বীরভূম, জামালপুরে অভিষেকের জনসভা
৩৬৫দিন। তীব্র দাবদাহের মধ্যে জামালপুর ও বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভাজপাকে তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক। শতাব্দী রায়ের সমর্থনে জনসভার মঞ্চ থেকে শীতলকুচির গণহত্যার নায়ক বীরভূমের ভাজপা প্রার্থী দেবাশীষ ধরের বিরুদ্ধে সুরচরান তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। যদিও তার প্রার্থী পদ খ ারিজ করেছে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী শর্মিলা সরকারকে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে আদিবাসীদের ওপর ভাজপার অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন।
১) প্রধানমন্ত্রী মোদি জি সব জায়গায় বলছেন তিনি গ্যারান্টি দেন, এমন গ্যারান্টি দিচ্ছেন যে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে পনেরো দিনে দুবার প্রার্থী পরিবর্তন করতে হলো। তারা বুঝতেই পারছে না তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাকে প্রার্থী করলে সামান্য লড়াই করতে পারবে।যার নেতৃত্বে শীতলকুচিতে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে, তাকে প্রার্থী করেছে। পাপ বাপকে ছাড়ে না। মা তারা বিচার করেছে। যাঁরা নিজেদের মধ্যে প্রার্থী ঠিক করতে পারছে না তাঁদের গ্যারিন্টি নেবেন? ১৫ দিনে দুবার প্রার্থী বদল। এখনও মানুষ জানে না প্রার্থী কে?
২) প্রথম দফায় মাথা ভেঙেছে, দ্বিতীয় দফায় ঘাড় ভেঙ্গেছে, ৩য় দফায় কোমর, ৪ র্থ দফায় পা,৫ম দফায় হাঁটু ভাঙ্গব। যেটুকু রয়েছে তা গনতান্ত্রিক ভাবে চূর্ণবিচূর্ণ করে ৪ তারিখ যখন ভোট বাক্স খুলবে তখন বলো হরি হরিবোল বহিরাগতদের খাটে তোল।
৩) সিপিএমের আগে একটা রাজনৈতিক দর্শন ছিল। আর এখন এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই। আর বিজেপির রাজনৈতিক দর্শন হলো গরীব করে রেখে দে মা ভোটটা যেন পাই। মমতা বন্দোপাধ্যায় সেই গরীব মানুষ গুলোর হাতে টাকা পৌঁছিয়ে দিয়েছে। বিজেপি হলো গরীব বিরোধী, শ্রমিক বিরোধী, কৃষক বিরোধী, লক্ষ্মী ভান্ডার বিরোধী
৪) বিজেপি ইস্তেহার পত্রে লেখা হয়েছে যে, দেশে একটাই নির্বাচন হবে। তাহলে হতে পারে এটাই আপনার শেষ ভোট দেওয়ার সুযোগ। পরে সংবিধান অ পাল্টে দিতে পারে।
৫) ৫ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যারা মাছ খায় তারা দেশ বিরোধী, হিন্দু বিরোধী। আমি কি খাবো, কোনো জামা পড়বো, কোনো রাস্তা দিয়ে হাঁটবো ঠিক করবে বিজেপি সরকার? ভাবুন। এই অধিকার আপনারা দিতে চান?
৬) মায়েরা দিদিরা ভাইয়েরা বোনেরা বিজেপি কথায় কথায় তফসিলিদের ধারক ও বাহক হিসেবে দাবি করে। এখন যে কাগজ আমি নিয়ে এসেছি সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের একটা জবাব। তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও মুখ পাত্রের কাগজ নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের কোনও দফতরের কাগজ নয়। ২০২৩ সালে আগাস্ট মাসে রাজ্যসভায় একজন সাংসদ প্রশ্ন করেছিলেন। আজ জামালপুরের মিটিংয়ে সে তথ্য হাতে নিয়ে আমি দেখ াচ্ছি। এটা তৃণমূলের কোনও নেতার কথা নয়। তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রের সামাজিক ও ন্যায় বিচারক ক্ষমতায়ন মন্ত্রক। মন্ত্রীর নাম রামদাস আটোওয়ালে। গত পাঁচ বছরে তফসিলি জাতি উপজাতি মানুষদের উপর অপরাধের কত ঘটনা ঘটেছে? কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, তফসিলি জাতি উজাতির উপর ২০১৭ সালে ৪৩ হাজারটি অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল। ২০২১-এ সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার। বিজেপির আমলে পাঁচ বছরে অপরাধের হার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২০।
৭) বিজেপিকে ২ লক্ষের ব্যবধানে হারানোর শপথ নিন। দুবরাজপুরে আমরা ২০১৯ এ পিছিয়ে ছিলাম ২০২১ এ হেরেছিলাম। কিন্তু বিজেপি বাংলায় হেরেছে বলে প্রকল্পের টাকা বন্ধ করেছে। জনবিরোধী মোদী সরকার বলেছিল আচ্ছে দিন আসবে। একদিকে লক্ষ্মী ভান্ডারে ১ হাজার আপনাকে দিচ্ছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার। আর দিল্লীর সরকার আধারের সঙ্গে প্যান কার্ডের লিং এর নামে ১ হাজার টাকা করে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
৮) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য শান্তিনিকেতনকে বিশ্ববাসী চেনে সেই কবিগুরুর নাম ফলক থেকে বাদ দিয়েছ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে বাড়ি থেকে উৎখাত করতে চেয়েছিল।
৯) একাংশের সংবাদমাধ্যম এবং বিচারপতি এদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম কিছু মানুষ দুর্নীতি করেছে। কিন্তু ৯০ শতাংশ ঠিক প্রার্থী। দিদি চাকরি দিচ্ছে কিন্তু মোদিজি আটকে দিচ্ছে।