নির্যাতিতার মা-বাবাকে নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে , ক্রাইম সিনের ১ ইঞ্চিও বিকৃত হয়নি

৩৬৫ দিন। আরজি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের মা-বাবাকে ব্যবহার করে রাজনীতি করছে বামরাম। আর সেই রাজনীতিতে মদত দিচ্ছে মিডিয়ার একটা বড় অংশ । গত ৯ আগস্টের পর থেকে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে বারবার প্রচার চালানো হচ্ছে,ক্রাইম সিন নষ্ট করেছে কলকাতা পুলিশ। যদিও লালবাজারের তরফে ভিডিও প্রকাশ করে দেখানো হয়েছে কিভাবে সেমিনার রুমের ক্রাইম সিনকে ঘিরে রাখা হয়েছিল। যাতে সব প্রমাণ অবিকৃত থাকে। সূত্রের খবর, সিবিআই এর তদন্তেও জানা গিয়েছে, ৫১ ফুটের সেমিনার রুম অক্ষত ছিল। কোথাও কোনো এভিডেন্স নষ্টের প্রমাণ পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ক্রাইম সিমের এক ইঞ্চিও বিকৃত করা হয়নি। কিন্তু তারপরেও বাংলার অন্যতম বড় এক সংবাদ মাধ্যম প্রকৃত সত্যকে ঢাকতে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরছে বলেই অভিযোগ। তাদের প্রথম পাতায় লেখা হয়েছে যখন নিহত চিকিৎসকের আত্মীয়রা সেমিনার রুমে আসেন তখন নাকি ক্রাইম সিনে খেয়াল খুশিমতো ঘুরছিল বহিরাগতরা। তার ফলে ক্রাইসিনের এভিডেন্স নষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে, ঘটনার পর ক্রাইম সিমের ৪১ ফুটের মধ্যে কেউ ঢুকতে পারেনি। গোটা সেমিনার রুমের পাঁচটি দরজার মধ্যে চারটি দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। মাত্র একটি দরজা খোলা ছিল। আর ওই খোলা দরজার অংশে দশ ফুটের এনক্লোজারে ছিলেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই সমস্ত অপ্রিকৃত তথ্য প্রমাণ সিবিআই এর ফরেনসিক টিম সংগ্রহ করেছে। যেখানে কোন প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ পাইনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সম্প্রতি ডিসি ( সেন্ট্রাল ) ইন্দিরা মুখার্জি লালবাজারের তরফ বিশদে জানান, ঘটনার পরে পুলিশ ঠিক কি ভাবে তদন্ত করেছে ।তিনি জানান, যেখানে দেহ পাওয়া গেছিলো মৃতার সেখান থেকে ৪০ ফুট জায়গা এক্কেবারে সিল করে রাখা হয়েছিল ।ফলে ঘটনাস্থল থেকে ক্লু ও প্রমান গায়েব হয়ে গেছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা গুজব ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তা ছড়ানো হচ্ছে । সেমিনারের ১০ ফুটের এনক্লোজারে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের রাখা হয়েছিল দেহ সনাক্তকরণের জন্য। বাকি অংশ ভিউ কাটার দিয়ে সম্পূর্ণভাবে সিল করে রাখা হয়েছিল।