হাইলাইট
।।ওরা রবীন্দ্রনাথের ছবি উল্টো ধরে, ওরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, ওরা বাঙালি বিরোধী বাংলার সংস্কৃতি জানে ।।মোদি নয়, এবার দিদি ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে দিল্লিতে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে, গতকাল পর্যন্ত আমাদের হিসেব ওরা ১৯৫, ইন্ডিয়া জোট ৩১৫।।মরিয়া রেখার মিশন তৃণমূল পেটাও।।লড়াই চলছে, ওরা পারলে আমাকে মেরে ফেলতেও পারে।।শুভেন্দুদা না থাকলে সন্দেশখালিতে এতবড় অপারেশন করা যেত না, তৃণমূলকে ফাঁসাতে ৭২ মহিলাকে ২০০০ টাকা করে দিয়ে।।রাজ্যপালের আরও কেলেঙ্কারি আছে পাশে বসাও পাপ, অনেক প্রমাণ আছে, রাজ্যপাল পদত্যাগ করুন আমি আর রাজভবনে যাব না।।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুমকি দিচ্ছেন বিরোধীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখব, শাহ’র সঙ্গে একমঞ্চে কয়লা মাফিয়া জয়দেব।।কেজরির জামিন মঞ্জুর ।।সন্দেশখালি বোঝাল, পাপ তার বাপকেও ছাড়ে না মিথ্যা ধর্ষণ ফাঁস করল বিজেপির লোকেরাই, বুথ পিছু ৫ মহিলার বঙ্গজননী বাহিনী এবার প্রতি ঘরে যাবে।।চমকাইতলা, আরামবাগে সিপিএম খুন করে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ডেডবডি পাচার করত।।ভারতরত্ন চাই না, বাংলার মমতারত্ন পেলেই গর্বিত।।হাইকোর্টের রায়ে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ কারও চাকরি যাচ্ছে না।।১০ লক্ষ চাকরি রেডি, বিজেপি-সিপিএম কোর্টে গিয়ে আটকে দিচ্ছে।।পুতিন, ইউক্রেন ওর দিকে তাকিয়েমোদীজি তৃতীয় বিশ্বয়ুদ্ধ থামালেন।।প্রশ্ন, মিথ্যা অভিযোগ হলে তদন্তে বাধা কেন?

ওরা রবীন্দ্রনাথের ছবি উল্টো ধরে, ওরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, ওরা বাঙালি বিরোধী বাংলার সংস্কৃতি জানে 

বাঙালির অপমানে গর্জে উঠলেন মমতা ৩৬৫ দিন। সন্দেশখালিতে বিজেপি যেভাবে চক্রান্ত করে বাংলার বিরুদ্ধে কুৎসা করেছে তা ‘নরেন্দ্র মোদির জঘন্য অপরাধ’ বলে বার্তা দিলেন বাংলার

Read More »

মোদি নয়, এবার দিদি ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে দিল্লিতে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে, গতকাল পর্যন্ত আমাদের হিসেব ওরা ১৯৫, ইন্ডিয়া জোট ৩১৫

বনগাঁয় মমতার গর্জন ৩৬৫ দিন। এবার আর মোদির সরকার দিল্লিতে ক্ষমতায় আসছে না। গতকালের হিসেব অনুযায়ী ১৯০ থেকে ১৯৫টি আসন তারা পাবে। ৩১৫ টির বেশি

Read More »

মরিয়া রেখার মিশন তৃণমূল পেটাও

সন্দেশখালিতে ৫০০০ টাকার ভুয়ো ‘ধর্ষিতা’ বাহিনীর কেচ্ছা ফাঁস হতেই ৩৬৫ দিন। সন্দেশখালি। প্রথমে ২০০০ টাকা মাথাপিছু দিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় স্তরের

Read More »

লড়াই চলছে, ওরা পারলে আমাকে মেরে ফেলতেও পারে

পার্থ ভৌমিকের প্রচার সভায় ভাজপার চক্রান্ত নিয়ে মমতার আশঙ্কা ৩৬৫ দিন। লোকসভা ভোটের প্রচারে যেভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ভাজপা কিংবা মোদি-শাহ বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন সে

Read More »

শুভেন্দুদা না থাকলে সন্দেশখালিতে এতবড় অপারেশন করা যেত না, তৃণমূলকে ফাঁসাতে ৭২ মহিলাকে ২০০০ টাকা করে দিয়ে

সন্দেশখালি স্টিং অপারেশন ২, ভাজপা মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল আরও বিস্ফোরক ৩৬৫ দিন। শুভেন্দুদা না থাকলে সন্দেশখালীর এই এত বড় অপারেশন করা সম্ভব ছিল না।

Read More »

রাজ্যপালের আরও কেলেঙ্কারি আছে পাশে বসাও পাপ, অনেক প্রমাণ আছে, রাজ্যপাল পদত্যাগ করুন আমি আর রাজভবনে যাব না

পদ্মপালকে তীব্র আক্রমণ মমতার   ৩৬৫ দিন। রাজভবনে কর্মরত মহিলার শ্লীলতাহানির ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পদত্যাগের দাবি তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। একই সঙ্গে সন্দেশখালিতে

Read More »
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

কৃষ্ণনগরের ভাজপা প্রার্থী অমৃতা রায় বললেন, না আমি রাজমাতা নই দল একটু বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে

কৃষ্ণনগর থেকে ইন্দ্রনীল সাহা • ছবি কুণাল মালিক


প্রশ্ন কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজ পরিবারের সদস্য হওয়ার সুবাদে ভাজপার প্রার্থী হলেও রাজনীতিতে তো আপনার কোন অভিজ্ঞতাই নেই? মনে হচ্ছে না এক্ষেত্রে আপনি অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছেন?
অমৃতা রায়। আমি রাজনীতিতে নতুন ঠিকই। কিন্তু দেশ এবং আশেপাশে কি হচ্ছে তার খবর আমরা সকলেই রাখি। আমিও রাখতাম। আমি সবসময় সতর্ক এবং দেশ ও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন। এখানে কেউ ভালো নেই। বিশাল দুর্নীতি চলছে। সবাই আতঙ্কে থাকে। এত ঘুষ কান্ড রেশন দুর্নীতি গরু পাচার এগো আছেই তাছাড়াও শিক্ষাব্যবস্থা গোল্লায় চলে গেছে। এই সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে সেগুলো তো একা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। সিস্টেম পরিবর্তন একাকেও করতে পারেনা। প্রথম যখন বিজেপি আমায় ভোটে প্রার্থী হওয়ার কথা বলেছিল আমি না করে দিয়েছিলাম। কারণ সবাই ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে চায়। পরে আবার যখন আমায় দ্বিতীয়বার প্রার্থী হওয়ার কথা বলে আমায় মনে হয়েছিল আমার একটা চেষ্টা করা উচিত।
প্রশ্ন সিরাজ দ্দৌলাকে সরাতে মীরজাফরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লর্ড ক্লাইভ কে বাংলায় নিয়ে এসেছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র? এই অভিযোগকে স্বীকার করেন?
অমৃতা রায় এটা মানা সম্ভব নয়। লজ্জার ব্যাপার বাঙালি হয়ে ইতিহাসটাই জানেনা। বাংলাটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে একটা বহিরাগতর জন্য। সিরাজ ভারতের অংশ ছিল না। সিরাজ হচ্ছে মুঘলদের শাখা-প্রশাখা। বাংলার মহারাজা যিনি নাকি সমাজ সেবায় পারদর্শী ছিলেন। উনি একজন সিরাজের মত অত্যাচারী, ভ্রষ্টাচারী শাসক, কলঙ্কিত ব্যক্তিকে সরিয়েছিল মহারাজা নন্দকুমার , পুরীর রাজাও ছিলেন। তাতে দোষ কোথায়। এটা কেন মমতা ব্যানার্জির পার্টির গায়ে লেগে যাচ্ছে? নিজেরা করতে পারেনি বলে? ২০১১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত উনারাও শাসন করছেন ওনাদের অবদানটাও তো জানতে হবে? উনারা আড়াইশো তিনশো বছর টেনে আনছেন এটা না জেনে টানছেন।এটা আক্রমণ করতে হবে বলে করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেইসময় ছিলেন না, আমরাও কেউ ছিলাম না। ইতিহাসটা তো আমরা লিখিনি। যেটা আমি শুনেছি আলীবর্দী খা এর সভায় বসতেন তিনিও তো সিরাজের বিরুদ্ধে লিখেছেন। উনি একজন মুখ্যমন্ত্রী ওনার দায়িত্বপূর্ণ হয়ে মন্তব্য করা উচিত। লর্ড ক্লাইভ কে কি করে কৃষ্ণচন্দ্র নিয়ে আসবেন? লর্ড ক্লাইভ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন সব দেশ ঘুরতেন। তার মধ্যে ভারতেও এসেছিলেন। কৃষ্ণচন্দ্র বললেই তো ফ্লাইভ আসবে এমনটা নয়। বিলের থেকে কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে ক্লাইভের তো আর কোন পরিচিতি ছিল না। ওনারা শুধু হাওয়ায় হাওয়ায় কথা বলছেন। মূর্খ লোকদের সঙ্গে আমি কোন কথা বলতে চাই না। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও লিখেছেন সিরাজ কতটা ঘৃণ্য ব্যক্তি ছিলেন। ওনারা সহ্য করছিলেন কারণ সিরাজ একজন অতি লমপট ব্যক্তি ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আপনারা কি করেছেন? আপনার লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র সংসদের পাসওয়ার্ড বাইরের লোককে দিয়ে দিল? এটা লজ্জার নয়? আবার তাকেই কৃষ্ণনগরের প্রার্থী করে বসিয়ে দিল?
বাস্তব ইতিহাস বলে, কৃষ্ণচন্দ্রের শাসনকালীন নদিয়া সাক্ষী হয়েছিল সবচেয়ে বড় পালা বদলের।২৩ জুন ,১৭৫৭ রবার্ট ক্লাইভ এর বাহিনীর কাছে পরাজিত হলেন বাংলার শেষ নবাব সিরাজদৌল্লা। আর সেই সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় গাথা হয়ে গেল বিশ্বাসঘাতকতার আরো একটি নাম পলাশী। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার জন্য কৃষ্ণচন্দ্র কে কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিলেন সিরাজ। তার জন্য প্রতিহিংসাবশত মীরজাফর ও জগত সেটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পলাশীর আম বাগানে
সিরাজদৌল্লার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিলেন। ইংরেজদের সঙ্গে সখ্যতা এমন পর্যায় পৌঁছেছিল যে রবার্ট ক্লাইভ পলাশীর যুদ্ধের ময়দানে যাওয়ার সময় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রাসাদে রাত যাপন করেন।
প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে, রাজ পরিবারকে সামনে রেখেই শুধু ভোটের প্রচার করে চলেছেন?
অমৃতা রায়। বিরোধীরা বারবার আমার পরিবারকে টেনে আক্রমণ করছেন। কিন্তু আমি যখনই প্রচারে গেছি কোন মানুষ আমার পরিবারকে নিয়ে কোন কিছু বলেনি। বরং তারা আমার মাথার উপর হাত রেখে আশীর্বাদ দিয়েছে। এমনকি সংখ্যালঘুরাও আমায় আশীর্বাদ করেছে। কোথাও কৃষ্ণচন্দ্রের নাম তুলে কেউ কিছু বলেনি। সবাই আমার দিকে এগিয়ে এসেছে।
বাস্তব কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো প্রকল্প বা মোদি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে অমৃতা রায়কে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে না বলেই অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, এটাই স্বাভাবিক অমৃতা রায় রাজনীতির ময়দানে নতুন। তাকে দলের তরফ থেকেও বলে দেওয়া হয়েছে, মোদি সরকারের কোন উন্নয়ন বা প্রকল্প নিয়ে বিশেষ কিছু না বললেও চলবে। নিজের রাজ পরিবারকেই সামনে রেখে ভোট প্রচার করতে।তাতে যদি মহুয়া মৈত্রের মতো হেভিওয়েট বিরুদ্ধে রাজ পরিবারের নামে কিছুটা ভোট ভাজপার ঝুলিতে টানা যায়।
প্রশ্ন আপনার পার্টির লোকরা তো রাজমাতা বলেই আপনার নামে জোর গলায় প্রচার করছে।আপনি রাজমাতা কি করে হলেন?
অমৃতা রায়। এটা একটা বিভ্রান্তি কিংবা ভুল বলতে পারেন। আমায় রাজমাতা বলা যায় না। কারণ, তখনকার দিনে যদি রাজত্ব থাকতো আমার যদি ছেলে রাজা হত ও স্বামী না থাকতো তখন আমি রাজমাতা হতাম। যেটাকে ইংরেজিতে বলে গ্রিন মাদার। এক্ষেত্রে দল একটু বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছে। আসলে ওরা ভাবছে জনগনের মাতা। রাজবাড়ী থেকে আসছে। রাজমাতা হয়ে গেল। রাজমাতা নই, রাণী মাও হতে পারি নাহলে আমার নাম ধরেই ডাকতে পারেন।
বাস্তব বাংলায় ভাজপার দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা যখন প্রকাশ পায় তখন কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে অমৃতা রায়ের নাম এর আগে রাজমাতা লেখা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, নিজেদের প্রার্থীর দেওয়াল লিখনেও রাজমাতা লেখা হয়েছে। যাতে রাজমাতা নামে জনগণের মাঝে বেশি প্রভাব ফেলা যায়। কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবারের সদস্য অমৃতা রায়ের স্বামী এবং সন্তান দুজনেই বেঁচে রয়েছেন। এক্ষেত্রে মিথ্যে রাজমাতা বলে প্রচার করে ভোটের বাজারে অমৃতা রায়কে জনগণের সামনে একেবারে ভিন্ন ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে ভাজপা। তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল অমৃতা দেবীর কথাতেই।
প্রশ্ন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের মতো প্রার্থীকে টক্কর দিতে পারবেন? একে তো আপনার তুলনায় অনেকটাই কম বয়সী সঙ্গে রাজনীতিতে আপনার চেয়ে অভিজ্ঞতা ও বেশি।
অমৃতা রায়। না পারার কি আছে। এটা তো ছেলে খেলা নয়। যে ইচ্ছা মত করব তারপর ছেড়ে দেব যখন একটা কাজ নিয়েছি সেই কাজটা শেষ করেই ছাড়বো।
বাস্তব স্থানীয় মানুষেরাই বলছে, প্রচারে কোথায় কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির সদস্য অমৃতা রায়? একদিকে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র সকাল সন্ধ্যে দুপুর এক করে কৃষ্ণনগরের ৭টা বিধানসভা চড়ে ফেলছেন। তখন প্রচারে কয়েক যোজন দূরে রয়ে গিয়েছে অমৃতা রায়। সম্প্রতি বোলতা কামড়ে প্রচার থামিয়ে কৃষ্ণনগর ছেড়ে আপাতত কলকাতায় ফিরেছেন।
প্রশ্ন কোন অনুষ্ঠান ছাড়া কৃষ্ণনগরে নাকি দেখাই মেলে না অমৃতা রায়ের? ভোটে জিতলে তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না? কি বলবেন?
অমৃতা রায়। একেবারেই ঠিক নয়, আমি অধিকাংশ সময় কৃষ্ণনগরেই থাকি। এটা ভুল প্রচার করা হচ্ছে।বাস্তব দুর্গাপুজো, রাস মেলার মতো বিশেষ অনুষ্ঠানের দিনই কৃষ্ণচন্দ্রের রাজ পরিবারের বর্তমান সদস্যরা কৃষ্ণনগরের আসেন। স্থানীয়দের দাবি, অমৃতা রায় ও তার পরিবার অধিকাংশ সময় বালিগঞ্জের সানির পার্কের অভিজাত আবাসনেই থাকেন।

Scroll to Top