৩৬৫ দিন। ‘নির্বাচন কমিশন, স্যালুট টু ইউ। আমি আগেই স্যালুট দিয়ে দিলাম। বিজেপি আপনাকে রোজ দেয়। আমরা চাই আপনারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন। আর যদি না করেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র ভারতবর্ষ যদি ধ্বংস হয়ে যায় কেউ আপনাদের ক্ষমা করবে না। আমরা এখনো মুখ খুলিনি, মুখ যেদিন খুলবো, দেখবেন আপনাদের ৩২ টি দাঁতের পাটি বেরিয়ে গেছে।ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স বাংলায় নেই। বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি একসঙ্গে লড়াই করছে। আমরা বাংলায় ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। দেশ বাঁচাবো আমরা। তৃণমূলকে যত বেশি আসন দেবেন, বিজেপি তত বেশি পরিমাণে হারবে। মাটির বাড়িতে যারা এখনো পদ্মফুল আঁকছেন, ওটা পদ্ম নয়, ওটা হচ্ছে ভাওতা, জুমলাবাজি।’ রবিবার পুরুলিয়ার কাশীপুরের শিব মন্দির মাঠ থেকে এভাবেই ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এদিন জনসভা থেকে মমতা যা বললেন,
১. বিজেপির প্ল্যান আছে, আপনার যদি বুথ প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করে, এজেন্ট দের অ্যারেস্ট করে, তাহলে মনে রাখবেন, আপনাকে দুটো- তিনটে করে নাম ঠিক করে রাখতে হবে। বিজেপি টাকা দিয়ে, কিছু মাদক মিশিয়ে দিয়ে ইলেকশন বক্সে চিপ ঢুকিয়ে দিতে পারে, এগুলো যেন ওরা করতে না পারে। যা করছে মানুষ আগামী দিন ঘৃণার সঙ্গে মানুষের বর্জন করবে।
২. মিছিল করুন মিটিং করুন দাঙ্গা করবেন না। দাঙ্গা করবে ওরা। ১৯ এপ্রিল ভোট, ১৭ তারিখে দাঙ্গা করবে। রাম কানে কানে বলে দিয়ে যায়নি যে তুমি দাঙ্গা কর। কিন্তু এরা দাঙ্গা করবে। কেউ কোন প্ররোচনায় পা দেবেন না। ওরা একদিন নাচবে, ওদের একদিনের নাচন-কোদন পরের দিন শান্তির মিছিল করে সব মুছে দেবেন। ভোট বাক্সে ওদের ভোট যেন না হয়, সেটা দেখবেন।
৩. ভোট তো দিয়ে দেখলেন, এখানকার এমপিকে, কিছু করেছে? তাকে দেখতে পেয়েছেন? তিনি দেখতে কেমন কালো না সাদা। বিজেপি করলে সাদা, আর তৃণমূল করলে কালো। আগেরবারও পুরুলিয়া মিটিং করে মিথ্যে কথা বলে গিয়েছিল।
৪. পুরুলিয়া থেকে যাকে আপনারা জিতিয়েছিলেন তিনি কি করেছেন? আজ পর্যন্ত কিছু করতে পেরেছেন। আমার ছবিটা মুছে দিয়েছো নির্বাচন বলে, প্রধানমন্ত্রীর ছবি কেন থাকবে? আমি আসার পথে দেখলাম, প্রধানমন্ত্রী কৃষক বন্ধু সেন্টারে প্রধানমন্ত্রীর ছবিটা তো মোছোনি। এটা প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল মোছার, আমি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম।
৫. মোদি বাবু বলছে বাংলা আমার কাজ করে না। কেন করবে? ওনার প্রোগ্রামের নাম হচ্ছে, আয়ুষ্মান ভারত। আপনাদের একটা সাইকেল থাকলে সেটা পাবেন না। আমরা ৯ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সাথী সুরক্ষা দিচ্ছি। মোদি বাবু দেখে নাও, আমাদের গ্যারান্টি ছৌনৃত্য, আমাদের গ্যারান্টি জয় জোহার, কৃষক ভাতা, ১০০ দিনের কাজ। আর মোদি বাবুর গ্যারান্টি শুধু ছবি দেখা। কিছু লোককে নাকি রেশন দেবে! প্যাকেটে পাঁচ কেজি চাল গম, আর মোদী বাবুর ছবি। হয় কখনো। কোন দেশে এই জিনিস হয় না। আমরা যে রেশন দিই, আমি কি আমার ছবি লাগিয়ে রেশন দি?কিছু জায়গায় বিজেপির পঞ্চায়েত রয়েছে, কিছু জায়গায় বাম রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। সেখানে যদি দুর্নীতি করো তার দায়ভার কি আমাদের। আগে রাজ্য সরকার মনিটর করত এখন কেন্দ্র করে।
৬. মানুষ যখন প্রতিবাদ করছে মধ্যরাতে এনআইএ কে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। গাদ্দারের এলাকায়, মধ্যরাতে পুলিশকে না জানিয়ে, পুলিশের ড্রেস পড়ে অনেকে নন্দীগ্রাম সিঙ্গুরে বদমাইশি করেছে। মায়েরা কি করে বুঝবে? মা বোনেরা প্রতিবাদ করল, তাদের বিরুদ্ধে ডায়েরি করে দিয়েছে, বলছে তৃণমূলের সব বুথ এজেন্টের অ্যারেস্ট কর। আবার রামনবমী আসছে, একটা চকলেট বোম পরলে এনআইএকে ঢুকিয়ে দেবে। এনাআইএর কোন অধিকার আছে? পুরুলিয়া সব হোটেলে গিয়ে খোঁজ করছে কারা কারা থাকছে। কোন কোন পার্টি কোন হোটেলে থাকবে তোমার কি? এটা কি তোমার কাজ? নির্বাচনের সময় আমরা সরকারি জায়গায় থাকি না। যে হেলিকপ্টার নিয়ে প্রোগ্রাম করি সেটাও পার্টির টাকা নিয়ে ভাড়া করি।
৭. আমি আসছিলাম রাস্তা দিয়ে, দেখলাম দুটো বাড়িতে পদ্ম আঁকা হয়েছে। একটা বাড়িতে দেখলাম তৃণমূলের জোড়া ফুল আঁকা আছে। যাদের মাটির বাড়ি তাদের বলছি, তিন বছর ধরে মোদি সরকার আপনাদের ঘর তৈরি করার জন্য কোন টাকা দেয়নি। ১০০ দিনের টাকা দেয়নি। রাস্তার কাজের টাকা দেয়নি। ৫৯ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারদের ১০০ দিনের কাজের টাকা আমরা দিয়েছি। এখন থেকে এটা চলবে। 50 দিনের কাজ তো দেবই, দরকার হলে ৬০ দিনের কাজ দেব।
৮. আজকে দেখছেন মণিপুর জ্বলছে। আদিবাসীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে, রাজস্থানে, গুজরাতেও তাই। সারা ভারতবর্ষে তাই হচ্ছে। একমাত্র আমার দলিত ভাই বোনেরা সম্মান পায় বাংলায়। সাঁওতালী ও কুরুক ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
৯. পুরুলিয়ার মানুষ আপনাদের প্রধান অসুবিধা হচ্ছে এখন পানীয় জল। জাইকা প্রজেক্টটা দেরি করেছে। যেটা ওদের তিন বছরের করা কথা ছিল, এটা ওরা ১২ বছর সময় নিয়েছে। জায়িকা জাপানের একটা সংস্থা, আমরা ক্যান্সেল করে দিতে পারছি না, আন্তর্জাতিক চুক্তি বলে।
১০. আজকে দেখছেন মণিপুর জ্বলছে। আদিবাসীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে, রাজস্থানে, গুজরাতেও তাই। সারা ভারতবর্ষে তাই হচ্ছে। একমাত্র আমার দলিত ভাই বোনেরা সম্মান পায় বাংলায়। সাঁওতালী ও কুরুক ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
১১. ৬০ হাজার টাকা খরচ করে রঘুনাথপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন তৈরি হচ্ছে। আপনাদের এখানে শিল্পে বিপ্লব হচ্ছে, ছেলে মেয়েদের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। ২০১১ এর আগে চারিদিকে কোন আর অত্যাচার। ভয় মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারত না। পর্যটকরা আসতো না, মানুষ খুন হত।
১২. বাঙালি ও বাঙালি মাহাতো তপশিলি সবাই মিলে আমরা একসঙ্গে বসবাস করি। ছৌ শিল্পীদের প্যারিসে পাঠিয়েছিলাম। বাংলাকে এক নম্বরে এনে দিয়েছিল এই ছৌ শিল্পীরা। তাই এখানে একাডেমি করা হয়েছে। মাওবাদী হত্যায় যারা মারা গিয়েছিল তাদের পরিবারের থেকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া চলবে না। আমরা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। তারাই অরণ্যের সবচেয়ে বড় সম্পদ।
১৩. জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার কোচবিহারে ঝড়ে ৫০০০ মানুষের বাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার বলল আমরা বাংলার বাড়ি করে দিই। আজকে ৬ দিন আগে নির্বাচন কমিশন কে বলেছি, এখনো পর্যন্ত অনুমতি দেয়নি। তুমি তো শুধু বলবে হ্যাঁ তুমি করো। টাকাটা আমরা দিচ্ছি, টাকাটা বিজেপির নয়। ১১ লক্ষ্য বাড়ির তালিকা আমরা কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছিলাম।
১৪. নির্বাচনের আগে বিজেপির কল সেন্টার থেকে ফোন করছে, ফোন নাম্বারটা কোথা থেকে পেয়েছে, আমাদের থেকে পেয়েছে। কারণে ১১ লক্ষ লোকের নাম আমরা পাঠিয়েছিলাম। ফোন করে বলছে তুমি আবার নতুন করে বিজেপিতে এপ্লাই করো। মে মাসে ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে, এটা আমরা বাজেটে উল্লেখ করেছি। যারা নাম লেখাবেন ওদের কাছে, আপনার নামটা কেটে দেবে।
জপমালা মাথায় ঠেকিয়ে আশীর্বাদ, হাত স্পর্শ করে আম্মাদের দোয়া দিদি তুমি ভালো থেকো
মোদি শাহের নয়নের মণি রামদেব মহা সংকটে
আলুওয়ালিয়ার অর্থশক্তি ধুয়েমুছে সাফ হবে
দুর্গাপুরে কীর্তি আজাদ বলবেনহাম আজাদ হ্যায়
মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ
বিজেপি মানেই ফর দ্য এজেন্সি, বাই দ্য এজেন্সি, অফ দ্য এজেন্সি
400 পারের গল্প দিচ্ছে! 200 তে গাড়ি আটকে যাবে
সিপিএম উকিল দিয়ে চাকরি খাচ্ছে বিজেপি, দালালি করছে কংগ্রেস
400 পার স্লোগানে দেশে গেরুয়া আতঙ্ক
এন এস জি কম্যান্ডো, রোবট এখন বিশ্রাম নিচ্ছে
রামনবমীতে বাধা দিলে আমি ঝুলিয়ে পেটাতাম
বর্বর অশিক্ষিতের ভাজপা ভাষণ, বাংলায় এসে যোগীর নিদান ৩৬৫ দিন। দুর্গাপুর, ৩০ এপ্রিল বাংলায় রামায়ণ প্রথম অনুবাদ হয়েছিল আর এখ ানে রাম নাম করা
জপমালা মাথায় ঠেকিয়ে আশীর্বাদ, হাত স্পর্শ করে আম্মাদের দোয়া দিদি তুমি ভালো থেকো
মালদার পদযাত্রায় অবিস্মরণীয় দৃশ্য, হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে স্বতস্ফুর্ত উচ্ছ্বাস ৩৬৫ দিন। ভারতীয় জনতা পার্টির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যখন ক্রমাগত বাংলায় ভেদাভেদের রাজনীতি নিয়ে চরম আকার
মোদি শাহের নয়নের মণি রামদেব মহা সংকটে
পতঞ্জলির ১৪ পণ্যের লাইসেন্স বাতিল ৩৬৫ দিন। সময়টা ভালো যাচ্ছেনা যোগগুরু রামদেবের। প্রিয় শীর্ষাসনেও নাকি তিনি এনার্জি পাচ্ছেন না। একদিকে বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে
আলুওয়ালিয়ার অর্থশক্তি ধুয়েমুছে সাফ হবে
আলুওয়ালিয়ার অর্থশক্তি ধুয়েমুছে সাফ হবে ৩৬৫ দিন। বারাবনী রোডশো বা নির্বাচনী প্রচারে এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় বেশি ভিড় দেখা গেল বারাবনি বিধানসভার বারাবনি ও
দুর্গাপুরে কীর্তি আজাদ বলবেনহাম আজাদ হ্যায়
লাঠিখেলা, গদা নিয়ে স্টান্ট প্রচার নয়,নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন কীর্তি আজাদ ইন্দ্রনীল সাহা। দুর্গাপুর। ৩৬৫দিন। গায়ে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি, পাজামা। মাথায় জড়ানো হলদেটে সুতির
মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ
26000 শিক্ষকের চাকরি ছাটাই মামলা উঠল সুপ্রিম কোর্টে ৩৬৫ দিন। নয়াদিল্লি। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ যেভাবে একতরফা রায়