তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে কুণালের সাংবাদিক সম্মেলন
৩৬৫ দিন। সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিওতে প্রমাণিত সেখানে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র হয়েছে। তাই অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের উচিত স্বতোঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে গঙ্গাধর কয়ালকে গ্রেফতার করা। কারণ গঙ্গাধর কয়াল ভিডিওতে স্পষ্ট বলেছে টাকা নিয়ে মিথ্যে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। গঙ্গাধর কয়াল ছাড়াও এই ভাইরাল ভিডিওতে যাদের দেখা গিয়েছে তাদের। প্রত্যেককে অবিলম্বে হেফাজতে নেওয়া উচিত রাজ্য পুলিশের। শুধু তাই নয় এই ফাঁস হওয়া ভিডিওতে সন্দেশখালীর চক্রান্তে যে ক’জনের লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে বা নাম পাওয়া গিয়েছে তাদের প্রত্যেককেও অবিলম্বে গ্রেফতার করে। হেফাজতে নেওয়া উচিত। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এমন দাবি তুললেন কুণাল ঘোষ। গতকাল বিকেলে ব্রাত্য বসুর মধ্যস্থতায় রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পরে আজ সকাল থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে ভাজপার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন কুণাল।
প্রসঙ্গত, গতকাল থেকে সন্দেশখালি কাণ্ডের ভিডিও নিয়ে তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। খবর ৩৬৫ দিনের পক্ষ থেকে সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা না হলেও তৃণমূলের প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সন্দেশখালির ভাজপার মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল দাবি করেছেন ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে। কোনও ধর্ষণের ঘটনা সন্দেশখালিতে ঘটেনি। ২০০০ টাকা নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভাজপা প্রার্থী রেখা পাত্র।
সুয়োমোটো মামলা রুজু করুক রাজ্য পুলিশ
সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে আজ তৃণমূলের পক্ষ থেকে কুণাল ঘোষ বলেন, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ এবং একজন কর্মী হিসেবে আমি বলতে চাই সন্দেশখালি নিয়ে এক ভয়ঙ্কর সত্য সামনে এসেছে। আমরা বারবার বলে এসেছি, এটা একটা ষড়যন্ত্র। অবশেষে এটা ফাঁস হয়েছে। এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ। সরকার বিরোধী চক্রান্ত, রাজ্যের সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করা হল। পুলিশ অবিলম্বে সুয়োমোটো মামলা রুজু করুক। আজকে এটা প্রমাণিত নাটক। গঙ্গাধর কয়াল এবং আরও যারা যার নাম আছে, তাদের অবিলম্বে কাস্টডিতে নিতে হবে। কারণ যারা এই কথাগুলো বলেছে, তাদের উপর বিজেপি চাপ সৃষ্টি করছে। বারবার বলা হচ্ছে সিবিআই চাই। সিবিআই তো এদেরকে প্রটেকশন দেবে। চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গেছে, তাই সিবিআই-র কাছে আশ্রয় চাইছে বিজেপি।
বিজেপি যেখানে যেখানে সন্দেশখালি ইস্যু প্রচার করেছে, দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গায় এই ভিডিও নিয়ে তৃণমূল প্রচার করবে। যদি ভিডিও ফেক হত, নারদা কেসে সিবিআই কি শুভেন্দুর উপর এফআইআর করত? ভিডিও এখন ফাঁস হয়ে গেছে, প্রকৃত তদন্ত হলে টিকবে না। বিজেপি মানে নারী নির্যাতন ধর্ষণ খুন করা। বাংলায় ইস্যু পায়নি বলে সন্দেশখালিকে ইস্যু সাজিয়ে তারা বিবৃতি দিয়েছিলেন। সন্দেশখালি নিয়ে যারা বলেছিলেন, অমিত শাহ বাংলার মাটিতে পা রাখার আগে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। আইপিসি ১৪১,১৫৮,১৯৫০,২০১.২০৩ মামলা করার আবেদন জানাচ্ছি।
সিবিআইয়ের আশ্রয় খুঁজছে ভাজপা
গতকাল সন্দেশখালির ভাজপা মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের বক্তব্য সহ স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই তড়িঘড়ি যেভাবে শুভেন্দু ও গঙ্গাধর সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন, তার প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষের দাবি, সিবিআইয়ের কাছে আশ্রয় নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে বিজেপি নেতা। বিজেপি বাঁচার জন্য এখন সিবিআইয়ের আশ্রয় খুঁজছে। নারদ মামলায় যাঁর নাম ছিল, এই ভিডিয়োতেও তাঁর নাম শোনা গিয়েছে। সিবিআই তো সেই মামলাতেও তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি। ফলে এ ক্ষেত্রেও তারা বিজেপিকে আশ্রয় দেবে। তাই আগেই সিবিআই তদন্তের কথা বলছেন ওঁরা। ওঁদের যদি ভয় না থাকে, তবে পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি হোন।