মালদা থেকে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার আকাশপথে
৩৬৫দিন। দেবের হেলিকপ্টার ধোঁয়া। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন ঘাটালের তৃণমূলের প্রার্থী। শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মালদার রতুয়ায় যান দেব। সেখানে রোড শো করেন। রতুয়া থেকে মুর্শিদাবাদের রানিনগরে যাওয়ার জন্য রতুয়া স্টেডিয়াম থেকে দেবের জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা ছিল। সেইমতো হেলিকপ্টারে চড়েন দেব। কিন্তু উড়ানের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ঘটে বিপত্তি। হেলিকপ্টারের মধ্যে ধোঁয়া দেখা দেয়। কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে মালদা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেন পাইলট। বিমানবন্দরে ওই হেলিকপ্টার সারাইয়ের কাজ করা হয়। তারইমধ্যে গাড়িতে চেপে রানিনগরের উদ্দেশে রওনা দেন দেব। পরে দেব বলেন, মানুষের আশীর্বাদে, মানুষের ভালোবাসায় অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছে। এটা বলব যে মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখলাম। ঠিক আছে। এখন ভালো আছি। ঠাকুর সঙ্গে আছেন। মানুষ সঙ্গে আছে। এই বিষয়টা আমার কোনও অভিযোগ নেই। একটা সময় মনে হয়েছিল যে থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ বলার সময় এসে গিয়েছে। পাইলটরা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেন। সেরা পাইলটরা ছিলেন। সবাই এখ ন ভালো আছেন। সুস্থ আছেন। বাবা-মা’র আশীর্বাদ, বাংলার মানুষের আশীর্বাদে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে গিয়েছি। পরবর্তী কর্মসূচিতে যোগ দিতে গাড়িতে করে যাচ্ছি। যেটা ৩০ মিনিট লাগত, সেটা চার ঘণ্টা লাগবে। কিন্তু দল কথা দিয়েছে। আমায় রাখতেই হবে। এই ঘটনার খবর মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। ফোন করেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থীকে। বর্ধমানের রায়নার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমে যখন উঠেছিল তখন হেলিকপ্টার থেকে ধোয়া ধোয়া গন্ধ বেরোচ্ছিল। কিন্তু আকাশে উড়ে গিয়ে দেখে প্রায় আগুন লেগে যেতে গিয়ে বেঁচে যায়। ইমারজেন্সি ল্যান্ডিং করে দেবের হেলিকপ্টার। আমি তাই নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। ওর সঙ্গে আমি কথাও বলেছি ফোনে। বিজেপির আমলে কাউকে ভালো থাকতে দেবেনা, নিজেদের ভালো থাকতে হবে।