বইমেলা প্রাঙ্গণে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ মুহুর্তের কাজ চলছে

বইমেলায় ক্যাব স্ট্যান্ড, থাকছে সাইকেল কোন স্টল কোথায় জানতে বিশেষ অ্যাপ

৩৬৫ দিন  আর মাত্র কয়েকঘন্টা।বছর শুরুতেই যে ইভেন্টের জন্য সবাই অপেক্ষা করে থাকে,সেটাই শুরু হতে চলেছে।প্রতিবছরের মতোই মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই মঙ্গলবার খুলছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার গেট।এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাহিত্যিক আবুল বাশারকে গিল্ডের তরফ থেকে জীবনব্যাপী সাহিত্য সম্মান পুরস্কার দেওয়া হবে।যার মূল্য ২লক্ষ টাকা।এই পুরস্কার তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।২৮জানুয়ারি থেকে বইমেলা শুরু হচ্ছে চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।আর এই বইমেলা ঘিরে থাকে নানা আয়োজন।এবার অবশ্য অনেক উদ্যোগের মধ্যে,একটি বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে গিল্ড

অ্যাপ ক্যাব স্ট্যান্ড
বইমেলার ৫ নং গেটের সামনে থাকবে অ্যাপ ক্যাব স্ট্যান্ড।রাজ্য সরকারের যাত্রী সাথী অ্যাপ থেকে শুরু করে ওলা-উবেরের স্ট্যান্ডও থাকছে।সেখানে গিয়ে খুব তাড়াতাড়ি বুক করে নেওয়া যাবে গাড়ি।এই বিষয়ে গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে জানিয়েছেন,বইমেলায় এবার একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।এই অ্যাপ ক্যাব স্ট্যান্ড মানুষের অনেক কাজেই আসবে।নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডে গেলেই পাওয়া যাবে ক্যাব।এরই সঙ্গে থাকছে সাইকেল স্ট্যান্ড।গত কয়েকবছর ধরেই লক্ষ্য করা গেছে অনেক মানুষই সাইকেল নিয়ে বইমেলা ঘুরতে আসে।তবে রাখার জায়গা নিয়ে সমস্যা হয়।তবে এবছর সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।থাকছে সাইকেল স্ট্যান্ড।

কেবিএফ(কলকাতা বুক ফেয়ার) অ্যাপ
কোথায় আছে কোন স্টল?এবার  বাড়ি থেকেই ঠিক করে চলে যেতে পারবেন পছন্দের স্টলে।স্মার্টফোন থাকলেই এই সুবিধা পাবেন।শুধু কেবিএফ(কলকাতা বুক ফেয়ার) অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে প্লে স্টোর থেকে।গুগল লোকেশন অনুযায়ী মেলার মধ্যে যেকোনও স্টল খুঁজে পেয়ে যাবেন।এই অ্যাপ তৈরি করেছে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি।এছাড়াও মেলার বিভিন্ন স্থানে থাকছে কিউআর কোড।যা স্ক্যান করে অ্যাপ এবং ম্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন।

বইমেলার ম্যাসকট
এবছর প্রথমবার কলকাতা বইমেলার নিজস্ব ম্যাসকট প্রকাশ করেছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড। ম্যাসকট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে জোড়া হাঁসকে।কোনও আন্তর্জাতিক বইমেলায় ম্যাসকট দেখা যায় না।কিন্তু কলকাতা বইমেলা সারা বিশ্বের বইমেলাগুলোকে টপকে যে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছে, তারই প্রমান হচ্ছে এবারের জোড়া হাঁস ম্যাসকট। সাধারণত ম্যাসকট দেখে ইভেন্টের গুরুত্ব ও তার বিশালতা বোঝা যায়। ম্যাসকটের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইভেন্টেকে আরও বেশি করে মানুষের মধ্যে প্রচার করা হয়। বহু বছর ধরেই কলকাতা বইমেলা দেশের গণ্ডি পার করে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট বইমেলাও কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার কাছে এখন ম্লান হয়ে গেছে।এমনকি লন্ডন, স্ট্র্যানফোর্ড, কায়রোর মতো আন্তর্জাতিক বইমেলাকে অনেকদিন আগেই পিছনে ফেলে এসেছে কলকাতার বইমেলা।গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ৪৮ বছর ধরে কলকাতার বইমেলা হচ্ছে। প্রতিবছর আমাদের বইমেলার কলেবরে বাড়ছে। প্রতিবার নতুন প্রকাশকরা মেলায় অংশ নিতে চাইছে, সবাইকে সব সময় আমরা জায়গাও করে দিতে পারছি না। কিন্তু এটা বলতে পারি, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা এখন বিশ্বের সেরা বইমেলায় পরিণত হয়েছে।

বইমেলায় থাকছে না হ্যাঙ্গার
এবছর সল্টলেকের বইমেলা প্রাঙ্গনের মাঠে ইংরেজি ভাষার প্রকাশকদের জন্য আলাদা কোনও হ্যাঙারও রাখা হচ্ছে না। ৪৮ তম বইমেলা পুরোটাই হবে খোলা আকাশের নীচে। কেন এই উদ্যোগ? ইংরেজি বইয়ের প্রকাশকদের বেশি করে জায়গা দিতেই হ্যাঙ্গার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গিল কর্তৃপক্ষ। গত বার ১০০টির মতো ইংরেজি ভাষার প্রকাশক এলে এ বার ১২৫টির মতো প্রকাশক থাকবেন। এবছর বইমেলার থিম কান্ট্রি জার্মানি।

Scroll to Top