আলুওয়ালিয়ার অর্থশক্তি ধুয়েমুছে সাফ হবে
৩৬৫ দিন। বারাবনী রোডশো বা নির্বাচনী প্রচারে এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় বেশি ভিড় দেখা গেল বারাবনি বিধানসভার বারাবনি ও সালানপুর ব্লকে। বারাবনি বিধানসভার দোমোহানি এবং গৌরান্ডিতে দুটি বিধানসভায় শত্রুঘ্ন সিনহার রোড শোতে জনজোয়ার যেন আবারও প্রমান করল একদা স্বর্গীয় মানিক উপাধ্যায়ের দুর্গ আজও অটুট তার সুযোগ্য পুত্র আসানসোলের মেয়র ও বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় ও তার সেনাপতি অসিত সিংহের সাংগঠনিক পরিচালনায়।
সোমবার বারাবনি বিধানসভায় জোড়া রোড শো ছিল আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার। প্রথমে বারাবনি ব্লকের দোমোহানি স্কুল থেকে থানা মোড় পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় রোড শো ছিল বারাবনি বিধানসভার সালানপুর ব্লকের পানুরিয়া থেকে গৌরাঙ্গি মোড় পর্যন্ত। দুটি রোড শোতেই নেতৃত্ব দেন স্বর্গীয় মানিক উপাধ্যায়ের পুত্র এবং আসানসোলের মেয়র তথা বারাবনিত বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এবং বারাবনি ব্লকের সভাপতি তথা সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসিত সিংহ। দুটি রোডশোতেই উপচে পড়া মানুষের ভিড় এবং রাস্তার ধারে যেভাবে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে তাতেই স্পষ্ট এখানে বিরোধীরা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে। পাশাপাশি দুটি মিছিলেই প্রচুর পরিমাণে মহিলাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আর এমন ভিডিও দেখে সভাপতি উচ্ছ্বসিত প্রার্থী শত্রুগ্ন সিনহা। তিনি দুহাত তুলে বারবারই রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা অগণিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা ছড়িয়েছে।ন রাস্তার দুপাশে মানুষজন কোথাও ফুল কোথাও শরবতের গ্লাস এগিয়ে দিয়েছেন মিছিলের উদ্দেশ্যে। প্রচন্ড গরম কে উপেক্ষা করেও মিছিল এগিয়ে চলেছে নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে। শত্রুঘ্ন সিনহা এদিন মিছিলের শেষে জানান ক্ষ্মরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে মহিলাদের স্বনির্ভর করতে নানান প্রকল্প নিয়ে এসেছেন তাতে মহিলারা উপকৃত হয়েছে এবং সেই কারণেই এত সংখ্যক মহিলা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মিছিলে অংশ নিচ্ছে। আগামী দিনে গোটা দেশ চাইছে দেশের শক্তির নিয়ন্ত্রক হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নেতৃত্বে দেশ চলুক। তবেই রাজ্যে যেমন উন্নতি হয়েছে সেই ভাবে দেশ হয়ে এগিয়ে যাবে।।
নির্বাচনী প্রচারের প্রথম থেকেই কিন্তু কোন ব্যক্তি আক্রমণ করেননি বা প্রতিদ্বন্দ্বী আলুওয়ালিয়া সম্পর্কেও একটিও খারাপ কথা বলেনি বিহারীবাবু। একদিন আগেই আসানসোলে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে ভোেট প্রচারে এসেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনিও শত্রুঘ্ন সিংহা সম্পর্কে বলতে গিয়ে সমালোচনা ধর্মী কোন কথা না বললেও তিনি বলেছিলেন ‘উনি ভুল দল পছন্দ করেছেন’।
সোমবার শত্রুঘ্ন সিনহাকে মিঠুন চক্রবর্তী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিন্তু তার অবস্থান থেকে একটুও সরে দাঁড়ান নি। বরং তিনি রাজনৈতিক সৌজন্যতা রেখে বলেছেন ‘মিঠুন চক্রবর্তী আমার খুব প্রিয় এবং আমরা অনেকদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছি। উনি একজন অরাজনৈতিক লোক। কেন জানিনা উনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হলেন। কি ওনার অভিপ্রায়।’ এদিন শত্রুঘ্ন সিনহা আরও বলেন ‘আমার তিনটি বাড়ি। একটি পাটনায় আমার বাস্তুভিটে, একটি মুম্বইয়ে আমার কর্মস্থল। এবং বর্তমানে আমার আরেকটি বাড়ি হচ্ছে আসানসোল। আমি আসানসোলের মানুষের পরিবারের একজন হয়ে উঠেছি।