নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা, বাবার মৃত্যুর মতো শোক পেলাম
৩৬৫ দিন। বাবার মৃত্যুর মত গভীর শোক পেলাম। আমি বাকরুদ্ধ! ধস বিধ্বস্ত ওয়ানাড়ের ভয়ঙ্কর ছবি দেখে মন্তব্য রাহুল গান্ধির। বৃহস্পতিবার বোন প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে যান রাহুল। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর রাহুল বলেন, "ওয়েনাড় একটা ট্র্যাজেডি। আমরা সাহায্যের চেষ্টা করছি। যাঁরা জীবিত, তাঁরা যাতে বঞ্চিত না হন, সে দিকে নজর রাখছি।" এর পরেই রাহুল জানান, ওয়েনাড়ের বর্তমান পরিস্থিতি তাঁকে তাঁর বাবার মৃত্যুর কষ্টটা ফিরিয়ে দিয়েছে। ১৯৯১ সালে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি সে দিনের কথাই মনে করাচ্ছে বলে দাবি রাহুলের। তিনি বলেন, "বাব যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন যে কষ্ট পেয়েছিলাম, আজ সে রকম লাগছে। এখানকার বহু মানুষজন শুধু বাবাকে নয়, গোটা পরিবারকে হারিয়েছেন। তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই।” ধস বিধ্বস্ত ওয়ানাড়ে যত সময় গড়াচ্ছে ততো বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। কাদা মাটি সরাতেই থরে থরে বেরিয়ে আসছে দেহ। সরকারি ভাবে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ২৭৬ ছাড়িয়েছে। যদিও বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এখনও ১০ থেকে ১২ টি গ্রামে উদ্ধারকারীরা ঢুকতে পারেনি। ফলে সেখানে ক্ষয়ক্ষতি জানাই যাচ্ছে না। ফলে মৃতের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার কোনও হিসেব আগাম করাই যাচ্ছে না। এদিকে, বুধবার ওয়ানাড় যাওয়ার কথা থাকলেও দুর্যোগের জেরে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সফর বাতিল হয় তবে বৃহস্পতিবার ওয়ানাড়ের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধি দু'জনেই ওয়ানাড় পৌঁছন। গায়ে বর্ষাতি চাপিয়ে ওয়েনাড়ের চুরালমালা গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন দু'জনে। এদিকে, ওয়ানাড়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতার নির্দেশে সেখানে যাচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দুই সাংসদ সাকেত গোখলে এবং সুস্মিতা দেব। ধসে বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখবেন তারা, কথা বলবেন সেখানকার মানুষের সঙ্গে। প্রতিনিধি দল পাঠানোর পাশাপাশি ওয়ানাড়ে নিহতদের পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মমতা। ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।