বামরামের চক্রান্ত ফাঁস করে রাজপথে মমতা
৩৬৫ দিন। হাজরায় আমায় মেরে ফেলার পেছনে কে ছিল! কার আমলে বানতলায় অনিতা দেওয়ান ধর্ষিত হয়েছিলেন? সিঙ্গুরে তাপসী মালিক খুন হয়েছিল কার আমলে? নন্দীগ্রামে গুলি চলেছিল কার আমলে? সারা বাংলা জুড়ে কঙ্কাল পড়ে আছে। তাদের মুখে এত বড় বড় কথা শোভা পায় না। আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় যেভাবে আন্দোলনের নামে ভাজপার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিপিএম গুন্ডামি শুরু করেছে সিপিএম আমলের একের পর এক ঘৃণ্য ঘটনার কথা তুলে ধরে তার তীব্র নিন্দা করলেন মমতা।
আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় অবিলম্বে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আগামী রবিবারের মধ্যে ফাঁসির দাবিতে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলের শেষে বাংলায় দীর্ঘ ৩৪ বছর সিপিএম যে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল তার একের পর এক উদাহরণ তুলে ধরেন মমতা। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে আর জি কর হাসপাতালে গুন্ডামি এবং হামলার পিছনে যে সিপিএম এবং ভাজপা রয়েছে তার তথ্য প্রমান ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,
রাত বারোটার সময় সিপিএম, ডিওয়াইএফআই ও বিজেপি জাতীয় পতাকা নিয়ে এটা করেছে, আমি যা ভিডিওতে দেখেছি। জাতীয় পতাকা নিয়ে এসব করা যায় না। এদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস হওয়া উচি। শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা ভদ্রতা করব, আর আপনারা ভাববেন আমরা দুর্বল, এটা হতে পারে না। এটা পুরোটাই বাম রামের চক্রান্ত।
একটি মহিলাকে নির্যাতন করে শুধুমাত্র ভাঙচুর করা, এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আমি জানি, সিপিএম এবং বিজেপি এই ঘটনার পিছনে রয়েছে।
এটা ছাত্রছাত্রীরা করেনি। আমি ওদের দোষ দিচ্ছি না। কিছু বহিরাগত রাজনৈতিক লোক, বাংলায় অশান্তি করতে চান। বাম এবং রাম একত্রিত হয়ে এই কাজ করেছে। তারা ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। ওঁরা কেউ শান্তি চান না।
বাম রাম প্রমাণ লোপাট করতে আরজি করে হামলা করেছিল। ফ্লোরটা গুলিয়ে ফেলে আসল ভাঙচুর করতে পারেনি। আপনারা সিসিটিভি ভেঙেছেন। সিপিএম, বিজেপি, আপনারা অপেক্ষা করতে পারতেন, সময় দিলেন না। হাসপাতালের এভিডেন্স নিতে সময় লেগেছে। এগুলো বাইরে বলা যায় না। আপনারা রাজনীতি করলেন।
সিপিএমের হিংসা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপর। আগে নিজেদের ক্ষত সারান। দু'টো পা এখন টেম্পোরারি। যত হিংসা, সবকটা আমার উপর। আমরা আদর্শ বিক্রি করে খাই না।
সিপিএমের যারা নতুন এসেছেন তাদের বলব দাদাদের ইতিহাসটা ভাল করে জানুন। সিপিএমের ইতিহাসটা জানুন। সিপিএম আপনি মেয়েটার পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানাতে পারতেন। আপনার হিংসা তো লক্ষীর ভাণ্ডারের এর উপর।
৮ তারিখ সকাল ১০-৬টা পর্যন্ত ধর্না কর্মসূচি হবে। বাংলায় কোনও ঘটনা ঘটলে সামলাতে রাজ্য প্রশাসনই যথেষ্ট। উন্নাও এবং হাথরাস ঘটনায় তাঁরা কেন কোনও প্রতিবাদ করেনি? বানতলা থেকে ধানতলা কার আমলে ঘটেছিল?
আপনারা মমতা ব্যানার্জীকে অপমান করতে চাইলেন। লজ্জা করে না বিজেপি আর সিপিএম? একটা অমানবিক ঘটনা নিয়ে দানবিকতা করে চলেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করতে বিজেপি ও সিপিএম একজোট হয়েছে।
আপনারা ধনঞ্জয়কে ফাঁসি দিয়েছিলেন, এখানে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন মীরা দেবী। তবে ঠিক মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল? এত তাড়াতাড়ি সব ভুলে গেলেন?
অন্য কোনও শাস্তিতে লাভ নেই। একটাই শাস্তি। ফাঁসি দিয়ে দাও, যাতে একজনকে ফাঁসি দিলে অন্যরা কিছু করার আগে ভয় পায়। কিন্তু এটা আমি নিশ্চয়ই বলব, প্রকৃত দোষী যেন শাস্তি পায়। নিরাপরাধী যেন শাস্তি না পায়। কারণ এখন ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের কেসটা প্রতিদিন লেখা হচ্ছে।
তার হয়ে একজনকে সাক্ষী দিতে বলা হয়েছিল। যে সাক্ষী দিয়েছিল, সে স্বীকার করছে যে আমার পাপবোধ হচ্ছে, আমায় দিয়ে তখন বলানো হয়েছিল। এদিকটা যেন আমরা লক্ষ্য রাখি। দোষীরা শাস্তি পাক। কিন্তু কোনও নিরাপরাধীকে যেন এই শাস্তি পেতে না হয়।