উফ কী গরম !
Part- 206

HOT GIRL

জর্জিয়া পালমাস

৩৬৫ দিন। ইতালির ১০ জন মডেল-অভিনেত্রীর মধ্যে একজন জর্জিয়া পালমাস।২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ড এর প্রতিযোগি ছিলেন।তবে সেই বছর মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব অবশ্য ভারতই পেয়েছিল।প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কাছে হেরে গিয়েছিলেন।তবে তার পরের বছরই ভেলিন টেলেন্ট শো জিতেছিলেন।এরপর থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।তাঁর সব থেকে জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ছিল স্ট্রিসশিয়া লা নটিজিয়া।জর্জিয়ার জন্ম কাগলিয়ারিতে।বয়স ৪২ বছর।তবে তিনি স্বাস্থ্য চর্চায় বেশ এগিয়ে।তাঁর ইনস্টাগ্রাম ফলো করলেই জানা যাবে,সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি কি করেন।একটা ইনস্টাগ্রাম লাইভেই তিনি জানিয়েছিলেন,কিভাবে জর্জিয়া এই মিডিয়া দুনিয়ায় এলেন।সেখ ানেই বলেছিলেন,ছোট থেকেই ক্যামেরার সামনে থাকার প্রবল ইচ্ছে ছিল।তাই আয়নার সামনেও নিজেকে বার বার ধরা দিত।বুঝতে পারেন মা বাবা। ১৯৯৮ সালে সেই স্বপ্ন দেখাই সত্যি হয়।মা নিজের মেয়ের ছবি পাঠিয়ে দেয় মডেল এজেন্সির জন্য মেয়ের ছবি পাঠিয়ে দেন।ফল স্বরূপ জায়গা করে নেয় একটি বড় মডেল এজেন্সির এর ফিচার মডেল।এখন তিনি সফল মডেলদের মধ্যে সঙ্গে সঙ্গে একজন অভিনেত্রীও।সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতি বেশ চোখে পড়ার মতো।সব সময়ই কোনো না কোনও নতুন অবতারে দেখা দেন তিনি। কখনও বিকিনিতে,কখনও মনোকিনিতে নজর কেড়েছেন তিনি।

HOT SPOT
ইতালি রোম

পালাজ্জো মাসিমো অথবা মুসেই কাপিতোলিনি তে রাখা আছে অসংখ্য মৃত্যু মুখোশ আশ্চর্য সংগ্রহ দেখতে ভুলবেন না

ঊর্মি রায়৩৬৫ দিন রোমে মিউজিয়াম হল শুঁড়িখানার মতো।পথে পথে প্রায়।সকলেই প্রচার করছে আমিই শ্রেষ্ঠ।টিকিট কেটে ঢুকে পড়ুন পুরাতত্ত্বের প্রদর্শনীতে।এই সবের মধ্যে ‘পালাজ্জো মাসিমা’ সংগ্রহশালায় অন্যতম।যেখানে রোমানদের মৃত্যু মুখোশ (ডেথ মাস্ক)এক আশ্চর্য আবিষ্কার। পৃথিবীর অধিকাংশ উচ্চস্তরের সভ্যতাই (হিন্দুরা ছাড়া) এটি গ্রহণ করেছে এবং ব্যক্তি শোক, ব্যক্তি আইডেন্টিটি পরিবার থেকে বৃহত্তর পরিবার এবং সেখান থেকে দূরবর্তী আত্মীয় পরিচিত পর্যন্ত,ছড়িয়ে দেওয়ার যে রিচ্যুয়াল তা দেখে স্তম্ভিত হতে হয়।কীভাবে মৃত্যু মুখোশ বানানো হয়,কে সেই মুখোশ পরার অধিকারী (তিনিই যিনি প্রয়াত’র মুখাবয়বের সবচেয়ে কাছাকাছি, লুক অ্যালাইক) কখন সেই মুখোশ পরা হবে,মুখোশ কীভাবে ব্যক্তিগত শোককে ব্যক্তি ছাড়িয়ে বৃহত্তর বাতাবরণে পৌঁছে দিতে পারবে এর দীর্ঘ ব্যাখ্যা আছে।আগ্রহীরা বিষয়টি নিয়ে পড়াশুনা করতে পারেন।প্রসঙ্গত রোমের ‘মুসেই কাপিতোলিনি’তে মৃত্যু মুখোশের বিপুল সংগ্রহ রয়েছে।প্রসঙ্গত,প্রাচীনকাল থেকে মিশর, গ্রিস, রোম-সহ বিভিন্ন দেশের সভ্যতায় পিতৃপুরুষদের মৃত্যুর পর তাঁদের মুখের ছাঁচ তুলে রাখার প্রথা ছিল।এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকত ধর্মীয় বিশ্বাস ও নানা অনুষ্ঠানের অনুষঙ্গও। আধুনিক ইউরোপীয় সভ্যতায় এ সব অপরিহার্য না হলেও, স্মৃতিরক্ষার কারণে বিশিষ্ট মানুষদের ‘ডেথ মাস্ক’ তুলে রাখার প্রথা চালু ছিল আঠারো-উনিশ শতকেও।সম্রাট নেপোলিয়ন বা কবি কিটসের ‘ডেথ মাস্ক’ এমনই এক-একটি ঐতিহাসিক উদাহরণ।রামমোহন ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন ভারতের রাজদূত হয়ে,সেখানে পণ্ডিত ও সুবক্তা হিসেবে তিনি যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন রেছিলেন।তাই ব্রিস্টলে তাঁর প্রয়াণের পর গুণগ্রাহী ইংরেজ বন্ধুরা তাঁর ‘ডেথ মাস্ক’ তুলে রাখার কথা ভেবেছিলেন,বুঝে নিতে অসুবিধে হয় না।এই ডেথ মাস্ক কবে, কী ভাবে তোলা হয়েছিল সেই বিবরণ পাওয়া যায় ভারত-দরদি শিক্ষাবিদ ও লেখিকা মেরি কার্পেন্টার সম্পাদিত ‘দ্য লাস্ট ডেজ় ইন ইংল্যান্ড অব দ্য রাজা রামমোহন রায়’ গ্রন্থে, যা যৌথ ভাবে প্রকাশ করে লন্ডনের ট্রুবনার অ্যান্ড কোং এবং কলকাতার আর সি লিপেজ,১৮৬৬ সালে।তবে ‘পালাজ্জো মাসিমো’ ইউরোপের বিখ্যাত মিউজিয়াম।যেখানে সাজানো রয়েছে একের পর এক   ঐতিহাসিক মরণোত্তর অবয়ব ।

HOT FOOD

লবস্টার অরিগানাটা

৩৬৫ দিন। লবস্টার দিয়ে বানানো অনেক পদই ইতালিতে খুব জনপ্রিয়।তার মধ্যে লবস্টার অরিগানাটা অন্যতম। উপকরণ হিসেবে প্রয়োজন- লবস্টার(একটু বড় সাইজের),লেবু, রসুন কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, পার্সলে পাতা কুঁচি, স্প্রিং অনিওন কুঁচি, মাখ ন, নুন, চিনি, গোলমরিচ গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা কুঁচি, কর্নফ্লাওয়ার, একটু সোয়া সস এবং টমেটো সস।প্রথমে লবস্টারগুলো ভাল করে ধুয়ে ভিতরের কালো অংশটা ছাড়িয়ে একটা পাত্রে নিয়ে নিন।এরমধ্যে দিয়ে দিন অল্প নুন, একটু গোলমরিচ গুঁড়ো আর দু চামচ লেবুর রস।সবটা ভাল করে মাখিয়ে নিয়ে পাশে রেখে দিন।এবার একটা প্যানে বেশকিছুটা মাখন গরম করে নিন।মনে রাখবেন মাখন খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায় তাই খেয়াল রাখবেন যেন পোড়া লেগে না যা় । এবার তার মধ্যে রসুন কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচালঙ্কা কুঁচি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে যখন দেখ বেন পেঁয়াজটা লালচে হয়ে এসেছে তখন লবস্টারগুলো দিয়ে দিন।এবার একে একে পরিমাণমতো নুন, অল্প চিনি, একটু গোলমরিচ গুঁড়ো, হাফ টেবিল স্পুন সোয়া সস আর হাফ টেবিল স্পুন টমেটো সস *দিতে হবে।বেশ কিছুক্ষণ হালকা আঁচে সতেঁ করে নিন। এবার একটা ছোট বাটিতে এক চামচ কর্নফ্লাওয়ার সামান্য জল দিয়ে গুলে নিতে হবে। তারপর এই কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণটা সতেঁ করা লবস্টারের মধ্যে দিয়ে দিন। আঁচ বাড়িয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে একটু মাখা মাখা হয়ে গেলে উপর থেকে স্প্রিং অনিওন কুঁচি, পার্সলে পাতা কুঁচি আর এক চামচ মাখন ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন লবস্টার অরিগানাটা।

Scroll to Top