শত্রুঘ্নর বক্তব্য, বাংলার রয়েল বেঙ্গল টাইগার আমার নাম ভারতরত্নের জন্য ভেবেছেন, এতেই কৃতজ্ঞ
ইন্দ্রনীল সাহা। আসানসোল। ৩৬৫দিন। তার কোন পরিচয়ের প্রয়োজন পড়ে না। গোটা দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তার নামটাই যথেষ্ট। যদিও বহু বছর আগেই সিনেমার পর্দা ছেড়ে দক্ষ রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২ বারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী,৫ বারের সাংসদ। একদা অটলবিহারী বাজপায়ী, লালকৃষ্ণ আডবানীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০১৪ সালে মোদি জমানা শুরু হওয়ার পর ভাজপার জুমলাবাজির বিরুদ্ধে দলে থেকে প্রতিবাদ করেছেন। মোদি- শাহের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন বারবার। প্রতিবাদী, শত্রুঘ্ন সিনহাকে মেনে নিতে পারেনি ভাজপার শীর্ষ নেতৃত্ব। মানুষের পাশে থাকবেন বলে ভাজপা ছেড়ে কংগ্রেসে এবং পরে বাংলার নেত্রী মমতার পথকে পাথেয় করে তৃণমূলে যোগ দেন। আসানসোলের উপনির্বাচনে ৩ লাখের উপরে ভোটে জিতে আসানসোলের কোলিয়ারি বেল্ট থেকে ভাজপার নাম গন্ধ মুছে দিয়েছেন তিনি। এবারও তার উপরেই ভরসা রেখেছেন দলনেত্রী মমতা। ২০২২ সালের উপনির্বাচনে জয়ের পর আসানসোলই তার ঠিকানা হয়ে গিয়েছে। নিজের ঘর বানিয়ে ফেলেছেন বলিউডের সুপারস্টার। দুর্গাপুজো বা রাম নবমী অথবা ঈদ কিংবা বড়দিন সব অনুষ্ঠানেই তার কাটে আসানসোলে। গত প্রায় এক মাস ধরে প্রবল গরমকে মাথায় নিয়েই আসানসোলের মাটি চষে ফেলেছেন তিনি। কখনো রানীগঞ্জের প্রত্যন্ত কোলিয়ারি এলাকায় জনসভা আবার কখনো টাউন এলাকায় কয়েক হাজার
- মানুষের ভিড়ে রোড শো করছেন। তিনি এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে
- নারাজ ভাজপা প্রার্থী এস এস আলুওয়ালিয়াকে। ভোট প্রচারে গিয়ে
- কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে বলছেন, ‘খামোশী নেহি, কোহরাম মাচা
- দো।’ সম্প্রতি আসানসোলের প্রচারে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন,
- অমিতাভ বচ্চনের পাশাপাশি শত্রুঘ্ন সিনহাকেও ভারতরত্ন সম্মান
- দেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে
- সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, আমি এটাই বলব এটা মমতা
- দিদির উদারতা, মহানুভবতা যে আমার কথা এভাবে তিনি
- ভেবেছেন। আসলে দিদি আমায় খুব ভালবাসেন তাই এ কথা
- বলেছেন। আমার ভারতরত্নর প্রয়োজন নেই। আমায় বাংলাররত্ন,
- মমতারত্ন পেলেই হবে। আমি নিজেকে গর্বিত মনে করব, মানুষের
- কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।