ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের প্রাক্তন তারকা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। তাঁর বাড়িতেই এবার ঘটে গেল দুঃসাহসিক এক চুরির ঘটনা।শুক্রবারেই এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় থানাতে। যাতে যুবরাজের পঞ্চকুলার বাড়িতে বড়সড় এক চুরির ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এমডিসি সেক্টর ৪ পঞ্চকুলাতে অবস্থিত যুবরাজের এই বাড়ি। আর সেই বাড়িতেই ঘটে গিয়েছে এই অনভিপ্রেত ঘটনা। যুবরাজের পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে নগদ চুরি এবং সোনা গয়না চুরির। ৭৫০০০ টাকা চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ঘটনায় সন্দেহের তির রয়েছে বাড়ির পরিচারক-পরিচারিকাদের দিকে। যুবরাজ সিংয়ের মা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। শবনম সিং জানিয়েছেন বাড়ির হাউসকিপিং কর্মী ললিতা দেবী যিনি সাকেতডিতে থাকেন এবং বাড়ির পাঁচক(রান্নার লোক) বিহারের শিলদার পালের প্রতি রয়েছে সন্দেহের তির। তিনি আরো জানিয়েছেন তিনি গুরগাঁওয়ের এই বাড়িতে বেশ কিছুদিন ধরেই থাকছিলেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই বাড়িতে রয়েছেন শবনম সিং। মাঝে কয়েকদিন তিনি বাইরে একটি কাজে গিয়েছিলেন।এরপরেই তিনি ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর ফিরে আসেন তাঁর বাড়িতে। ফিরে এসে তিনি দেখেন তাঁর বেশ কিছু মহামূল্যবান গয়না তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। পাশাপাশি উধাও হয়ে গিয়েছে ৭৫০০০ টাকা ও। প্রথম ফ্লোরে একটি ঘরের কাবার্ড থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে এই মূল্যবান জিনিসপত্র।
প্রথমে শবনম সিং নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখার এবং অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেন।তবে তিনি ব্যর্থ হন। দেখা যায় ওই ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই হঠাৎ করেই ললিতা দেবী এবং শিলদার পাল কাজ ছেড়ে দেন। দিওয়ালি উৎসবের সময়ে তারা পালিয়ে যান।এরপরেই সন্দেহ গাঢ় হয় শবনম সিংয়ের।তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাদের তাঁর প্রাক্তন দুই কর্মীর বিষয়ে সন্দেহের কথা জানান তিনি। পুলিশের তরফে অফিসিয়ালি কেসটা নেওয়া হয়েছে। কেসের এসএইচ ও মনসা দেবী জানিয়েছেন এই কেসে সঠিক অনুসন্ধান যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া ট্রায়াল সামলানো। অপর এসএইচও ধরমপাল সিংয়ের গলাতে ও শোনা গিয়েছে এক কাহিনী। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে যুবরাজ সিংয়ের জাতীয় দলের সতীর্থ তথা তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে ও চুরির খবর শোনা গিয়েছিল। তাঁর কয়েক লক্ষ টাকা দামের স্মার্টফোন চুরি গিয়েছিল।