৩৬৫ দিন । অবশেষে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। টানা ১৫ দিন জেরার পর সোমবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এদিন সিবিআই পরিষ্কার করে দিয়েছে আর্থিক দুর্নীতি মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছে সন্দীপ। মঙ্গলবার তাকে বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গেছে। সোমবার সকাল থেকেই টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। এই ১৫ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসংগতি মেলে বলে খবর। এরপরই সন্দীপকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সিবিআইয়ের অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চের কর্তারা। নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই গ্রেপ্তার করা হয় সন্দীপকে। আরজি করের ডক্টরের খুনের পরেই পরই সন্দীপ ঘোষের নাম উঠে আসে। সেখানকার প্রাক্তন সুপার আখতার আলির সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। এর পাশাপাশি সিবিআই-এর কাছে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় যে নাম উঠে এসেছিল তার মধ্যে প্রথমেই ছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের নাম। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সংস্থা গুলির সঙ্গে সন্দীপের সরাসরি যোগাযোগ মিলেছে বলে খবর।এরপরই অ্যান্টি কোরাপসান ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের সঙ্গে (যাঁরা খুন ও ধর্ষণের তদন্ত করছেন)। এরপরই দুজন সিবিআই আধিকারিক কার্যত আটক করে নিয়ে আসেন সন্দীপকে। এরপর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আরজিকরে ডাক্তারের মৃত্যুর পরই সন্দীপ ঘোষের নাম উঠে আসে। তাতে সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। এর পাশাপাশি কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই এর কাছে এই দুর্নীতি মামলা যায়। সিবিআই-এর কাছে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় যে নাম উঠে এসেছিল তার মধ্যে প্রথমেই ছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের নাম। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সংস্থা গুলির সঙ্গে সন্দীপের সরাসরি যোগাযোগ মিলেছে বলে খবর। এরপরই অ্যান্টি কোরাপসান ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের সঙ্গে (যাঁরা খুন ও ধর্ষণের তদন্ত করছেন)। এরপরই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। ওই ঘটনার সময় আর জি করের অধ্যক্ষ ছিলেন ধৃত সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব হন পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকরা।পদত্যাগের দাবি জানান। টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে গত ১২ আগস্ট এই ঘটনায় পদত্যাগ করেন অধ্যক্ষ সন্দীপ। এরপরেই তাকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলজে অধ্যক্ষ করে পাঠানো হয় । সেখানেও প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এর পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে লম্বা ছুটিতে যেতে হয়েছে আর জি করের এই প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তার বিরুদ্ধে আর জি করের মৃত ডাক্তারের খুন ও ধর্ষণ মামলা ও দুর্নীতি মামলা রুজু করা হয়।
