এমন এক মর্মান্তিক খবরে ভেঙে পড়েছে সমস্ত বলিপাড়া। খুবই প্রতিভাধার শিল্পী ছিল সুহানা। বয়স হয়েছিল মাত্র ১৯ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, কিছু দিন আগেই এক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন সুহানি। সেই দুর্ঘটনায় তাঁর পা ভেঙে যায়। পরিবারের দাবি, যে ওষুধ তাঁকে দেওয়া হচ্ছিল তা থেকে শরীরের তরলের মাত্রা (ফ্লুইড) ক্রমশ বাড়তে শুরু করে তাঁর। শুরু হয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তিও করা হয় সুহানিকে। আইসিইউতে চলছিল চিকিৎসা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মারা যান তিনি। বলিউডে বেশ পরিচিত শিশুশিল্পী ছিলেন সুহানি। দঙ্গল ছবিতে আমির খানের মেয়ের চরিত্রে তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু বিজ্ঞাপন ও ধারাবাহিকেও কাজ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রীই হবেন। তবে পাশাপাশি চলছিল পড়াশোনা। কিন্তু মাত্র ১৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলো আমাদের প্ৰিয় সুহানি। ঘটনায় শোকে পাথর আমির খানও।
তাঁর প্রযোজনা সংস্থা থেকে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে লেখা, সুহানির এভাবে চলে যাওয়ায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ওঁর মা পূজা ও গোটা পরিবারকে আমাদের সমবেদনা। ও ভীষণ গুণী একজন মানুষ ছিল। ওকে ছাড়া দঙ্গল তৈরিই হত না। সব সময় আমাদের হৃদয়ে তারা হয়ে থাকবে তুমি। ভাল থেকো।
সুহানিকে দঙ্গল ছবির জন্য খুঁজে পেয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় কাস্টিং ডিরেক্টের মুকেশ ছাবড়া। শোকপ্রকাশ করেছেন তিনিও। আজ তাঁর মনে পড়ছে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ১০ হাজার জন মেয়ের মধ্যে থেকে কীভাবে সুহানিকে খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, গীতা ও ববিতার চরিত্রের জন্য ১০ হাজার জন মেয়ের মধ্যে থেকে ওকে খুঁজে পাই।