৩৬৫ দিন। তফাৎটা এক মাসের! জুলাইতে র্যাবের যে হেলিকপ্টারকে দেখা গিয়েছিল হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের গুলি করে মারতে ব্যবহার হতে আগস্টের সেই হেলিকপ্টার এবং বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন বাহিনীকে দেখা গেল ভয়ংকর বন্যার হাত থেকে মা এবং শিশুকে বাঁচাতে। শেখ হাসিনার আমলে এবং তাঁর নির্দেশে যে র্যাবের হেলিকপ্টার শতাধিক মানুষের প্রাণ কাড়তে বড় ভুমিকা নিয়েছিল ইউনূসের আমলে সেই র্যাবের হেলিকপ্টার ত্রাতার ভুমিকায়। নিরন্তর আকাশ পথে উঠছে নামছে। প্রাণ বাঁচাচ্ছে হাজার হাজার বন্যা দুর্গত মানুষের। সম্প্রতি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে একটি ভিডিও সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ভয়ংকর বন্যার কবলে পড়া বাংলাদেশের ফেনী অঞ্চলে একজন মা এবং তার সদ্যোজাতকে উদ্ধার করছেন বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন বাহিনীর জওয়ানরা। বন্যার জলে দূর্গত এলাকায় পৌঁছতে সেখানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছে বাহিনীর হেলিকপ্টার। বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর র্যাবের একাধিক হেলিকপ্টার উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় পৌঁছতে একমাত্র ভরসা এই সমস্ত হেলিকপ্টার কয়েকশো মানুষকে ইতিমধ্যেই এর সাহায্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা গিয়েছে। অর্থাৎ প্রাকৃতিক বিপর্যয় এখন প্রাণ বাঁচানোর একমাত্র সহায় হলো হেলিকপ্টার। আর এখানেই আসছে তুলনা, জুন মাস থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশে সরকার বিরোধী হাসিনা বিরোধী আন্দোলন দমন করতে এই রেবের হেলিকপ্টারকে ব্যবহার করেছিলেন শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করতে এমনকি আন্দোলনকারীদের অনেকের অভিযোগ এই হেলিকপ্টারগুলো থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি বর্ষন করা হয়েছিল যাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। আন্দোলনে হাসিনা দেশ ছাড়া হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব এখন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। আর তার আমলে এইসব হেলিকপ্টারের ভূমিকাও বদলে গিয়েছে। প্রতিদিন তারা এখন মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছে। একনায়ক শাসকের কবল থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হবার সঙ্গে সঙ্গে সে দেশের প্রশাসন সেনাবাহিনীর সকলের ভূমিকা বদলে গিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্যায় যখন গোটা বাংলাদেশ জুড়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি তখন আরো বেশি করে মানবিক হয়ে উঠছে পুলিশ প্রশাসন।
