নিউটাউন বইমেলার অভিনব আকর্ষণ

মুখ্যমন্ত্রীর বইপত্র নিয়ে পৃথক প্যাডেলিয়ন

 

১১ তম নিউটাউন বইমেলায় মমতা বিতান প্যাডেনিলয়ন। সবে ফিনিশিং টাচ পড়ল, সামনে বাগান।

৩৬৫ দিন। বড়দিনে জমজমাট নিউটাউন সিটি স্কোয়ার, শুরু হয়ে গেল নিউটাউন বইমেলা। বুধবারের সন্ধ্যায় বইমেলা উদ্বোধন করা হল। কমল চক্রবর্তী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কবি জয় গোস্বামী, মুখ ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যান হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, হিডকোর উচ্চপদস্থ আধিকারিক শশাঙ্ক শেঠি, প্রশান্ত বাড়ুই, বিশিষ্ট শিল্পপতি সত্যম রায়চৌধুরি, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ও বুলসেলার্স অ্যান্ড পাবলিসার্স গিল্ডের অধিকর্তা সুধাংশুশেখর দে, ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।

মমতা বিতানের সামনে বাগানে আড্ডা মারছেন জয় গোস্বামী, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, এইচ কে দ্বিবেদী।

বড়দিনের ছুটিতে মেলার শুরুতেই বইপ্রেমিরা ভিড় জমিয়েছেন মাঠে। যত দিন বাড়তে ততই বাড়বে পাঠকদের সংখ্যাও। ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে নিউটাউন বইমেলা। কলকাতা বইমেলার পাশাপাশি সারা রাজ্যের ছোট থেকে বড় ব্লকের বইমেলাগুলিতেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার লেখা গল্প এবং কবিতা সমগ্র প্রতিটি জায়গাতেই আলাদাভাবে স্টলে পাওয়া যেত। কেবলমাত্র নিউটাউন বইমেলাতেই মমতার লেখা বই বা কবিতা সমগ্র পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে হন্যে হয়ে খুঁজতে হতো। ১১ তম বর্ষে এসে নিউটাউন বইমেলা এই প্রথম মমতা বিতান নামের নতুন স্টল তৈরি করেছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা প্রতিটি সমগ্র খুব সহজেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।

মমতা বিতানে আর্টস স্টুডিও’র মতো করে সাজানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বইপত্র এবং ছবি। প্যাভেলিয়ন তৈরি করেছে নিউটাউন বইমেলা কর্তৃপক্ষ। সহযোগিতায় খবর ৩৬৫ দিন।

শুধু তাই নয় বহু মানুষ বইমেলাতে জাগো বাংলা’র স্টল থেকে মমতার সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তার ছবিও সংগ্রহ করে থাকেন। নিউ টাউন বইমেলার একই রকম ভাবে মমতা বিতান স্টলে থাকছে মমতার সংগ্রামের নানা ছবি, তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির পাশাপাশি সেই ছবিগুলোও ছিল বাড়তি আকর্ষণ। বুধবার বড়দিনের সন্ধ্যায় এই স্টলটি উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কবি জয় গোস্বামী। শুধু তাই নয় তার সঙ্গে এদিন তিনি ওই স্টল থেকে দুটি বই যথাক্রমে কোভিডের দিনলিপি এবং মমতার গদ্য সমগ্ৰ নিজে সংগ্রহ করেন।

 

 

 

Scroll to Top