৩৬৫ দিন। আকাশ থেকে তীব্র গতিতে শহরের দিকে ধেয়ে আসছে বিমান! কিছু বুঝে ওঠার আগেই যাত্রী বিমান আছড়ে পড়ল শহরের প্রাণকেন্দ্রের হাইওয়েতে। মুহূর্তে বিস্ফোরণ, আগুন। ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকলো ব্রাজিলের ভিনহেদো। নিহত বিমানের ৫৮ যাত্রী এবং ৩ ক্রু সহ সকলেই। কি ভাবে দুর্ঘটনা তা এখনও জানা যায়নি। ব্রাজিলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, দক্ষিণ ব্রাজিলের পারানার ক্যাসকাভেল থেকে সাও পাওলোর দিকে যাচ্ছিল ভয়েপাস সংস্থার বিমানটি। আচমকা মাঝ আকাশে সেটি নিয়ন্ত্রন হারায়। দ্রুত ভিনহেদো শহরের দিকে নামতে থাকতে। শহরের একেবারে মাঝ বরাবর এক হাইওয়ের ওপর ভেঙে পড়ে সেটি। সঙ্গে সঙ্গে বিমানে আগুন ধরে যায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ এবং সেনা উদ্ধার কাজে নামে। যদিও বিমানে থাকা ৬১ জনের-ই মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। দুর্ঘটনার পর ভয়েপাস বিমান সংস্থা জানায়, সাও পাওলোর গুয়ারুলহোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামার আগেই বিমানটি আছড়ে পড়ে। বিমানে থাকা কেউই প্রাণে বাঁচেনি। তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনফাসিও লুলা দা সিলভা। ব্রাজিলের বিমান চলাচল দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত উদ্ধার কাজ চলছে। ভাগ্য ভালো বিমান হাইওয়েতে ভেঙে পড়ে,শহরের মাঝে জনবসতির ওপর ভেঙে পড়লে কয়েকশো মানুষ প্রাণ হারাতো। ফরেন্সিক দল কাজ শুরু করেছে। বিমানের ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ চলছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে যান্ত্রিক গোলযোগে ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। সেক্ষেত্রে বিমানের রক্ষনাবেক্ষনে ত্রুটি ছিল কি না চালকের ভুমিকা খতিয়ে দেখা হবে।
