হাইলাইট
।।১ মের বদলে ১ এপ্রিল থেকে ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত।।পিএমএলএ আইনে ইডির যাকে খুশি গ্রেফতার নয়, কোর্টে তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অনুমতি নিতে হবে।।সংবাদ মাধ্যম ভুল বোঝাচ্ছে, জোটে ছিলাম, আছি, ইন্ডিয়া জোট দিয়েই সরকার গড়ব।।ওরা রবীন্দ্রনাথের ছবি উল্টো ধরে, ওরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, ওরা বাঙালি বিরোধী বাংলার সংস্কৃতি জানে ।।মোদি নয়, এবার দিদি ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে দিল্লিতে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে, গতকাল পর্যন্ত আমাদের হিসেব ওরা ১৯৫, ইন্ডিয়া জোট ৩১৫।।মরিয়া রেখার মিশন তৃণমূল পেটাও।।লড়াই চলছে, ওরা পারলে আমাকে মেরে ফেলতেও পারে।।শুভেন্দুদা না থাকলে সন্দেশখালিতে এতবড় অপারেশন করা যেত না, তৃণমূলকে ফাঁসাতে ৭২ মহিলাকে ২০০০ টাকা করে দিয়ে।।রাজ্যপালের আরও কেলেঙ্কারি আছে পাশে বসাও পাপ, অনেক প্রমাণ আছে, রাজ্যপাল পদত্যাগ করুন আমি আর রাজভবনে যাব না।।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুমকি দিচ্ছেন বিরোধীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখব, শাহ’র সঙ্গে একমঞ্চে কয়লা মাফিয়া জয়দেব।।কেজরির জামিন মঞ্জুর ।।সন্দেশখালি বোঝাল, পাপ তার বাপকেও ছাড়ে না মিথ্যা ধর্ষণ ফাঁস করল বিজেপির লোকেরাই, বুথ পিছু ৫ মহিলার বঙ্গজননী বাহিনী এবার প্রতি ঘরে যাবে।।চমকাইতলা, আরামবাগে সিপিএম খুন করে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ডেডবডি পাচার করত।।ভারতরত্ন চাই না, বাংলার মমতারত্ন পেলেই গর্বিত।।হাইকোর্টের রায়ে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ কারও চাকরি যাচ্ছে না

১ মের বদলে ১ এপ্রিল থেকে ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত

এগরায় মমতা ৩৬৫ দিন। মে মাসের ১ তারিখ থেকে সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়ার ঘোষণা আগেই করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এবার মে মাসের পরিবর্তে

Read More »

পিএমএলএ আইনে ইডির যাকে খুশি গ্রেফতার নয়, কোর্টে তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অনুমতি নিতে হবে

ইডির যথেচ্ছাচারে রাশ, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় ৩৬৫ দিন। নয়াদিল্লি। পিএমএলএ আইনে অভিযুক্ত দেখি য়ে যেকোনো রাজনৈতিক নেতাকে অথবা রাজনৈতিক নেতাদের গণিত ব্যবসায়ীদের নিজের ইচ্ছে

Read More »

সংবাদ মাধ্যম ভুল বোঝাচ্ছে, জোটে ছিলাম, আছি, ইন্ডিয়া জোট দিয়েই সরকার গড়ব

ইন্ডিয়া জোট নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা ৩৬৫ দিন। ‘বাংলায় নয়, সর্বভারতীয় স্তরে আমি ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছি, জোটে ছিলাম, আছি এবং ওই জোট

Read More »

ওরা রবীন্দ্রনাথের ছবি উল্টো ধরে, ওরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, ওরা বাঙালি বিরোধী বাংলার সংস্কৃতি জানে 

বাঙালির অপমানে গর্জে উঠলেন মমতা ৩৬৫ দিন। সন্দেশখালিতে বিজেপি যেভাবে চক্রান্ত করে বাংলার বিরুদ্ধে কুৎসা করেছে তা ‘নরেন্দ্র মোদির জঘন্য অপরাধ’ বলে বার্তা দিলেন বাংলার

Read More »

মোদি নয়, এবার দিদি ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে দিল্লিতে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে, গতকাল পর্যন্ত আমাদের হিসেব ওরা ১৯৫, ইন্ডিয়া জোট ৩১৫

বনগাঁয় মমতার গর্জন ৩৬৫ দিন। এবার আর মোদির সরকার দিল্লিতে ক্ষমতায় আসছে না। গতকালের হিসেব অনুযায়ী ১৯০ থেকে ১৯৫টি আসন তারা পাবে। ৩১৫ টির বেশি

Read More »

মরিয়া রেখার মিশন তৃণমূল পেটাও

সন্দেশখালিতে ৫০০০ টাকার ভুয়ো ‘ধর্ষিতা’ বাহিনীর কেচ্ছা ফাঁস হতেই ৩৬৫ দিন। সন্দেশখালি। প্রথমে ২০০০ টাকা মাথাপিছু দিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় স্তরের

Read More »
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

বাংলা শক্তিভূমি, মাছ ছাড়া তারাপীঠে দেবীর ভোগ হয় না | প্রধানমন্ত্রী জানেন কি স্যার?

বাংলা হল শক্তিভূমি
উপসনা থেকে সংস্কৃতি মাছ,মাংস ছাড়া অস্তিত্বই বিপন্ন

জন্মলগ্ন থেকে বিজেপি বাঙালি-বিদ্বেষী, বাংলা-বিদ্বেষী। ভারতের যতোগুলো প্রধান রাজনৈতিক দল আছে, তাদের চেয়ে বিজেপি সম্পূর্ণ আলাদা, কারণ, সব দল মানুষের কাছে ভোট চায়। বিজেপির পিছনে আছে আরএসএস নামক একটি ভারতীয় নাজিবাদী ফ্যাসিস্ত সংগঠন। তাই বিজেপি কেবল ভোট চায় না। বিজেপি মানুষের মগজ দখল করতে চায়। এবং সেই দখলীকৃত মগজের সাহায্যে নিজেদের ইচ্ছেমতো সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করতে চায় তারা। উত্তর ভারতের গো-বলয়ের আদ্যন্ত পশ্চাৎপদ সঙ্কীর্ণ ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতি তারা চাপিয়ে দিতে চায় দেশের বহুধাবিচিত্র সাংস্কৃতিক, ভাষিক, আঞ্চলিক জনগোষ্ঠীর উপরে। পূর্বভারতের সংস্কৃতি ইতিহাসগতভাবেই উত্তর ভারতের গোরুপূজক সংস্কৃতি থেকে আলাদা। বাঙালি মূলত শাক্ত, মাতৃকাসাধক, তন্ত্রে বিশ্বাসী অথবা শৈব। বৈষ্ণব এবং অন্য কয়েকটি সেক্ট বাদ দিলে বাঙালি মূলত মাছ-মাংসভোজী, আমিশাষী। বৈষ্ণব পরিবারেও লাউ বা কুমড়ো বলি দেওয়া হত পশুবলির রিচুয়াল মেনে। আর, বাঙালির শাক্তসাধনায় মাংস ও মদ অনিবার্য।
কালী বেদপূর্ব। তিনি উপমহাদেশে অন্তত পাঁচ হাজার বছর ধরে পূজিত। সুকুমার সেন লিখেছেন, ঊষা এবং নিশার উপাসনা প্রাচীন কাল থেকে প্ৰচলিত ছিল। হরপ্পা সভ্যতার ঊষা ও নিশা থেকে আজকের দুর্গা ও কালী এসেছেন। ঋগ্বেদে রাত্রিসূক্তে এই নিশার ছায়া আছে।বাঙালি জাতির সবথেকে প্রাচীন প্রত্ন স্থল পাণ্ডু রাজার ঢিবি। চার সহস্র বছর পুরোনো। সেই সভ্যতা ছিল মাতৃকা উপাসক। শক্তির উপাসনা মানেই মৎস এবং পল (মাংস)।’বাঙ্গালীর ইতিহাস: আদি পর্ব’ শীর্ষক মহাগ্রন্থে ইতিহাসবিদ নীহাররঞ্জন রায় লিখেছেন যে বাঙালি জাতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় সভ্যতা দ্বারা প্রভাবিত, এবং সে কারণে প্রাচীনকাল থেকেই চিন, জাপান, ব্রহ্মদেশ বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীদের খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী বঙ্গদেশেও মাছ মাংস খাওয়ার প্রচলন আছে। বঙ্গদেশে মুসলমান শাসনের অনেক আগে থেকেই এখানে আমিষ ভক্ষণের ঐতিহ্য আছে। সুতরাং মোদি যে বলছেন আমিষ খাওয়া মোগল মানসিকতা, তিনি বোধহয় সবটা জেনে বলেন নি। এমনকী দুর্গাপুজো বা অন্যান্য উৎসবেও বাঙালিরা আমিষ খায়। বাঙালিকে এই খাদ্যাভ্যাস পালটাতে বলার স্পর্ধা কেউই আজ অব্দি দেখায়নি।
কারণ, বাঙালির এই বিশেষ সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বিজেপির কোনও পরিচয় বা একাত্মতা নেই। তারা মূলত ফ্যাসিবাদী কায়দায় অন্য জনগোষ্ঠীর উপরে নিজেদের সংস্কৃতি এবং খাদ্যাভ্যাস চাপিয়ে দিতে চায়। সেই বলপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষার একটি কদর্য নিদর্শন কাশ্মীরের নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ, যেখানে তিনি বলেছেন, যারা রামনবমীতে মাছ-মাংস খায়, তারা হিন্দু নয়। তারা দেশদ্রোহী। এটি কোনও আলটপকা মন্তব্য নয়। এটির পিছনে আরএসএস-এর ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র নির্মাণের যাবতীয় নীল নকশার সারবস্তুটুকু লুকিয়ে আছে। এমনিতেই বিজেপি নেতারা হুমকি দিচ্ছেন, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে দেশের সংবিধান বদলে দেবেন। বাকস্বাধীনতা, যা সংবিধানের আর্টিকল ১৯-এর একটি প্রধান অধিকার সেটি ছিনিয়ে নেবেন তাঁরা। ফলত মোদিজির এই ভাষণ বাঙালির কাছে আজ একটি থ্রেট।

বাঙালিকে আজ সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি নিজেদের জাতিগত অস্মিতা বজায় রাখবে, নাকি হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থানের আধিপত্যবাদী গেরুয়া সংস্কৃতি মেনে নেবে? আমরা কি আমাদের প্রিয় বাংলার গেরুয়াকরণ মেনে নেব, নাকি সোচ্চারে, সজোরে বলব: গেরুয়া আধিপত্যবাদী বিজেপি বাংলা থেকে দূর হটো। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানি আধিপত্যবাদ মানছি না, মানব না। আসুন, আমরা সমবেতভাবে এই ফ্যাসিস্ত ফতোয়া অগ্রাহ্য করি। আমাদের খাদ্যাভ্যাসের উপর কারো অনৈতিক হস্তক্ষেপ আমরা মানছি না। মানব না।

ড. অর্ণব সাহা। অধ্যাপক।

Scroll to Top