চাকরিহারারা ধরনায়
সুপ্রিম কোর্টে মামলা
কয়েকজন অযোগ্য প্রার্থীর জন্য হাজার হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খারিজ কেন প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের চাকুরি হারাদের, ধর্মতলায় ধরনা অবস্থানে চাকরি হারারা, সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করছে রাজ্য সরকারও
৩৬৫ দিন।
কয়েকজন দুর্নীতি করেছে বলে সকলকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দাগিয়ে দিয়ে চাকরি কেড়ে নেওয়া কেন? এর পিছনে কি বিচারপতিদের কোন রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে? এমন বিস্ফোরক প্রশ্ন তুলে এবারে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেও চাকরি-খারিজ হওয়া ছেলেমেয়েরা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিপুল সংখ্যক চাকরিরতদের চাকরি খারিজ করে এতদিনের বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ধর্মতলায় ধরনা অবস্থানে বসলো কয়েকশ ছেলে মেয়ে।
প্রসঙ্গত গতকালই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করেছে। তাতে গ্রুপ- সি, গ্রপ-ডি, নবম দশম, একাদশ দ্বাদশের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি গিয়েছে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার কথা গতকালই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং এসএসসি চেয়ারম্যান। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করার জন্য রাজ্য সরকার আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
৪০ ডিগ্রী গরমেও ধর্মতলায় ধরনা
৪০ ডিগ্রি গরমে যখন তাপপ্রবাহ হইছে কলকাতা শহরে সেই সময় নিজেদের পরিবারকে বাঁচানোর পাশাপাশি বিনা কারণে তাদের বক্তব্য না শুনেই কেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশ বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিল করে দিল। তার প্রতিবাদ জানাতে ধর্মতলায় ধরনা অবস্থানে বসলেন চাকরি হারারা। চাকরিহারা হয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। তাঁদের মধ্যে অযোগ্যরা যেমন রয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীরাও তো রয়েছেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে রাতারাতি চাকরিহারা তাঁরাও। এবার তারই প্রতিবাদে আন্দোলনে বসলেন যোগ্য চাকরিহারারা। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা করার কথা বলেছেন।
হুগলি থেকে আসা এক শিক্ষক বলেন, আমরা অযোগ্য সেটা প্রমাণ করে বার করে দিক। আমার বিরুদ্ধে তো কোনও অভিযোগ নেই। ওএমআর ম্যানুপুলেট হয়েছে। এটা কোনও রায় হল? ১৯ হাজারের তো কোনও দোষ নেই। যেখানে বিচার ব্যবস্থাতেই বলা রয়েছে, পাঁচ জন অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাক, কিন্তু এক জন নিরপরাধী যেন শাস্তি না পায়। এখানে ১৯ হাজার নিরপরাধী শাস্তি পেয়ে যাবে? কাদের বাঁচানোর জন্য আমাদের বলিতে চড়ানো হয়েছে? তিনি জানান, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। এই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চাইছেন তাঁরা। এই রায় আরও একবার বিবেচনা করে দেখার কথা তাঁরা বলছেন।
সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে যে রায় দিয়েছিল, তারই প্রেক্ষিতে আজ শীর্ষ আদালতে তিনটি ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন মূল মামলাকারীরা।