মিথ্যা তথ্য (১)
নিহতের পেলভিক বোন, কলার বোন কোনওটাই ভাঙেনি। একাধিক ব্যক্তির ধর্ষণ করতে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছিল। কার্টিলেজ ভেঙেছে। গলা টিপে খুন করলে কার্টিলেজ ভেঙে যায়।
মিথ্যা তথ্য (২
)
কলকাতা পুলিশ নির্যাতিতার মৃত্যুর ঘটনা চেপে যায়নি, তারা আত্মহত্যার কথাও প্রচার করেনি। বরং ময়নাতদন্তের পর পুলিশ এসকর্ট করে বাড়িতে দেহ পৌঁছে দেয়, নিহতের মা-বাবা শেষকৃত্য করে
ন।
মিথ্যা তথ্য (৩
)
নিহতের শরীরে ১৫০ গ্রাম বীর্য পাওয়া গিয়েছে বলে প্রচার চালানো হয়েছে, একাধিক ধর্ষকের তথ্য প্রমাণের জন্য। তবে আদালতে পেশ করা তথ্য অনুযায়ী নিহতের শরীরে ০.১৫ মিলি বীর্য পাওয়া গেছে। যা একজনের পক্ষেই সম্ভব। ১৫০ গ্রাম বীর্য ক্ষরণের জন্য শতাধিক ব্যক্তির প্রয়োজ
ন ।
মিথ্যা তথ
(8)
পরিবারের সম্মতি ছাড়া জোর করে নিহতের দেহ পুলিশ পোস্টমর্টেমে পাঠিয়ে দেয় বলে প্রচার চালানো হয়েছে। এই তথ্য যে ভুল তা জানিয়েছেন খোদ নিহতের মা-বাবাই ।
৩৬৫দিন। গুজব ফাঁস। প্রথম দিন থেকেই আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ময়না তদন্ত নিয়ে একের পর এক ভুয়ো সংবাদ প্রচার করে আসছে বাংলার অন্যতম প্রধান এক সংবাদ মাধ্যম। আর তার লেজুর ধরেই বাংলার অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে কখনো লেখা হয়েছে, ময়না তদন্তে পাওয়া গেছে চিকিৎসকের দেহের পেলভিক বোন, কলার বোন ও অন্যান্য হাড় ভাঙা, আবার কখনো বলা হয়েছে, মহিলার যৌনাঙ্গে মিলেছে ১৫০ গ্রাম বীর্য । কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এইসবের কোন উল্লেখ নেই বলেই সাফ জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। আর তাই শেষ পর্যন্ত চাপে পরে ময়না তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে অসত্য খবর পরিবেশনের জেরে ঢোক গিলতে হয়েছে ফেক নিউজ ছড়ানো অধিকাংশ মিডিয়াকেই। খবর ৩৬৫ দিনের অন্তরতদন্তে বেরিয়ে এসেছে চিকিৎসকের পোস্টমর্টেম রিপোর্টের আসল তথ্য। প্রথমত, ৯ আগস্ট এর ঘটনার পর থেকেই বামরাম চক্রান্ত করে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে থাকে যে নির্যাতিতার পরিবারকে না জানিয়েই কলকাতা পুলিশ মহিলা চিকিৎসকের দেহ সৎকার করে। কিন্তু বাস্তবে কলকাতা পুলিশ আর জি করের মহিলা চিকিৎসকের দেহ সৎকারে কোন তাড়াহুড়ো করেনি। বরং এস্কট করে কলকাতা পুলিশ চিকিৎসকের দেহ তার সোদপুরের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয় মরদেহ। সোদপুরেই পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকের দেহ সৎকার করে। এমনকি মাঝপথে ভাজপা ও সিপিএম মিলে দেহ হাইজ্যাক করার চেষ্টা করে। সেই চক্রান্ত ব্যর্থ করে কলকাতা পুলিশ৷ দ্বিতীয়ত, বামরামের ইন্ধনে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম খবর করতে থাকে যে মহিলা চিকিৎসকের অটোপসিতে দেহের একাধিক হার ভাঙার প্রমাণ মিলেছে। শুধু তাই নয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নাকি পেলভিক বোন, কলার বোনও ভাঙার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু খবর ৩৬৫ দিনের অন্তর তদন্তে দেখা যাচ্ছে, পেলভিক বোন, কলার বোন ও দেহের অন্যান্য হার ভাঙা ছিল না। কার্টিলেজ ভেঙেছে। সাধারণত গলাটিতে খুন করলে কার্টিলেজ ভেঙে যায়। দেহে কিছু আঘাতের চিহ্ন থাকলেও চিকিৎসকরা অটোপসিতে নিহতের দেহে একাধিক ধর্ষকের প্রমাণ পায়নি। যদিও বামরাম এর ষড়যন্ত্রে বারবার এই অসত্য তথ্য তুলে ধরে প্রচার করে হয়েছে। যাতে আরজি কর এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় ৷ তৃতীয়ত, চিকিৎসকের ময়না তদন্তের রিপোর্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে দেখা যায়। যেখানে বলা হয়েছে, মহিলার যৌনাঙ্গ থেকে ১৫০ গ্রামের ওপর বীর্য মিলেছে। এক্ষেত্রেও বামরাম পরিকল্পনামাফিক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই ভুয়ো তথ্য প্রচার করতে থাকে। একজন মহিলার যৌনাঙ্গ থেকে ১৫০ গ্রাম বীর্য পেতে গেলে সেক্ষেত্রে প্রায় শতাধিক পুরুষের প্রয়োজন। একবার যৌনমিলনে একজন পুরুষের যৌনাঙ্গ থেকে ২ থেকে ৫ মিলিগ্রাম বীর্য নির্গত হয়। এক্ষেত্রে গ্রাম ও মিলিগ্রামের বিস্তর ফারাক রয়েছে। এছাড়াও একজন মহিলার যৌনাঙ্গের ওজনই হয় ১৫০ গ্রাম। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে কুৎসা ও অপপ্রচার করতেই এই ধরনের গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।