নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ দণ্ডনীয় অপরাধ
৩৬৫ দিন। ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডেল বা সাবেক টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিতার ছবি নাম অথবা তার সম্পর্কে কোন তথ্য পোস্ট করলে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে বাংলায় ভাজপা এবং সিপিএম এর আইটি সেল ক্রমাগত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে আরজিকরের নির্যাতিতা ডাক্তারের ছবি নাম এবং তার লেখা প্রেসক্রিপশন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে চলেছে তাতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। অবিলম্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সমস্ত তথ্য শেয়ার করা বা পোস্ট করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডেল বা সাবেক টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে দেশের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন অবিলম্বে যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নির্যাতিতার নাম ছবি অথবা তার সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য মুছে ফেলতে হবে। ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার মতো ঘটনায় নির্যাতিতা বা তাঁর পরিবারের নাম-পরিচয় সামনে না আনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ধর্ষিতা বা যৌন হেনস্থার শিকার নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে আনলে ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। ধার্য করা হতে পারে জরিমানাও। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডে সে সবের পরোয়া না করেই সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গেছে নিহত চিকিৎসকের নাম ও ছবিতে। এমনকি তাঁর লেখা প্রেসক্রিপশনও ঘুরছে তথাকথিত আন্দোলনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে অথবা মোবাইলে। এই নিয়েই আজ ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। এই ছবি প্রচারের ক্ষেত্রে নিষেধাজারীর আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকের ছবি ও তার পরিবারের পরিচয় প্রকাশের ফলে পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রককেও পিটিশনে পক্ষ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গতকালই আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নতুন এফআইআর দায়ের হয়েছে কলকাতা পুলিশে, যে তিনি বারবার প্রকাশ্যে নাম নিয়েছেন ধর্ষিত ও নিহত তরুণী চিকিৎসকের। নির্যাতিতার নাম প্রকাশের অভিযোগে সন্দীপের বিরুদ্ধে অবশেষে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হল। কয়েকদিন আগেই নিহত চিকিৎসকের নাম-ছবি প্রকাশের অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টকারীকে নোটিস পাঠিয়েছিল লালবাজার। এবার সেই অভিযোগই নতুন করে দায়ের হয়েছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।