কুলতলিতে অভিষেকের বোমা
৩৬৫ দিন। আমি শুধু চার লক্ষ ব্যবধান চাই। দেশের মধ্যে যেন এক নম্বর হয়। মোদীজীকে বলব এখানে বিজেপির পতাকা ধরার কেউ নেই। আমার পার্টি অফিসে পতাকা পতপত করে উড়ছে। কেউ বুথে বসতে না পারলে, দেওয়াল লিখতে না পারলে আমি কি করব? এভাবেই আজ নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে বর্ণাঢ্য রোড শো-র পরে ভাজপা এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে খোলার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে রেকর্ড জয়ের টার্গেট ঘোষণা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ প্রথমে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মন্ডল এর সমর্থনে কলতলীতে জনসভা এবং তারপরে ডায়মন্ড হারবারে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে রোড শো করেন অভিষেক।
আজ অভিষেক বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ। অথচ বিজেপির একটি বুথে মদ খাওয়ার খরচ বলছে পাঁচ হাজার।
বিজেপির সন্দেশখালির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলছেন, একটি বুথে মদ খাওয়ার খরচ পাঁচ হাজার।
বাংলায় কত বুথ আছে জানেন? আশি হাজার। একটা বুথে পাঁচ হাজার হলে আশি হাজার বুথে ৪০ কোটি টাকা। বিজেপির বাড়ির টাকা বন্ধ আর বিজেপির ভোটের দিন মদের বাজেট ৪০ কোটি।
এত টাকার মদ কে খাবে? অবাক হওয়ার কিছু নেই। এলাকায় কোনও ভাল লোক বিজেপি করে না। আর তাই জন্য মদের বাজেট এত।
বিজেপি লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে চায়। বিজেপি নেতারা এলে জিজ্ঞাসা করুন। আমি আছি তো, দেখি কে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে। যত দিন তৃণমূল সরকার রয়েছে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীও লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে পারবেন না।
৪ জুন ফল বেরোবে কিন্তু বিজেপি সরকার গড়তে পারবে না। সরকার গড়বে ইন্ডিয়া জোটই।
২০১৯ সাল থেকে আমার ও মা-বাবার উপর লাগাতার কেন্দ্রীয় এজেন্সির অত্যাচার দেখেছেন। যারা টিভির সামনে বসে আমার বাপ বাপান্ত করে, তারা আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী খুঁজে পায় না। এক মাস লেগেছে প্রার্থী খুঁজে পেতে। যা হচ্ছে বলছে তাতে নাকি অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আর তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী। আপনারা প্রার্থী না পেলে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কি করবে?
বিরোধীরা আসলে জিজ্ঞাসা করবেন, কোভিডের সময় কোথায় ছিলেন? মা-বোনেদের মুখে সেই সময় খাবার তুলে দিয়েছিল কি - না? আমি বয়স্কদের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছিলাম বলে আমাকে বিজেপি ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করেছিল। কিন্তু সারা দেশে এই কাজ কেউ করতে পারেনি।
= ১০ বছরে ৫৫৮০ কোটি টাকার কাজ করেছি। মুখে বলছি না প্রতিবছর সব তথ্য, হিসাব দিয়ে বার করেছি নিঃশব্দ বিপ্লব বই। দিন -পিছু এক কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার কাজ করেছি। প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৬ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে।
- ২০১৯ সালে সৌন্দর্যায়ণের কাজে গঙ্গার ধারে রাস্তা ভেঙে। গিয়েছিল। আর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছিল, আমি নাকি ডায়মন্ড হারবার নষ্ট করে ফেলেছি। ২৪ ঘন্টায় সেই রাস্তা ঠিক করেছি।
আমি ২৩ থেকে ৩০ তারিখ শেষ সাতদিন কোথাও যাব না। আমি ডায়মন্ড হারবার আর দক্ষিণ ২৪ পরগণায় থাকব। যে বুথে ডাকবেন সেই বুথে যাব। আমি ভোটের দিন বুথে যাই না। আপনারা জান্নে। আমি ডায়মন্ড আসতে পারি। কিন্তু আমি ভোটের দিন বুথে আসি না। শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, মহম্মদ সেলিম, অধীর চৌধুরী সারা বছর আমার বাপ বাপান্ত করেন। আমার বিরুদ্ধে এসে ভোটে দাঁড়ান না কেন? এখানে টাকা দিয়ে ঘর ভাঙতে এসেছিল। প্রাক্তন বিধায়ক দীপক হালদারকে নিয়ে গেলেন। সে এখন প্রাক্তন হয়ে গেছে। আর যারা বাপ বাপান্ত করেন, তারা এসে লড়ুক না। আমি তো বারণ করিনি। মেঘের আড়াল থেকে কথা বলছ কেন? আমি ১০ বছর ধরে এখ ানের সাংসদ। মোদী ১০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী। এখানে কী কাজ করেছেন, তার হিসাব নিয়ে আসুন। আমি ৭০ হাজার থেকে ব্যবধান বাড়িয়ে ৩ লাখ করেছি। আমি শুধু চাই চার লাখ ব্যবধানে জয়। প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে ১০০ সভা করুন। আমার চার লক্ষ ব্যবধান
আপনি, সিবিআই আটকাতে পারবে না। আমার কাছে ব্রহ্মাস্ত্র আছে। ব্রহ্মাস্ত্র আমার মানুষ। ডায়মন্ড হারবারে আমি আছি বলে কিছু করতে। পারেনি। আর আমি খালি মুখ্যমন্ত্রীকে ধরি এটা চাই, ওটা চাই বলে। আর উনি মানা করেন না। লোক নেই। বুথে এজেন্ট বসানোর লোক নেই। আমি শুনলাম এজেন্ট বসাতে ১০ হাজার টাকা দেবে বলছে। একটা প্রার্থী করতে এক মাস লেগেছে। তাহলে ভাবুন ২০০০ বুথে এজেন্ট বসাতে কতদিন লাগবে।