কীর্তি, শর্মিলার সমর্থনে গলসিতে জনসভা
মমতার বিস্ফোরক অভিযোগ
গলসি ‘বিএসএফ, সিআরপিএফকে বিজেপি বানিয়ে দিয়েছে। আর বিজেপিকে ভোেট না দিলে গুলি করার কথা বলা হচ্ছে বিএসএফকে। উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট আর মেখলিগঞ্জের মানুষ সেই অভিযোগ করেছেন’ ভারতীয় জনতা পার্টির গোলসির সভা থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বুধবার দুপুরে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভার তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে মুখ ্যমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেন বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ, বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার সহ রাজ্যের তিন মন্ত্রী ও জেলা সভাপতিরা। জনসভা মঞ্চ থেকে মমতা বলেন ‘কীর্তি আজাদ আমার ঘরে আসতো। আমার সাথে ভাই বোনের সম্পর্ক। গোলসির মানুষ বেশ কিছু তৃণমূলের নেতার উপর বিরক্ত কিন্তু তৃণমূলের ওপর বা তাঁর ওপর বিরক্ত নন তৃণমূলের প্রার্থীর ওপর বিরক্ত নন। এখান থেকে তৃণমূলের প্রার্থী জিতবে।’ এদিন নাম না করে ভাজপা প্রার্থী দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘আর এখানে যে দাঁড়িয়েছে বিজেপির তাঁর দল তাঁকে মেদিনীপুরে টিকিট দেয় নি। প্রতিদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলছে, তৃণমূলকে ডান্ডা মারো তৃণমূলকে লাঠি মারো। এটা কোন মুখের ভাষা হতে পারে। একটা রাজনৈতিক দল যখন এসব কথা বলে তখন বুঝবেন সেই দল দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। পেপারে দেখলাম, ‘কহি মাইকা লাল হ্যায় যোক্যা রোকেগা’, আমি রাজনাথ বাবুকে প্রণাম জানিয়ে বলবো আমরা রুখ বো। ক্যা, এনআরসি হতে দেব না আমরা। সকাল বিকেল মোদিকে প্রণাম করে নিজেদের চেয়ার বাঁচান। আপনিও তো আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন কেউ মানা করেনি। নীতিন গরকরিও হতে পারত কোন আপত্তি ছিল না। যে ভদ্রলোক ভদ্রতা করবে। যারা দাঙ্গা মেরে দাঙ্গা করে মানুষ মেরে হাতগুলো খুনে লাল হয়ে গিয়েছে।
লাল থেকে তৈরি হয়েছে গেরুয়া। সাধু সন্তরাও গেরুয়া পরেনা। যারা পড়ছে তাঁরা নিজেরা কষ্ট পাচ্ছে। কারণ সমস্ত কিছুই এখন গেরুয়া করে দিয়েছে ওঁরা। পারলে আকাশটাকেও আর ধানগুলোকেও গেরুয়া করে দিত।’ তারপরেই নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘বেশি গরম প্রচন্ড লু লেগেছে হেলিকপ্টার আগুনের মতন হয়ে থাকোযেন হিট চেম্বার। ২৫ দিন ধরে প্রচার করছি। তিন মাস ধরে নির্বাচন। বিজেপির চক্রান্ত। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক রেজাল্ট বেরোবে। কলেজে ভর্তি হতে হবে। এই গরমে নির্বাচন। কমিশন কিছু বোঝে না। এই গরমে একটা ছাতাতে কিছু হয় না। যারা বড় নেতা তারা ঠান্ডা ঘরে বসে থাকে আর নির্দেশ দেন। আর যারা মাটিতে চড়ে বেড়ান তারা বোঝে খেতটা কত গরম হয়ে আছে। তিন মাস বাদে লক্ষ্মীর ভান্ডার নাকি বন্ধ করে দেবে বলছিল এক বিজেপি নেতা। প্রচন্ড লু মুখে লাগছে, চশমা রাখতে পারছি না আর একমাস ঠেলে দেব কিন্তু বিজেপিকে হাঠাবোই।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপির ধর্ম বাইরে থেকে ধার করে নিয়ে এসেছে। কারণ দেখে যখন স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছিল বিজেপি তখন ছিল না। তাই দেশকে স্বৈরতন্ত্র বানাতে চাইছে। বিজেপি কিসের ধর্ম ওদের সঙ্গে না আছে মা দুর্গা না আছে কালী। না আছে লক্ষী না আছে সরস্বতী। না আছে সীতা না আছে সাবিত্রী।’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘যারা বড় বড় নেতা তারা ঠান্ডা ঘরে বসে নির্দেশ দেয়। যারা মাটিতে চড়ে বেড়ায় তারা জানে মাটিটা কত গরম হয়ে গেছে।’ গরম প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘আজকে গরম এত বেশি প্রচন্ড লু লেগেছে আজকে। ২৫ দিন ধরে বাংলায় ঘুরছি। তিন মাস ধরে নির্বাচন দিয়েছে। বিজেপির নির্ঘাত কোন চক্রান্ত আছে, নাহলে জুন মাস পর্যন্ত কেউ নির্বাচন নিয়ে যায়।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি বুদবুদের আগে এসেছিলাম। আমি একটি মাঠে মিটিং করে চলে যাবার পর জানতে পারি সেখানে একজন মারা যায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে অন্য মিটিং ক্যান্সেল করে বুদবুদে ফিরে আসি।’