৩৬৫ দিন। এয়ারপোর্ট থেকে নেমে বেশিক্ষন নয়।একেবারেই কাছেই পড়বে এই হোটেল।ছুটিতে কিংবা কাজের জন্যই আসুন।থাকার জায়গার জন্য কম্প্রোমাইজ করতে চান না।তাঁদের জন্যই একেবারে ব্র্যান্ড নিউ প্রজেক্ট জৈন গ্রুপ।
সারোভার হোটেল এবং রিসোর্ট এর সঙ্গেই রাজারহাটে তৈরি হচ্ছে এই হোটেল।বৃহস্পতিবার শহরের পার্ক হোটেলে জৈন গ্রুপ এবং সারোভারের মধ্যে মৌউ স্বাক্ষর হয়। সেখানেই তাঁদের আগামী পরিকল্পনা সম্পর্কেও জানানো হয়।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জৈন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান শ্রেয়ানস জৈন,সারোভার হোটেলের এমডি অজয় কে বাকায়া।
পুজোর আগেই এই হোটেল তৈরি হয়ে যাবে বলেই জানান জৈন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান শ্রেয়ানস জৈন। তিনি জানান, সব প্রায় তৈরি।শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।জুলাইয়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্ঠা চলছে। আশা করি,হয়ে যাবে।তিনি আরও জানান, হোটেল ব্যবসায় আমরা নিজেদেরকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।হলিডে ইন এর পর এটা আমাদের দ্বিতীয় প্রজেক্ট হোটেল সেক্টরে।
এদিকে, মৌউ স্বাক্ষরের পর সারোভার হোটেলের এমডি অজয় কে বাকায়া জানান,জৈন গ্রুপের সঙ্গে এই পার্টনারশিপ খুব ভালো হবে।এই প্রজেক্টের ফলে কলকাতাতে আমাদের ব্র্যান্ডও ছড়িয়ে পড়বে।জানা গিয়েছে,আপাতত ১৩৫ রুম নিয়ে রয়েছে এই হোটেলে।চারটি ক্যাটাগরি রয়েছে। সুইটস,প্রিমিয়াম,ডিলাক্স এবং স্ট্যান্ডার্ড।স্বাভাবিকভাবেই এই ৪টির ভাড়াও আলাদা আলাদা।
তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এই হোটেলে ১০০০টি রুম তৈরি করা হবে বলেই জানিয়েছে জৈন কতৃপক্ষ।তাছাড়া এই প্রজেক্টে খরচ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।প্রসঙ্গত,করোনায় ধাক্কা খেয়েছিল আবাসন, লপর্যটনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্র। তবে পরে চাকা ঘুরেছে এই দুই ক্ষেত্রেই।সেই বাজারকে পাখির চোখ করেই আগামী দিনে রাজ্যে লগ্নি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে কলকাতার জৈন গোষ্ঠী।সেই লক্ষেই একের পর এক ড্রিম প্রজেক্ট নিয়ে আসছে তাঁরা।
জৈন কতৃপক্ষর তরফে জানা গিয়েছে,কলকাতার পাশাপাশি দ্বিতীয় সারির শহর এবং শহরতলিতেও আবাসনে গতি এসেছে।করোনার পর থেকে শুধুমাত্র বাসস্থানের প্রয়োজনীয়তাকেই আর ক্রেতারা ফ্ল্যাট কেনার মাপকাঠি হিসেবে দেখছেন না। সেখানে আরও কিছু সুবিধা, প্রাকৃতিক ভারসাম্য কতটা বজায় থাকছে— এ সবও কেনাকাটার আগে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। ফলে এমন প্রকল্প গড়ার দিকেই বাড়তি নজর দিচ্ছে জৈন গোষ্ঠী।আবাসনের পাশাপাশি হোটেল ব্যবসাতেও পুঁজি ঢালছে।তার ফল স্বরূপ শহরে তৈরি হচ্ছে নতুন হোটেল।