৩৬৫ দিন। ‘প্রধানমন্ত্রী কালকে জলপাইগুড়িতে মিটিং করতে গিয়েছিলেন, আমার কোন আপত্তি নেই। আপনি পশ্চিম বাংলায় ব্লকে ব্লকে মিটিং করুন আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আপনি মিটিং করে জলপাইগুড়ির মানুষকে কোন সাহায্যের কথা বললেন না! যাদের ঘরগুলো পড়ে গেছে, যাদের বাচ্চারা মরে গেছে। যারা আজও রাস্তায় পড়ে আছে। আমি মধ্যরাতে ছুটে গিয়েছিলাম জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার কোচবিহারের ওখানে। রিলিফ দিয়েছি। আর বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেবে বলে প্রশাসন নির্বাচন কমিশনকে লিখেছে। এটা কেন্দ্রের টাকা নয়, আমরা দেব টাকা। তবুও অনুমতি পাচ্ছি না, নির্বাচন না থাকলে আমি এক সেকেন্ডে করে দিতাম। নির্বাচন বলে আমাকে অনুমতি নিতে হচ্ছে। আর বিজেপি বলছে নির্বাচনের আগে দেবে না।’সোমবার বাঁকুড়ার জনসভা থেকে এভাবেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ৪ জুন নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী ‘চুন চুনকে’ তৃণমূল কর্মীদের জেলে ভরবেন, এই প্রসঙ্গ ছাড়াও এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে পুরোদস্তুর ভারতীয় জনতা পার্টির সন্ত্রাসের সমালোচনা করেছেন। পরিশেষে বাঁকুড়ার রায়পুরে আদিবাসীদের সঙ্গে তাদের পোশাক গায়ে নিয়েই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের গানে নাচে পা মিলিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জনসভা থেকে যা বললেন,
১. মোদিজি আপনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্বোধন করে বলছি আপনি ভালো থাকুন। কিন্তু একটা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ ভাষা কি শোভা পায় যে ৪ জুন হয়ে গেলে, চুনচুন কে অ্যারেস্ট করেগা। আরে এখনই তো ভারতবর্ষকে জেলে পরিণত করেছেন। লোকতন্ত্র গণতন্ত্রকে জেলে ভরে দিয়েছেন। আপনার এক পকেটে এনআইএ, আর এক পকেটে সিবিআই। এক পকেটে ইডি তো আর এক পকেটে ইনকাম ট্যাক্স। এন আইএ আর সি বি আই বিজেপির ভাই ভাই। ইডি আর ইনকাম ট্যাক্স, বিজেপির ফান্ড কালেকশন বক্স। কাকে ধমক দিচ্ছেন আপনি? আমরা আপনাকে ভয় পাই না। আমাদের পাঁচ জন গ্রেপ্তার হবে, তোদের স্ত্রী এরা বাইরে বেরোবে। যদি আপনি জনতার ভোটেই যেতেন, তাহলে আমাদের এজেন্টকে গ্রেফতার করছেন কেন? মোদি কা গ্যারান্টি, জুন মাসের পর সবাইকে জেলে ভরে দেবে। আমাদের গ্যারান্টি হল মা মাটি মানুষ। আই এম নো বডি।
২. হেমন্তকে গ্রেফতার করলেন কেন? হেমন্তের স্ত্রীর সঙ্গে গতকাল আমার কথা হল। একজন মাত্র ট্রাইবেল লিডার ছিলেন, যিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করে রেখে দিয়েছেন। কিন্তু ওর কোন এসে যায় না। অনেক বেশি ভোটে এরা জিতবে।
৩. আপনি আমাদের ঘরে গিয়ে পরশুদিন মহিলাদের বিরক্ত করেছেন। কেন আপনি না বলে যাবেন। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। আপনি রাত তিনটের সময় মহিলাদের ওপর আক্রমণ করবেন, আর সকাল পাঁচটার সময় পুলিশকে জানাবেন। এটা কখনো হতে পারে। হুংকার দিচ্ছেন, আপনার হুংকার আপনার দলকে চাঙ্গা করার জন্য দিন। গণতন্ত্রের জন্য ওটা কার্বন ডাই অক্সাইড। ওটা নির্বাচনে কাজ করে না। নির্বাচনের পর তো এখানে আমাদের সরকার থাকবে। আমিও তো বলতে পারি, আমি আপনাদের সবাইকে জেলে পাঠাব। কিন্তু আমি এই কথা কোনদিন বলব না। আমাকে লোহার ডান্ডা দিয়ে মেরে সিপিএম খুন করতে গিয়েছিল। আমার মুখ বন্ধ করা সহজ নয়। আপনাদের মত আমি দাম্ভিক নই। আমি একজন সাধারন মানুষ।
৪. মিথ্যে কথা বলছে দুর্নীতি। কোথায় দুর্নীতি প্রমাণ করে দেখাও। মুখে বললেই হয়ে গেল, চোরেদের গুন্ডাদের সম্রাট। কেন তোমার গরু আসে উত্তর প্রদেশ রাজস্থান থেকে টাকা খেতে খেতে? আমরা চাইনা বাংলা দিয়ে আসুক। ওটা বিএসএফ এর আন্ডারে। নিজেরা সামলাতে পারো না জুমলা সরকার। এ বছরের 100 দিনের কাজের টাকা দেয়নি তা সত্ত্বেও ৪৫ দিনের কাজ করে দিয়েছি। আবাস যোজনায় আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনবার মিট করেছি, কোই টাকাতো দিলে না। বিজেপির কল সেন্টার থেকে ফোন করে বলছে আপনার আবাসের টাকা বাকি আছে। করবেন না, ওটা করলে আপনার নাম বাতিল করে দেবে। আবাস আমরাই করে দেব। নির্বাচন শেষ হলেই প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে করে দেব।
৫. এন আর সি আর ক্যা, মানুষ সাবধান। মাছের মাথাটা হচ্ছে ক্যা, আর লেজুটা হচ্ছে এনআরসি। যে মুহূর্তে এপ্লিকেশন করলেন, আপনি এনআরসিতে পড়ে গেলেন। আপনাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকতে হবে। আপনি তখন বিদেশি হয়ে গেলেন। খবরদার কেউ ভুল করেও ক্যা নাম লেখাবেন না।
৬. আপনি হুংকার দিলে জেনে রাখবেন আমরা হচ্ছি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। মৃত বাঘের থেকেও আহত ভাগ আরো সাংঘাতিক। আমরা যদি লড়াই করি, সেই লড়াই সামলানোর ক্ষমতা আপনাদের কারোর নেই। গণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলুন, গ্রেফতার বন্ধ করুন, বিজেপি যে দু নম্বরী কাজ করছে সেটা বারণ করুন।
৭. ইন্ডিয়া গাটবন্ধন, দিল্লিতে আছে। কিন্তু বাংলায় নেই। এখানে কংগ্রেস সিপিএম বিজেপির সঙ্গে আছে। তাই মনে রাখবেন কংগ্রেস সিপিএমকে দিয়ে ভোটটা নষ্ট করবেন না। তৃণমূল কে দেবেন।
৮. বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর দুটো আসনই পেয়েছিল বিজেপি দল। বাঁকুড়ার এমপি কিছু করেছে? বিষ্ণুপুরের এমপি কিছু করেছে? কবার রায়পুরে এসেছেন? কবার তালডাংরা এসেছেন? নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত, এরা মানুষের কাজ নিয়ে ব্যস্ত নয়। বিষ্ণুপুর, জানিনা ডিভোর্স হয়েছে কিনা, তার স্ত্রী দাড়িয়েছে সেখানে। তার যদি আমি ফটোগুলো খুলি, তাহলে বুঝতে পারবেন বিজেপি কত আদর্শ বাদ দল। সব ছবি আমার কাছে আছে।
৯. আমি দশ দিন ধরে বাইরে আছি। আজ কলকাতা ফিরতেই হবে। কারণ ঈদ মোবারক এর দিন আমাকে রেড রোডের প্রার্থনায় থাকতে হয়।
১০. আমি আগেরবার বিধানসভায় বলেছিলাম, আমরা জিতলে পাঁচশো টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডার দেব। এবং তপশিলি আদিবাসীরা হাজার টাকা করে পাবেন। কৃষক ভাতা বছরের ১০,০০০ টাকা করে দিই কি দিই না? সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিয়েছি আবার দেব। কোথা থেকে পাব এত টাকা? কেন্দ্র তো আমাদের এক পয়সাও দেয় না। ৬ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে আমাদের টাকা। আর ১ লক্ষ ৮৪ হাজার কোটি টাকা দেয় নি। তা সত্ত্বেও সবার মাইনে বাড়ানো হয়েছে। লক্ষীর ভান্ডার ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। আদিবাসীদের জন্য ১২০০ টাকা করা হয়েছে। আমরা দু কোটি ১৫ লক্ষ মা বোনেদের লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছি। এটা আপনাদের মেয়েদের গ্যারান্টি। আমরা কেন্দু পাতার দাম বাড়িয়েছি। হাতির হামলায় কেউ মারা গেলে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি, পাঁচ লক্ষ টাকা।
৬ মাসের মধ্যে শুরু হবে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ
পুরুলিয়ায় মোদির মঞ্চে ভারত সেবাশ্রমের সাধু
১ মের বদলে ১ এপ্রিল থেকে ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত
পিএমএলএ আইনে ইডির যাকে খুশি গ্রেফতার নয়, কোর্টে তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অনুমতি নিতে হবে
সংবাদ মাধ্যম ভুল বোঝাচ্ছে, জোটে ছিলাম, আছি, ইন্ডিয়া জোট দিয়েই সরকার গড়ব
ওরা রবীন্দ্রনাথের ছবি উল্টো ধরে, ওরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, ওরা বাঙালি বিরোধী বাংলার সংস্কৃতি জানে
মোদি নয়, এবার দিদি ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে দিল্লিতে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে, গতকাল পর্যন্ত আমাদের হিসেব ওরা ১৯৫, ইন্ডিয়া জোট ৩১৫
মরিয়া রেখার মিশন তৃণমূল পেটাও
লড়াই চলছে, ওরা পারলে আমাকে মেরে ফেলতেও পারে
শুভেন্দুদা না থাকলে সন্দেশখালিতে এতবড় অপারেশন করা যেত না, তৃণমূলকে ফাঁসাতে ৭২ মহিলাকে ২০০০ টাকা করে দিয়ে
বিজেপির একটা বুথে মদ খাওয়ার খরচ ৫০০০ টাকা
কুলতলিতে অভিষেকের বোমা ৩৬৫ দিন। আমি শুধু চার লক্ষ ব্যবধান চাই। দেশের মধ্যে যেন এক নম্বর হয়। মোদীজীকে বলব এখানে বিজেপির পতাকা ধরার কেউ নেই।
৬ মাসের মধ্যে শুরু হবে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ
দেবকে পাশে নিয়ে অভিষেকের ঘোষণা ৩৬৫ দিন। ভোট গ্রহণের কয়েক ঘন্টা আগে তখন মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে পুরুলিয়ায় জনসভা করছেন নরেন্দ্র মোদি। আর ঝাড়গ্রামের জনসভায়
পুরুলিয়ায় মোদির মঞ্চে ভারত সেবাশ্রমের সাধু
মমতার বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ প্রমাণিত ৩৬৫ দিন। তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে। ঝাড়গ্রামের জনসভা থেকে মমতা রীতিমতো আক্ষেপের সঙ্গে
১ মের বদলে ১ এপ্রিল থেকে ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত
এগরায় মমতা ৩৬৫ দিন। মে মাসের ১ তারিখ থেকে সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়ার ঘোষণা আগেই করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এবার মে মাসের পরিবর্তে
পিএমএলএ আইনে ইডির যাকে খুশি গ্রেফতার নয়, কোর্টে তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অনুমতি নিতে হবে
ইডির যথেচ্ছাচারে রাশ, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় ৩৬৫ দিন। নয়াদিল্লি। পিএমএলএ আইনে অভিযুক্ত দেখি য়ে যেকোনো রাজনৈতিক নেতাকে অথবা রাজনৈতিক নেতাদের গণিত ব্যবসায়ীদের নিজের ইচ্ছে
সংবাদ মাধ্যম ভুল বোঝাচ্ছে, জোটে ছিলাম, আছি, ইন্ডিয়া জোট দিয়েই সরকার গড়ব
ইন্ডিয়া জোট নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা ৩৬৫ দিন। ‘বাংলায় নয়, সর্বভারতীয় স্তরে আমি ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছি, জোটে ছিলাম, আছি এবং ওই জোট