৩৬৫ দিন। দিল্লিতে রাজ্যের সাংসদদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের ও অতি সক্রিয়তার প্রতিবাদে এদিন গা সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে সোমবার রাতেই রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ।এন আই এর উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে মাইল তৃণমূলের কর্মীদের এজেন্সির হেনস্তার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে পুলিশি জুলুমের বিরোধিতায় সোমবার রাতেই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, অনুমোদন মিলতাই ফিরহাদ হাকিম , মালা রায় , শোভনদেব চত্তারোপাধায় , কুনাল ঘোষ সহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রাত ৯ টা তে রাজভবনে ঢুকে প্রায় ৫০ মিনিট রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করে তৃণমূলের বক্তব্য তাকে জানান । এদিন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় রাজ্যপালকে ও বেরিয়ে এসে অভিযোগ করেন
১) নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট । তৃণমূল তথ্য দিলেও এজেন্সির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ করেন না ।কিন্তু ব্যপার অভিযোগে রাজ্যের পুলিশের ডিজি , দি এম পাল্টাই দেওয়া হচ্ছে ।ইটা কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ? এই জন্যেই এরা বাংলা বিরোধী ।
২) কুচবিহারে রাহয়সরকার জনপ্রিয় হয়ে যাবে বলে নির্বাচন কমিশন ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরী করার অনুমতিদিচ্ছে না হচ্ছে ৮ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও
৩) দিল্লিতে ৫ সাংসদ সহ ১০ জনকে হেনস্থা করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের সামনে থেকে অমানবিক ভাবে থানাতে আটকে রেখেছে। রাজ্যপালকে রাজ্যের এই সাংসদর ওপর অত্যাচার নিয়ে কমিশনকে প্রতিবাদ পত্র পাঠানো উচিত ।
৪) ভাজপা নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি হাতে খাম হাতে করে নিয়ে এন আই এ এস পীর ধনরাম এর সঙ্গে প্রায় ৫২ মিনিট বৈঠক করে খালি হাতে বেরিয়েছিল ।কি ছিল ওই খামে ? কেন ওই এস পিকে সরানো হবে না ।
৫) কুচবিহারে আমাদের দুর্গত মানুষের বাড়ি করতে দিচ্ছে না , রাজ্যের মহিলা সহ সাংসদদের হেনস্থা করা হচ্ছে ।তাহলে এদের বাংলা বিরোধী কেন বলবো না ।
৬) রাজ্যপালের নিজের বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু উনি মঙ্গলবারই আমাদের অভিযোগ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন । তারপর আমাদের জানাবেন ।সেটা বিশ্লেষণ করে ফের কালকে আমরা রাজ্যপালের কাছে এসব যদি দরকার পড়ে।
৭) দুর্নীতিগ্রস্ত ভাজপা নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ যদি ভাজপা করে তাহলে আমরা অবসসই ভাজপার পশে থাকবো ।কিন্তু অজিত পাওয়ার থেকে নারায়ণ রানে , হিমন্ত বিশ্বশর্মা সহ সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্তদের উনি ছেড়ে রেখেছেন ।তাহলে মোদী কি করে বলেন যে উনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়বেন ।
৮) আমরা দাবি জানাচ্ছি রাজ্যে ৪ এজেন্সির শীর্ষদের কেন সরানো হবে না যখন তৃণমূল তথ্য প্রমান সহ নির্বাচন কমিশনকে বার বার জানাচ্ছে ।
৯) ভাজপার অঙ্গুলি হেলনে নির্বাচন কমিশন চলছে ফলে তারা বার বার পক্ষপাতদুষ্ট পদক্কেপ করছেন ।
১০) এজেন্সি দিয়ে তদন্তের নামে বাংলার মহিলাদের শ্লীলতাহানি , সম্মানহানি করা হচ্ছে ।আমরা তা বরদাস্ত করবো না ।