বাঙালির অপমানে গর্জে উঠলেন মমতা
৩৬৫ দিন। সন্দেশখালিতে বিজেপি যেভাবে চক্রান্ত করে বাংলার বিরুদ্ধে কুৎসা করেছে তা 'নরেন্দ্র মোদির জঘন্য অপরাধ' বলে বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে যে কায়দায় ভাজপা প্রার্থী অর্জুন সিং এর ছেলে রবিবার নরেন্দ্র মোদির সভায় উল্টো রবীন্দ্রনাথের ছবি প্রধানমন্ত্রীকে দেন, তারও বিরোধিতা করেন মমতা। মমতার কথায় 'ওরা বাঙালি বিরোধী, বাংলার সংস্কৃতি জানেনা।' এদিন নাম না করে অর্জুন সিং এর দুর্নীতি জুট নীতি নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। সোমবার ব্যারাকপুরে পার্থ ভৌমিকের সমর্থনে সভা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ ্যমন্ত্রী যা বললেন,
১. সন্দেশখালি মোদির জঘন্য কেলেঙ্কারি। মায়েদের দিয়ে যা ইচ্ছে তাই লিখিয়ে নিচ্ছে। আমাদের বাংলা এটা টলারেট করে না। যদি দাঙ্গা না চান ভাজপাকে একটি ভোট নয়। আগেরবার দেখে শিক্ষা নিয়েছেন। বাংলায় ভোট হল। গরমে আজকের ভোটের পার্সেন্টেজ একটু কম আছে। শেষে একটু বাড়বে। ভোটার লিস্টে নিজের নামটা রাখবেন। ওরা বাংলার সংস্কৃতি জানে না। ওরা বাঙালি বিরোধী।
২. তিনি (বিজেপি প্রার্থী) তার ছেলেকে দিয়ে উল্টো ছবিটা কেন দিলেন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিটাও চেনা যায় না? ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা যায়। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিটা উল্টে দিতে হয়। যখন ছবিটা দেওয়া হচ্ছে তখন স্লোগান হচ্ছে মোদি জি জিন্দাবাদ একবারও বলছে না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জিন্দাবাদ। তিনি তার ছেলেকে দিয়ে উল্টো ছবিটা কেন দিলেন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিটাও চেনা যায় না? ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা যায়। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিটা উল্টে দিতে হয়। যখন ছবিটা দেওয়া হচ্ছে তখন স্লোগান হচ্ছে মোদি জি জিন্দাবাদ একবারও বলছে না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জিন্দাবাদ। ওদেরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান শান্তিনিকেতন বলেছিলেন। নাথিং ইজ নিউ। বাংলার সংস্কৃতি ওরা জানেনা। এটা ওদের দোষ নয় এটা প্রার্থীর দোষ। আমি বলি ক্ষমা করে দিন। যারা উল্টে ছবি দিয়েছিল, হয়তো তাদের দেখে কবিগুরু বলতেন, 'নাগিনীরা চারিদিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস।' আমার জীবনটা কথার আশ্রয় চলে। কথাই আমার ভান্ডার। ৩. বলছে মাছ খাবে না মাংস খাবে না ডিম খাবে না। আপনি যদি বলেন ধোকলা খেতে আমি খাব, ওটা আমি খেয়েছি। গুজরাতে পাওয়া যায়। উত্তর প্রদেশ থেকে শুরু করে গোটা দেশের যত খ ানাপিনা আছে আপনি বলুন আমি ভালোভাবে খেয়ে নেব। আমরা জাতপাতে বিশ্বাস করিনা। কেউ চিংড়ি খাবে কেউ অন্য মাছ ভালোবাসে। মোদি বাংলার খাবার খেতে চাইলে রান্না করে খ াওয়াবো।
৪. একটি মেয়ের নাম দিয়েছে মমতা। ভোট দিতে যাবে না মোদি বাবুকে। মোদি বাবু আমাদের জল দিয়েছে, জল দিয়েছে না হাতি দিয়েছে। আমার নামে আবার একজনকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করাচ্ছে। কারণ জানে ভয় দেখালে ভয় পাবেনা একমাত্র একজনই।
৬. গোসাইবাবু যদি জিজ্ঞাসা করি এত বড় মিথ্যা কথা বললেন কি করে যে আমাদের জন্য জুট ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ। জুট কেনা ছেড়ে দিয়েছেন আপনি। মজদুর দের সামনে আপনার বলা উচিত আপনি ভুল করেছেন। আমি যদি এ কাজ করতাম আমি ১০০ বার কান ধরে ওঠবস করতাম। সাহস থাকলে মানুষকে দাঁড়িয়ে বল জুট কেন বন্ধ করলে। ৭. গতবারের লোকসভা নির্বাচনে দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়েছিল। মসজিদে বোমা মেরেছিল বাঙালিদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল। আমাকে অনেক গালাগালি করেছিল রাস্তায়। একটার পর একটা দখল হয়ে। যাওয়া পার্টি অফিস আমি নিজে রং করেছি। নৈহাটি কাঁচরাপাড়া ভাটপাড়া জগদ্দল সব জায়গাতেই আমি একা ঘুরে বেড়িয়েছি। আর বলেছি, আয় দেখি কত ক্ষমতা আছে। ক্ষমতা থাকলে বন্দুক নিয়ে দাড়া, আমি বন্দুকের সঙ্গেও লড়তে পারি। তার একজন স্বজন আছে। তিনি জেল থেকে বসে প্ল্যান করেন কি করে মার্ডার করা যাবে। এখনো বাবু জেলে আছেন। হয়তো কিছু প্ল্যান করছেন। ৮. ওরা ৪৪০ ভোল্ট। এদের ছুঁতে নেই। এদের ভুলেও দোষ না ছুলেও দোষ। আমাদের সঙ্গে ছিল একসময়। মাঝে এসেছিল ভাবতাম হয়তো বদলেছে। ময়লা যায় না ধুলে আর কয়লা যায় না মলে। বলে বেড়াচ্ছে তৃণমূল চোর। আমি বলি ওরে হরিদাসরা কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন করছিস টাকাগুলো আসছে কোথেকে।
৯. ৩৪ বছর লড়াই করে যদি সিপিএমকে সরাতে পারি তাহলে বিজেপিকেও হটাবো। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। খুনি সিপিএমকে আর বিশ্বাস করবেন না, যা করে গেছিল রাজ্যটার অবস্থা। দেখলেও ভয় পাই। নোয়াপাড়াতে বিকাশ বোস বলে একজন ছিলেন তাকে। -খুন করা হয়। আমি নিশ্চয়ই তার নাম বলবো না আপনারা গেস করে নিতে পারেন। সিপিএমের আমলে অনেকেই অপরাধ করে বেঁচে গেছে।
১০. পার্থ বলেছে আমি মন্ত্রীত্ব চাই না আমি মানুষের হয়ে সংসদে কাজ করব।