৩৬৫দিন। ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১টা। মাথার ওপরে গনগনে রোদ। মনে হচ্ছে, সূর্যটা যেন গিলে খেতে আসছে। যখন তখন মাথা ঘুরিয়ে ফেলে দেবে। আসানসোল, দুর্গাপুরের মতো কোলিয়ারি এলাকায় এমন সময়ে রাস্তা জনমানবহীন থাকে। কিন্তু মঙ্গলবারের চিত্রটা একেবারে আলাদা। আসানসোলে রোডে উপচে পড়েছে ভিড়ে। গোটা শহরের ট্রাফিক স্তব্ধ হয়ে গিয়েছোকে বলবে, তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। আসানসোল আসনে তৃণমূলের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন। শত্রুঘ্ন সিনহা বলে কথা। একদিকে যেমন জননেতা অন্যদিকে বলিউডের সুপারস্টার তিনি। ব্যান্ড পার্টি, ধামসা মাদল, রন পা, লাল পারের সাদা শাড়ি পরা মহিলাদের হাতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের প্ল্যাকার্ড। মিছিলে কি নেই? অনেকেই বলছেন, মনোনয়ন দাখিলের মিছিল নয়, এটা বিজয় মিছিল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই মনোনয়ন দাখি লেই সকলকে ‘খামোস’ করে দিয়েছেন শত্রুয়। হুডখোলা গাড়িতে শত্রুঘ্নর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র বিধান উপাধ্যায়, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এদিন রবীন্দ্রভবন থেকে ভগত সিং মোড় হয়ে সেনর ্যালে রোড দিয়ে মিছিল জেলাশাসকের অফিসে পৌঁছয়। তীব্র দাবদাহের মধ্যে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ হাঁটে আসানসোলের মানুষ। গোটা মিছিল জুড়েই শত্রুয়কে ঘিরে প্রবল উন্মাদনাই শুধু বারবার চোখে পড়ছিল।শত্রুঘ্ন যখ ন মনোনয়ন দিতে জেলাশাসকের অফিসে ঢুকলেন তখন গোটা আসানসোল যেন তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। জেলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের হাতে মনোনয়ন তুলে দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী পুনম সিনহা। মনোনয়ন দিয়ে বেরোনোর সময় শত্রুঘ্ন সিনহা জানান, যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য উন্নয়নের কাজ করেছেন এবং কেন্দ্রের মোদি সরকার জনবিরোধী কাজ একের পর এক করেই চলেছে, তাতে আসানসোলের মানুষ আবারও জবাব দেবে এবং গতবারের চেয়ে রেকর্ড ব্যবধানে তৃণমূল আসানসোলে জিতবে। আজকের এই মিছিলের যোশ আমাকে ভরিয়ে দিয়েছে। কত মানুষ আমাদের গাড়ির সঙ্গে পায়ে হেঁটে এসেছেন। অন্যদিকে গরমের কারনে সোমবার সন্ধ্যায় ছোট মিছিল করে নিয়েছিলেন ভাজপা প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। অন্যদিকে এদিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আসানসোলের সিপিআইএম প্রার্থী জাহানারা খ ানও।
ধুতি পাঞ্জাবিতে মনোনয়ন
বর্ধমানের মা সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দিয়ে বাঙালি সাজে মনোনয়ন জমা দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ। এদিন পুজো দিয়ে বর্ধমান টাউনহল থেকে কীর্তি আজাদ মিছিল করে এসে মনোনয়ন জমা দেন। প্রার্থী ছাড়াও তাতে ছিলেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, বিধায়ক খোকন দাস, তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতারা। এদিন বর্ধমান – দূর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমি আগেও বলেছি, পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়! দিলীপ ঘোষের কাছে আর কী-ই বা আশা করা যায়, বলুন? উনি কখন যে কী বলছেন, তা নিজেই জানেন না।ত তিনি বলেন, তওঁর মিথ্যা কথা আসলে সবাই ধরে ফেলেছেন।”