জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্য সচিব জানালেন
৩৬৫ দিন। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে আর জি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে সরানো হল অধ্যক্ষ-সহ মোট ৪ জন শীর্ষ আধিকারিককে। বুধবার রাতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। একই সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। এরপরেই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে আর জি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে তার পদ থেকে সরানো হয়েছে। নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও এমএসভিপি বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে তার পদ থেকে সরানো হয়েছে। নতুন এমএসভিপি পদে এসেছেন সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুনাভ দত্ত চৌধুরীকেও তার পদ থেকে সরানো হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার পদ থেকে। বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, 'জুনিয়র ডাক্তারেরা যে দাবি করেছিল সেটা মেনে নিয়ে চারজন আধিকারিককে সরানো হয়েছে। আজ ওদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা চাই এই মুহূর্তে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক এবং জুনিয়র ডাক্তারেরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন।' প্রসঙ্গত, আগেই এমএসভিপি পদ থেকে সঞ্জয় বৈশিষ্টকে সরিয়ে বুলবুল মুখার্জীকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারেরা তার অপসারণ এর দাবি করেন। সেই মতো এদিন বুলবুল মুখার্জীকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে নিয়েও অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী চিকিৎসাকরা। সেই হিসেবে আর জি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে সরানো হল সুহৃতা পালকে। রাতেই নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের কথা জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে।