সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিদেশি বিনিয়োগ সায়
৩৬৫ দিন। ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল ২০২২-এর নভেম্বরে, প্রায় ২ বছরের মাথায় এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশছে ভিস্তারা। সূত্রের খবর, এয়ার ইন্ডিয়া- ভিস্তারার একত্রীকরণ আটকে ছিল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিদেশী বিনিয়োগে ছাড়পত্রের ওপর। সম্প্রতি বিনিয়োগ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। তারপরেই একত্রীকরণ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ভিস্তারায় বুকিং বন্ধ হয়ে যাবে। ১১ নভেম্বরের পর ভিস্তারার আর কোনও টিকিট পাওয়া যাবে না। ইতিমধ্যে যারা ১২ নভেম্বর বা তার পরবর্তী তারিখে ভিস্তারার টিকিট বুক করেছেন তাদের টিকিট এয়ার ইন্ডিয়ার নামে পরিবর্তিত হবে। যাত্রীদের ই মেল মারফৎ বা এস এম এস মারফৎ এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবায় বা টিকিট বুকিংয়ে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। টাটা সন্স এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভিস্তারা দেশে এবং বিদেশে বিমান পরিষেবা দেয়। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ভিস্তারায় ৪৯ শতাংশের মালিকানা ছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যেতে বিমান সংস্থা ভিস্তারার অংশীদার হিসাবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ২০৫৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। একত্রীকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলে এয়ার ইন্ডিয়ায় ২৫.১ শতাংশের অংশীদার হবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। অন্য দিকে, টাটার হাতে চলে যাবে ৭৩.৮ শতাংশ। বাকি অংশ যাবে অন্য একটি সংস্থার হাতে। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই একত্রীকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে খবর। অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক এ প্রসঙ্গে জানান, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভিস্তারার একত্রীকরণের বিষয়টি দীর্ঘ দিন ধরেই আলোচনার স্তরে ছিল। বিদেশী বিনিয়োগ সহ কয়েকটি টেকনিক্যাল বিষয়ে জটিলতা ছিল। সে সব কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে দুই বিমান সংস্থা মিশে যাওয়ার ফলে যাত্রী পরিষেবা আরও উন্নত হবে। নতুন নতুন লাভ জনক রুটে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান আরও বাড়বে। ফলে আখেড়ে যাত্রীদের-ই সুবিধা হবে।