৩৬৫ দিন। কামদুনির কেসে কত আইনজীবী বদলেছেন? ১৪ জন। ২০১৬ থেকে ২৩ কী কী ঘটেছে দেখুন। তারপরও আসামিরা বেকসুর খালাস। কামদুনির মামলায় তো সিবিআই তদন্ত করেনি। সেখানে তো তদন্ত করেছিল রাজ্য পুলিশ আর সিআইডি। আজ রাজ্য বিধানসভায় অপরাজিতা বিল ২০২৪ নিয়ে আলোচনার সময় এভাবেই সরাসরি কামদুনি মামলার প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
কিন্তু শুভেন্দুর কাছে কামদুনি মামলা নিয়ে যে সম্পূর্ণ তথ্য নেই তা রীতিমতো পরিসংখ্যান পেশ করে বিধানসভায় শুভেন্দু কে ভুল প্রমাণ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কামদুনি মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে মমতা বলেন, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৩ সালের ৭ জুন। চার্জশিট তিন সপ্তাহের মধ্যে দায়ের করে সিআইডি, ২৮ জুন। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হয় ১০ জুলাই। কিন্তু আদালত রায় দেয় ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি। আদালত আমাদের হাতে নেই, আপনাদের হাতে রয়েছে। তাই আপনাদের অনুরোধ করছি। আমরা ফাঁসি চেয়েছিলাম, কিন্তু কোর্ট শাস্তি দিয়েছিল। একজন মারা যায় বিচার চলাকালীন। তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড তিন জনকে যাবজ্জীবন এবং দু'জনকে খালাস করা হয়। যাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়, তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আবেদন জানাই। এর পর হাইকোর্ট ২০২৩ সালে দুই জনকে যাবজ্জীবন দেয়, একজনকে ছেড়ে দেয়, তিন জনকে সাত বছরের সাজা দেওয়া হয়। খালাস পেয়ে যাওয়া দুই জনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাই। সেটা এখনও ঝুলে রয়েছে। জবাব চেয়েছিলেন বিরোধীরা, আমি জবাব দিলাম।
পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং রাজ্য পুলিশ অপরাধীদের কঠোর শাস্তির সুপারিশ করার পাশাপাশি তদন্ত দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করলেও পুরো ব্যাপারটি যে আদালতের বিচারাধীন এবং আদালতের উপরে তৃণমূল বা মমতার সরকারের কোন হাত নেই সেই বিষয়টি উল্লেখ করে কিছুটা ব্যাঙ্গের সুরে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, কোর্টটা তো আমাদের হাতে নেই। কোর্টটাতো আপনাদের হাতে আছে। ওটা একটু দেখে নেবেন।
অন্যদিকে কামদুনি সহ বাংলার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে শুভেন্দু অধিকারী কিছু নিউজ পেপার কাটিং বলে দাবি করে কাগজপত্র স্পিকারের কাছে জমা দিলে মুখ্যমন্ত্রী স্পিকার এর উদ্দেশ্যে বলেন, স্পিকার এগুলো ক্রস চেক করবেন। এগুলো সব ফেক নিউজ। ঠিক তথ্য হলে আমার কোনও আপত্তি নেই। যদি এগুলো ভুল হয়, উস্কানিমূলক হয়, তাহলে স্পিকার ডিলিট করে দেবেন।
