হামলা থেকে বাদ গেলেন না উপাচার্য, চড় থাপ্পড় মারা হল
৩৬৫ দিন। শিক্ষা মন্ত্রীর ওপরে প্রাণঘাতী হামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ছাত্রদের একাংশের আক্রমনের অভিযোগে যাদবপুরের ১৭ জন মাওমাকুর বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের হল যাদবপুর থানায়। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ব্রাত্য বসুর ওপর পরিকল্পিত গেরিলা আক্রমণে আহত হন খোদ মন্ত্রী। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়। আহত হন মন্ত্রী নিরাপত্তারক্ষীরাও। ওয়েবকুপার একাধিক অধ্যাপক এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরাও মাওমাকুদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে। ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রীর ঘড়ি চুরি যায়। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তান্ডব চালানো হয়েছে। ভাঙা হয়েছে তৃণমূল শিক্ষা বন্ধুর অফিস। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, চুরি, হেনস্থা, শারীরিক আক্রমণের অভিযোগে যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে, ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়। বিপ্লবী ছাত্র ফ্রন্টের সদস্য। সুজয় মণ্ডল কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। ডিএসএফের সক্রিয় কর্মী। ডিএসএফের সদস্য গোলাম মুজাদ্দিদ আলম। ব্রহ্মানী ভট্টাচার্য কেমিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী। ফেটসুর সদস্য। আইএসইউ এর সদস্য আনুষ্ণা দাস। এছাড়াও এফআইআর- এ নাম রয়েছে উদ্দীপন কুন্ডুর। ইলেকট্রনিক্স টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের পড়ুয়া। ডিএসএফের সক্রিয় সদস্য। দেবার্ঘ যশ নামে ডিএসএফ আরও এক সদস্যের নামে অভিযোগ করা হয়েছে। অনির্বাণ সাধুখার নাম রয়েছে এফআইআরএ।শনিবারের ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সদস্য আহত হন। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আইনি ব্যবস্থা নেবে সংগঠন। আমি সুস্থ আছি। আমি চিন্তিত আমার অধ্যাপকদের নিয়ে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার তিন সহকর্মী থানায় গিয়েছে। দলের চেয়ারপার্সনকে সব জানিয়েছি। আমাকে উপাচার্য পুলিশ ডাকতে বললেও আমি রাজি হয়নি। আমি আলোচনায় রাজি ছিলাম। এস এফ আই আমাকে এসে ডেপুটেশন দিয়েছে। কিন্তু ওরা চল্লিশ জনের সঙ্গে দেখা করতে বলে। আমি বলেছিলাম চার জনের সঙ্গে দেখা করব বলেছিলাম।আমি পনেরো মিনিট অপেক্ষাও করি।’ এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত ছিলেন। তাকেও হেনস্থা করে যাদবপুরের মাওমাকুরা। এমনকি আহত ছাত্রদের দেখতে কেপিসি হাসপাতালে গেলে সেখানেও তাকে মারধর করে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলা হয় ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, কয়জন ছাত্র আমায় দেখে তেড়ে আসে। তার মধ্যে কয়েকজন ছাত্রীও ছিল। তারা আমার পাঞ্জাবি ছেড়ে দেয়।’ উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় যাদবপুর থানায় যান ওয়েবকুপার সদস্য, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির কর্মীরা।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপর বর্বরোচিত আক্রমণের প্রতিবাদে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন বিরাট মিছিল করা হয়।