হোটেল, গেস্ট হাউসে বিশেষ নজরদারি পুলিশের
৩৬৫ দিন।পুজোর আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ লিস্টে আসতেই শহরে আসতে শুরু করেছে বহু পর্যটক ।এদের মধ্যে থাকছে বহু বিদেশিও।ফলে এখন থেকেই হোটেল ,ধর্মশালা থেকে আরম্ভ করে যে সব জায়গায় বাইরে থেকে এসে লোক থাকতে পারে তাদের জন্য এক গুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করলো পুলিশ। পুলিশের কড়া নির্দেশ অতিথিদের একজনের নাম লিখে বাকিদের জন্য ‘প্লাস’ লিখলে চলবে না। প্রত্যেকের নাম, ঠিকানা ও পরিচয়পত্রের নথির কপি রাখতে হবে হোটেলগুলোকে।শুধু তাই নয় প্রত্যেক বোর্ডার যাতে পরিষ্কার ভাবে সিসিটিভি ক্যামেরাতে ধরা পরে এমনভাবে ক্যামেরা রাখারও নির্দেশ পুলিশের।শুধু তাই নিয়ম করে সেই তথ্য নির্দিষ্ট সাইটএ পাঠানোর ওপরেও জোর দিয়েছে পুলিশ । এখন সেই তথ্য শুধুমাত্র রাতে একবার পাঠানো হয় । নতুন এই কার্যকরী করার কারণ হিসেবে পুলিশ জানিয়েছে একদিকে যারা পুজোতে রাজ্যে আসছে তাদের নিরাপত্তা অন্যদিকে কোনো দুষ্কৃতী যাতে এসে কোনো গোলমাল না পকেটে পারে সেই সমস্ত মাথায় রেখেই এই নতুন নির্দেশিকার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে । এর আগে বেশ কয়েকটি মামলার তদন্তে পুলিশ দেখেছিলো দুষ্কৃতীরা হোটেলে ঘাঁটি গড়লেও তাদের সন্ধান পেতে বেশ দেরি হয়েছে । সেই কারণ বিশ্লেষণ করেই এই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে যান গেছে লালবাজার সূত্রে । এমনকি সম্প্রতি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যে ক্রাইম বৈঠক হয়েছে তাতেও দুষ্কৃতীদের এই ঘাঁটি যাতে না গর্তে পারে তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও থানার সেসব আধিকারিক এগুলোর ওপর নজরদারি করেন তাদের নিয়মিত হানা দিতে বলা হয়েছে সন্দেহজনক ও স্পর্শকাতর এলাকার হোটেলগুলোতে । ইতিমধ্যেই শহরের যে কোনও হোটেলে 'চেক ইন' করলে মানতে হচ্ছে নতুন নিয়ম ৷ নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কলকাতার সমস্ত হোটেলে থাকার আগে পূরণ করতে হয় 'সি-ফর্ম' ৷ এর ফলে ওই ব্যক্তির আগাম তথ্য চলে আসবে স্থানীয় থানায়। লালবাজারের যুক্তি কোন হোটেলে, কে এসে থাকছেন সেই সকল তথ্য রাখে স্থানীয় থানার। কিন্তু অনেক সময়ই এই তথ্য থাকে না তাদের কাছে । ফলে সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। তিনি আরও জানান ২৬ /গা চক্রী রাজারাম রেগেকেই মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা মুম্বই হামলায় মূলচক্রী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে ৷ সে ছিল শেক্সপিয়ার সারণির এক হোটেলে। আবার নিউ মার্কেটের এক হোটেলে উঠেছিল বাংদেশের সংসদ খুনে অভিযুক্ত আসামিরা । ঠিকসমসয়ে এই থতহয় পেলে মুবাই বা বাংলাদেশ ছুটতে হতো না পুলিশের । এই সকল ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য লালবাজার থেকে প্রস্তুত করা হচ্ছে এই বিশেষ ব্যবস্থার । কোনও ব্যক্তি কোন হটেলে থাকতে চাইছেন এবং কেন থাকত চাইছেন তার একটা নজরদারি থাকলে অনেকটাই সতর্ক থাকা যায় বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা । তাছাড়া কতদিন থাকবেন সেই তথ্যও জানাতে হবে। দিতে হবে সচিত্র পরিচয়পত্রও যা যাচাই করে নেওয়া হবে । নিয়মিত হোটেল ও থানায় পাঠানো এই তথ্য স্থানীয় থানায় থাকলে দ্রুত পদক্ষেপ কড়া সম্ভব হবে ও আগাম বিভিন্ন অপরাধ আটকানো যাবে বলে মনে করছে লালবাজার৷