গ দর্শন করাবেন। থামিয়ে দিয়েছেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। হাস্যকর বললেও কম বলা হয়। মান্ডির সব স্কুল পড়ুয়ারাও হাসাহাসি করছে কঙ্গনার এই তত্ত্ব শুনে। মোদি ভাই মোটা ভাইদের তৈলমর্দন করে মান্ডি আসনে টিকিট পেয়েছেন কঙ্গনা। তার পর থেকেই তাল জ্ঞান একেবারেই হারিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তার একটি বক্তৃতার ফুটেজ সামনে এসেছে। যেখানে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে- রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন মোদিজি। উনি-ই তো রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বুঝিয়ে নিরস্ত্র করলেন আবার ইউক্রেনকেও বোঝালেন যাতে তারা শান্তি বজায় রাখে। তারপরেই তো যুদ্ধ থামল। না হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিশ্চিত ছিল। মোদি-ই তো মার্গ দর্শন করালেন। মোদি ছিলেন বলেই তো যুদ্ধের ফাঁড়া কাটল! রাজনৈতিক মহলের মতে, কঙ্গনা আসলে কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন মোদি শাহদের দয়া দাক্ষিণ্য টিকিট পেয়েছেন আর তারপর থেকেই হয়তো সম্ভবত অতিরিক্ত উত্তেজনায় ভুলভাল বকছেন। কয়েক দিন আগেই তেজস্বী যাদব কে আক্রমণ করতে গিয়ে তেজস্বী সূর্যকে যা নয় তা বলতে শুরু করেন সূত্রের খবর জানিয়ে নাকি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে প্রবল ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন যুব নেতা তেজস্বী। এবার মোদিকে অতিরিক্ত তৈল মর্দন করতে গিয়ে এমন দাবি করে বসলেন যাতে নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে পড়বে বিজেপি। অনেকেই বলছেন আসলে সমস্যা হল কঙ্গনার মতো যদি কাউকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হয় তবে এইসব ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক দেশের রাজনীতি ভারতীয় সংস্কৃতি ইতিহাস ভূগোল সম্বন্ধে যার বিন্দুমাত্র ব্যুৎপত্তি নেই তার মুখ থেকে এই ধরনের অবাস্তব বাস্তব বর্জিত কথা বেরোবে এবং তা নিয়ে হাসির রোল উঠবে সেটাই স্বাভাবিক। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ সাফাইয়ের সুরে বলছেন আসলে কঙ্গনা তো রাজনীতির লোক নন তাই হয়তো অতিরিক্ত আবেগে এসব বলে ফেলছেন তাকে সিরিয়াসলি নেয়ার দরকার নেই। নানা রকমের আজব কান্ড করে বেড়াচ্ছেন তিনি। এই যেমন, নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে লাগাতার আক্রমণ করছেন কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের। কঙ্গনার ভাষণের তেমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ক্ষুবিগড়ে যাওয়া রাজকুমারদের কিছু দল রয়েছে দেশে, তা সে রাহুল গান্ধী হোন যিনি চাঁদে আলু ফলাতে চান বা তেজস্বী সূর্য যিনি মাছ খান ও গুণ্ডামি করেন। ক্ষ্ম আসলে আরজেডি নেতা লালুপুত্র তেজস্বী যাদবকে আক্রমণ শানাতে গিয়েছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু ভুলবশত যাদবের পরিবর্তে বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্যের নাম বলে ফেলে বিতর্কে জড়ালেন তিনি। এর পরই কঙ্গনার সেই ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে তেজস্বী যাদব লেখেন, ‘ইয়ে মোহতরমা কৌন হে?’ অর্থাৎ ‘কে এই মহিলা?’ প্রসঙ্গত, নবরাত্রির সময় এক ভিডিও পোস্টে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে দেখা যায় মাছ খেতে। তিনি নিজেই সেই ভিডিও পোস্ট করেন এবং মাছ খাওয়ার কথা জানান। যা নিয়ে সুর চড়িয়েছিল বিজেপি। নবরাত্রির সময় আমিষ খাওয়া নিয়ে আরজেডি নেতাকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। সেই ইস্যু তুলে ধরতে গিয়েই ভুল করে বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্যর নাম নিয়ে ফেলেন কঙ্গনা। তবে ট্রোলড হলেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণের ধার কমেনি অভিনেত্রীর।