৩৬৫ দিন। আরজিকর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার পিজি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মৌমিতা দেবনাথের দেহ ।দেহে পোশাক অবিন্যস্ত থাকায় ও দেহের বেশ জায়গায় ক্ষত থাকায় খুনের মোটিভ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।পুলিশের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভবনও এই ঘটনার নেপথ্যের কারণ নিয়ে তদন্তে নেমেছে। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা ওই পড়ুয়া। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন মৌমিতা দেবনাথ। গতকাল মৃত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রী মৌমিতার নাইট ডিউটি ছিল বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে। এরপরই এদিন সকালে প্রথম দেহ দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে।
খুনের কারণ নিয়ে পুলিশি তদন্তশুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে হাসপাতালে গেছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও । মৃতা ছাত্রীর বাবা-মা, আত্মীয় পরিজনরা অভিযোগ করেছেন তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে ।প্রাথমিক ভাবে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করলেও ছাত্রীরপরিবারের অভিযোগ অনুসারে খুনের মামলাই শুরু হয়েছে।এদিন গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা ছাত্রীটির পরিবার সহ বেশ কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গেও কথা কথা বলেছে। দেহ উদ্ধারের পর তদন্তের জন্য ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।আর জিকর হাসপাতালেই হয়েছে এই পোস্টমর্টেম । প্রাথমিক রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে মৌমিতাকে বলেই জানিয়েছে তদন্তকারীরা । তা এন্টিমর্টেম হওয়ার ফলে এটা পরিষ্কার যে মৌমিতার মৃত্যু শ্বাসরোধের জন্যই হয়েছে ।তার যৌনাঙ্গ থেকেও রক্তক্ষরণ হয়েছে বলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা গেছে । তবে তা যৌন অত্যাচারের ফলে না অন্য কোনো কারণে তা পুরো রিপোর্ট প্লে জানা যাবে । ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেন খুন হতে হলো ওই দ্বিতীয় বর্ষের ইন্টার্নকে । যদিও তদন্তকারীরা বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করে তদন্ত করছেন এখনই ঠিক কি কারণে খুন তা পরিষ্কার নয় তাদের কাছেও ।তবে গোয়েন্দাদফতর সূত্রে জানা গেছে তদন্তে বেশ কিছু সূত্র পেয়েছেন তারা । তদন্তকারীরা জানিয়েছেন খুনি মৃতা ছাত্রীর পরিচিত ।তবে ঠিক খুনের উদ্দেশ্যেই মৌমিতাকে মারা হয়েছে কিনা সেই নিয়ে এখনো ধন্ধে রয়েছেন তদন্তকারীরা ।তবে রোগীদের প্রাইভেসির জন্য ওয়ার্ডে সিসিটিভি না থাকতে বেশ অসুবিধাতে পড়েছেন তারা বলেও জানা গেছে।
তদন্তে স্বাস্থ্য দফতরওহাসপাতালের মধ্যেই এই মর্মান্তিক নৃশংস ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে গেছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম । ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেমিনার হল চত্বরে সিসিটিভি নেই কেন, উষ্মা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যসচিব। প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে হাসপাতালে ঢুকেই তলব করা হয়েছে। চিকিৎসকের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শুক্রবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়লেন কর্তৃপক্ষ। কমিটির মাথায় থাকবেন ডিন।বাকি দুই সদ্দস্য থাকেন তদন্তের পর কমিটি রিপোর্ট দেবে স্বাস্থ্য দফতরকে। যান গেছে কারা করা ডিউটিতে ছিল, উপরে কেন গেছিলো মৌমিতা ও তার সহকর্মীরা কি বলছে তাও বিস্তারিত ভাবে দিতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর।
মামলা রুজু মহিলা কমিশনেরওশুক্রবার হাসপাতালে গিয়েছেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা। তিনি বলেন স্বতপ্রবৃত্ত হয়ে মামলা করেছি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন আমি সরকারি ভাবে কিছু বলতে পারব না, যত ক্ষণ না রিপোর্ট আসছে। আমরাও রিপোর্ট চেয়েছি। এই মামলায় আমরাও থাকব।তদন্ত করা হচ্ছে। মৌমিতার বাড়ির এলাকার বিধায়ক নির্মল ঘোষ দাবি করেছেন এটি ‘নৃশংস ভাবে খুন।