৩৬৫দিন। দেশ থেকে পালিয়ে আপাতত ভারতের গুপ্ত আস্তানায় শেখ হাসিনা।সোমবার আন্দোলনকারীরা লংমার্চ করে ঢাকায় পৌঁছানোর আগেই গণভবন ছেড়ে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ মুজিবর কন্যা। বাংলাদেশের সেনা বাহিনী তাকে সেফ প্যাসেজ দিয়ে দেশের বাইরে বের করে দেয়। বাংলাদেশ ছাড়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন হাসিনার বোন রেহানা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক কোনো বিমানবন্দরে না নামিয়ে বিকেল পাঁচটা নাগাদ দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্ডন সেনা এয়ারবেসে নামানো হয় শেখ হাসিনাকে। সেই সময় তার সঙ্গে দেখা করেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ভারতের কূটনৈতিক সূত্র আরো জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আপাতত স্টপ ওভার হিসেবে দিল্লিতে থাকলেও ভারতে তিনি বেশিদিন থাকবেন না। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই লন্ডন, ফিনল্যান্ড অথবা অন্য কোনও দেশে পাড়ি দেবেন তিনি। এদিকে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও সতর্কতা জারি করা হয়ে ছে।
নাটের গুরু বিদেশমন্ত্রী হাছানকে খুঁজছে দেশের জনগণ
পার্লামেন্ট ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দ্রুত নির্বাচন হবে, জানালেন রাষ্ট্রপতিসোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, অনতিবিলম্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে এবং পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করবে।রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
মঙ্গলবার থেকে কারফিউ প্রত্যাহারবাংলাদেশে ১৭ দিন ধরে কারফিউ থাকার পর মঙ্গলবার ভোর থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে কারফিউ। সোমবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে। সব অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা খুলে যাবে বলে জানানো হয়েছে। কোটা আন্দোলন ঘিরে হিংসার ঘটনায় গত ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছিল এবং সেনা মোতায়েন করা হয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি চাইসোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব করবো। সেখানে অভ্যুত্থানকারীদের অংশ থাকবে এবং নাগরিক সমাজসহ সবার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।সেই সরকারে কারা থাকবে তাদের নাম প্রকাশ করব আমরা। আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার জন্য আওয়ামী লীগের নির্দেশে এখনও কিছু দুর্বৃত্ত দেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের তরফে বাংলাদেশবাসীর কাছে আহবান জানানো হয়েছে, দেশের কোনো এলাকায় সাম্প্রদায়িক অশান্তির চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।