৩৬৫ দিন ।মা ফ্লাইওভার ও তার এ জেসি বসে রোডের ৱ্যাম্পে যানজটের ফলে ট্রাফিক বিভ্রাট আটকাতে এবার করা পদক্ষেপ করলো পুলিশ ।লালবাজারের তরফে শনিবার জানানো হয় গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণে খামতি বা গাফিলতির ফলে ব্রেকডাউন হলে বা সামান্য দুর্ঘটনার ফলে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে বিবাদ সৃষ্টি করা হয় তাহলে তা ট্রাফিক ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করার অপরাধ বলে গণ্য হবে ।এর ফলে তাদের বিরুদ্ধে ৫ হাজার টাকা বা তার বেশি টাকা ফাইন করা হবে ।এই সব রাস্তায় যানজট এড়াতেই লালবাজারের এই কড়া দাওয়াই বলেই মনে করা হচ্ছে।
লালবাজার সূত্রে জানানো গেছে এই দুই জায়গাতে যানজটের কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে অধিকাংশ খেতেই গাড়ির যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন না থাকায় হটাৎ করে তা খারাপ হয়ে দাঁড়িয়ে যায় উড়ালপুলের ওপরে ।যার ফলে যখন উড়ালপুলে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করে তখন এই ব্র্যাকডওন গাড়িটির জন্য তীব্র যানজট তৈরী হয় । নানা কারণে সেখান থেকে গাড়িটিকে সরানোও যায় না ফলে যানজট বেড়ে তীব্র আকার ধারণ করে যার ফল ভুগতে হয় অগুনতি মানুষকে ।একই ঘটনা ঘটে যখন সামান্য ধাক্কা লেগে গেলে গাড়ি থামিয়ে বিবাদমান হয় ২ পক্ষ ।এই যানজটের জের ছড়িয়ে পরে বাইপাস , এ জেসি বোস রোডেও । এই প্রবণতা কমাতেই মোটর ভেহিকেল আইনের ১৯০ ধারা অনুযায়ী ট্রাফিক বিঘ্নিত করার অপরাধেই এই বিপুল অংকের জরিমানা করা হবে ।উল্লেখ্য এখনো এই জরিমানা করা যেতে পারে কিন্তু তা আদলাওতে চ্যালেঞ্জের মুখে পরে । কিস্তু এটাকে যান চলাচল বিঘ্নিত করার মতো অপরাধ বলে চিহ্নিত করার ফলে এখন আর আইনি ভাবে বিরোধিতা করা যাবে না ।
ট্রাফিক দফতর সূত্রে খবর এই ফ্লাইওভার মূল সমস্যা এর দৈর্ঘ্য ও একাধিক ট্রাফিক গার্ডের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা । সাউথ , ভবানীপুর, ইস্ট ও তিলজলা গার্ড মাইল এই ৯.২ কিমি লম্বা এই ফ্লাই ওভার নিয়ন্ত্রণ করে । রাতের দিকে এই ফ্ল্যভারের এস এস কে এম হাসপাতালের দিকে ও উল্টোডাঙ্গাগামী ও গড়িয়াগামী মুখে নাক চেকিং থাকলেও ওপরে সেরকম কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না ।সমস্যা শুরু এখানেই ।রবীন্দ্রসদন থেকে উচ্চ গতিতে গাড়ি চলে এই ফ্লাইওভারে যার জেরে দুর্ঘটনা ঘটে । এছাড়াও অতিরিক্ত বাঁক থাকার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে । ইতিমধ্যে ফ্লাইওভারের নানা জায়গায় দুর্ঘটনাঘটলে ১০৭৩ নম্বরে ফোন করে জানানোর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া আছে । কিন্তু কোনো একটি অজ্ঞাত কারণে ফ্লাই ওভারের ওপর নজরদারি করছে না পুলিশ । এই নিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট গার্ডগুলির থেকে সমাধানের সূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে যার ফলস্বরূপ এই নয়া ফরমান । ট্রাফিক আধিকারিকদের আশা এই জরিমানার ভয়ে এবার এই ছোটোখাটো বিষয়গুলি এড়িয়েই চলবে গাড়ির মালিক ও চালকেরা ।