পাঠকের একটি চিঠি ২০০১। আরজি করের ড. সৌমিত্র বিশ্বাস
অমল মন্ডল।
ঠিকানা বারুইপুর (চিঠি আমাদের কাছে ফরেন্সিক তদন্তের জন্য তৈরি আছি)
আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু নিয়েই সিপিএমের ন্যক্কারজনক উস্কানিমূলক রাজনীতি, মিডিয়া এবং সোশাল মিডিয়ায় জল্পনা, ভুয়ো প্রতিবেদন, বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত ভুল তথ্য সাধারণ মানুষকে খে পিয়ে চলেছে। প্রশাসন প্রথমদিন থেকে এই নারকীয় হত্যার পিছনে থাকা মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে, জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদের প্রতি সহনাভূতিশীল থেকে সারা দেশে প্রতিদিন ঘটে চলা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পথ দেখি য়েছে। তবুও কিছু মানুষ ভুল তথ্য ও সংবাদের উস্কানিতে রাস্তায় নেমেছে। প্রশাসন তাদের প্রতিও সহনুভূতিশীল ও দায়িত্ববান। এই মানবতার মুখোশ পরা সিপিএমকে নতুন প্রজন্ম চেনে না। সময় এসেছে এদের চিনে নেওয়ার।
মাননীয় মহাশয়
,
আজ যারা আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে লাফালাফি করছে, আমি মূলত সিপিএম পার্টির কথাই বলছি, সততার এবং মানবিকতার প্রতিমূর্তি হিসাবে নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টা করছে, তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই এই আরজি কর নিয়ে তাদের দুটি অপকীর্তির কথা। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি এবং অপকর্মের শুরু জ্যোতিবাবুর আমল থেকে। নব্বইয়ের দশকে তা চরমে ওঠে। পরে সেটা শিল্পে পরিণত হয়। ২০০১ সালে ২৫ আগস্ট ডাক্তারির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সৌমিত্র বিশ্বাসকে হাসপাতালেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সিপিএম সরকার বলেছিল এটি আত্মহত্যা। সৌমিত্রর বাবা-মা বলেছিলেন তাকে খুন করা হয়েছে। প্রায় লুকিয়ে তার পোস্টমর্টেম হয়, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার
বাবা-মাকে ডেকে দেহ সৎকার করা হয়। কোনও রকমে সহৃদয় কিছু ডাক্তারের উদ্যোগে হাইকোর্ট তদন্তভার হাতে নেয়। কলকাতা হাইকোর্ট সি.আই.ডি তদন্তের আদেশ দেন। কিন্তু সেই তদন্ত তাঁরা ৩ বছরেও শেষ করতে পারেনি। তিন বছর পরে ২০০৪ সালের ১৫ এপ্রিল সিআইডি জানায়, তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা এবং একটানা এসএফআই ছাত্রদের তদন্তে বাধা দেওয়ার জন্য তদন্ত শেষ করতে পারেননি। এই মৃত্যুর বা হত্যার প্রকৃত সত্য জানার জন্য কিছু ছাত্র, সিনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন শুরু করেছিলেন বটে, কিন্তু সিপিএম লাঠি পেটা করে সেসব ভেঙে দেয়। এর পরে ২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি একজন হাউসস্টাফ আরজি করে মারা যান । সেখানেও সিপিএম সরকার আত্মহত্যা বলে দিয়েছিল। তখনও সিআইডি একই রিপোর্ট দেয়। আবার কিছু জুনিয়র ডাক্তার তৎকালীন অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেছিল বটে, একঘণ্টার মধ্যে বেদম মার খেয়ে বিপ্লব ঘুচে যায়। এখ নকার মতো মোমবাতি হাতে রাত দখলের মিছিল ভাবাই যায় না। এরা কেউ সিপিএমকে দেখেনি। পাকা কিংবা কাচা-পাকা চুলের সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরে যাদের দেখছেন, এরা যে কত গণহত্যার নায়ক বলে শেষ করা যাবে না। একবার ক্ষমতায় আসলে মিছিল হাতে রাত দখল ঘরে ঢুকিয়ে দেবে। মাননীয় আদালত সিবিআই তদন্তের আদেশ দেওয়া সত্ত্বেও এইসব সোশাল মিডিয়া এবং কিছু সংবাদমাধ্যম অরাজকতা ছড়াতে চাইছে। আগুন লাগানোর খেলা। মানুষ সচেতন হোক। দরকার হলে বামেদের কুকীর্তির লিস্ট নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে ছাপিয়ে হাতে দিয়ে দেব।
নমস্কার !