৩৬৫ দিন। সারাদিনে যেসব ভুয়ো তথ্য বেরোচ্ছে তার মোকাবিলা করার জন্য এবার থেকে যে নিয়মিত তথ্যভিত্তিক প্রচার চালাবার কর্মসূচি নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।আর জি কর এরসঙ্গে যুক্ত ফেক নিউস ও তথ্যের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের সার্জিকাল স্ট্রাইকের দ্বিতীয় দিনে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখার্জি ছবি দেখিয়ে জানান বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে ক্রাইম সিন্ নষ্ট হয়েছে বলে ফের যে তথ্য দেখানো হয়েছে তা ভুল ও বিভ্রান্তিকর। ডিসি এদিন ফের জানান আমাদের কাছে যা যা তথ্য ছিল, তা সবই সিবিআই-কে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অফিসাররাও নতুন তদন্তকারী সংস্থাকেও সব রকমের সহযোগিতা করছি । এদিন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয় কলকাতা পুলিশের ৩ দিনের তদন্তাধীন সময়ে কোনো তথ্য লোপাট হয় নি। তিনি জানান আর জি করে তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর খবর পুলিশের কাছে পৌঁছয় ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ। সাড়ে দশটার মধ্যে সেমিনার হলের ঘটনাস্থল কর্ডন করে দেওয়া হয়। আর জি করে থাকা মেডিক্যাল আউটপোস্টে থাকা পুলিশকর্মীরাই প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কর্ডন করা এলাকায় যাঁরা ছিলেন তাঁরা সকলেই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত। প্রথম ছবি দেখিয়ে তিনি জানান, কর্ডন করা এলাকায় ছিলেন ওসি হোমিসাইড, ভিডিওগ্রাফার, পুলিশ কমিশনার, অ্যাডিশনাল সিপি, ওসি উইমেন গ্রিভান্স, টালা থানার মহিলা আধিকারিক ছিলেন।ফলে দাবি মতো তদন্তের বাইরে কেউই ছিলেন না সেখানে । এছাড়াও যে ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা ইনকোয়েস্টের পরের তোলা বলেই দাবি পুলিশের । অপর একটি ছবি দেখিয়ে ডিসি আরও জানান, চিকিৎসক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট, গোয়েন্দা দপ্তর, ফরেনসিক বিভাগের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। দুটি ছবিতেই উপস্থিত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে ডিসি সেন্ট্রালের ব্যাখ্যা, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ছবিটি ইনকোয়েস্টের পরের।ফলে তথ্য প্রমান লোপাটের কোনো চিহ্নই নেই। এর আগেও সাংবাদিক বৈঠকে বেশ কয়েকটি ‘গুজবের’ ব্যাপারে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছিলেন পুলিশ কমিশনার। ঘটনার পরেই সিপি বলেন এই ঘটনাটি নিয়ে অনেক রকমের গুজব ছড়াচ্ছে। কখনও বলা হচ্ছে এটা গণধর্ষণের ঘটনা, কখনও বলা হচ্ছে ১৫০ গ্রাম সিমেন পাওয়া গিয়েছে, কখনও আবার মহাপাত্র পদবিধারীকে বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পদবির সঙ্গে জুড়ে দোষী হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই ধরনের গুজব নিয়ে বিশ্লেষণও হচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।দ্রুত তদন্ত নিয়ে সিপি জানিয়েছিলেন তদন্তে আমাদের প্রমাণ দরকার। প্রমাণ ছাড়া কাউকে আমরা ধরতে পারি না। আমাদের কাউকে বাঁচানোর নেই।
