৪ মন্ত্রীর সাংবাদিক সম মেলন
৩৬৫ দিন। 'আজকে ওদের জীবন্ত লাশের চাহিদা ছিল, বডি চাই বডি। বডি হল না তাই আগামীকাল অরাজকতার ছক কোষে বনধ ডাকল বিজেপি। আজ জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে। প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে আদালতে যাব। আগামীকাল বুধবার আমাদের কর্মসূচি রয়েছে।রেল যেন চল বনধ না থাকে, সেই আবেদন করব।' মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের নামে যে নোংরা গুন্ডামি চালালো ভাজপা আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার তীব্র প্রতিবাদ করে এ কথাই জানালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। একইসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু পরিষ্কার করে জানান, আর জি কর কাণ্ডে মৃতের সুবিচার চাওয়ার দাবি না করে ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য নবান্ন অভিযানে ভাজপার ছক বুঝে গিয়েছে বাংলার মানুষ। এদিন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাড়াও নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'আন্দোলনের নামে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। চন্ডীতলার আইসি থেকে শুরু করে বহু পুলিশ অফিসারকে ইট ছুঁড়ে আঘাত করা হয়েছে। পুলিশ তাদের ধৈর্য হারায়নি। শান্তিপূর্ণভাবে পুলিশ পরিস্থিতি সামলেছে। ওদের জীবন্ত লাশের চাহিদা ছিল। একটা বডি চাই। সেই বডিটা হল না, কারণ পুলিশ তাদের প্ররোচনায় পা দেয়নি। ওরা আরেকটা অরাজকতার ছক কষেছে। সেই ছকটা হল ১২ ঘণ্টার বনধ। এই বনধ কেন? পুজোর আগে অনেক বাণিজ্যিক লেনদেন হয়, যে কারণে দেশের সকল রাজ্য থেকে অনেকে এগিয়ে বাংলার সরকার, সেটা বন্ধ করার ছক কষতে হবে। তাই আগামীকাল ওরা বনধের ডাক দিয়েছে। বনধের রাজনীতি বাংলায় চলে না। বাংলার মানুষ বুঝে গেছে এই বনধ প্ররোচনামূলক। বাংলার মানুষ কখনোই এই বনধকে সফল হতে দেবে না।' চন্দ্রিমার কথায়, 'কিছু করার থাকলে সিবিআই এর কাছে যান। সিবিআই এর কাছে না গিয়ে কেন বনধ ডেকেছেন তা বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছে। রাজনীতি করে বাংলাকে অশান্ত করা যাবে না। কালকে(বুধবার) কিন্তু রেল বন্ধ করবেন না। কালকে আমাদের কর্মসূচি রয়েছে। রেল যেন বন্ধ না থাকে।জাতীয় পতাকা নিয়ে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে ওরা। এটা জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে। আমরা প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে আদালতেও যাব।' অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'আজকে ওদের নবান্ন অভিযানে ছাত্ররা ছিল না। গোটা ভারতবর্ষ যেখানে বিচার চাইছে, সেখানে বিচার না চেয়ে ওরা আজ মৃতদেহ চাইতে গিয়েছিলেন। বিচারের পরিবর্তে ওরা লাশের সন্ধানে বেরিয়েছিলেন। যখন এরা বুঝতে পেরেছেন, শুধু কুৎসা করে হবেনা, তখন পশ্চিমবঙ্গে একটি বাতিল শব্দ 'বনধের' ডাক দিয়েছে। কালকে আমরা সমস্ত জনজীবন সচল রাখব। সরকার থেকে বলছি, সার্বিকভাবে আপনারা জনজীবন স্বাভাবিক রাখুন, সরকার সব রকম ভাবে আপনাদের পাশে আছে। কাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাৎসরিক সমাবেশ রয়েছে। তাতে অংশগ্রহণ করতে হাজার হাজার ছাত্র অন্যান্য জেলা থেকে এসেছে। ইতিমধ্যেই তারা নেতাজি ইন্ডোর সহ অন্যান্য জায়গায় এসে উঠেছেন। এই সময় বনধ ডাকা আমাদের সমাবেশ নষ্ট করার জন্য ওরা বনধ ডেকেছে। এই ধরনের প্ররোচনায় পশ্চিমবঙ্গবাসী যেন পা না দেন এই আমাদের আবেদন থাকবে। আপনারা বরং আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন। এই হঠকারী বনধকে থেকে কখনোই সমর্থন করবেন না। বিচারের পরিবর্তে ক্ষমতার মসনদ দখল করতে চাওয়ার যে অভিসন্ধি তা বাংলার মানুষ কখনোই মেনে নেবে না।'