৩৬৫ দিন। এদিন পলিগ্রাফে সম্মতি দিলো আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে কড়া নিরাপত্তায় শুক্রবার তাকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সুতরাং আর কোনও বাধাই থাকল না। ফলে এদিন সিবিআই এর হেফাজত থেকে তাকে জেল ফেফাজতে পাঠানো হলে সেখানেই তার পলিগ্রাফ পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হলো ।তবে সাক্ষী ৪ পড়ুয়া সহ সন্দীপ ঘোষ ও সঞ্জয়ের বন্ধুর সম্মতি না মেলাতে এই ৫ জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা তাদের সম্মতি না পেলে এখনই করা হবে না । এদিন সঞ্জয়কে শিয়ালদাহ আদালতে পেশ করে সিবিআই জানায় যে তাদের আর সঞ্জয়কে হেফাজতে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই ।ফলে তাকে আগামী ১৪ দিন তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই রাখা হবে তাকে। জেল হেফাজতে থাকাকালীন তাকে এই পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর হবে। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে তাদের হেফাজতে থাকাকালীন এক এক সময় এক এক রকম তথ্য দিয়ে সিবিআইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে সঞ্জয়। হাসপাতালে ঢোকার কারণ, হাসপাতালে ঢোকার সময়, হাসপাতালের সেমিনার হলে ঢোকার কারণ নিয়েও নাকি সঞ্জয় বার বার বিভ্রান্ত করছে বলেই খবর।ফলে কোনটা সত্যি বা যে তথ্য সে দিয়েছে তা কতটা সত্যি ও সে কোনো ঘটনা চেপে যাচ্ছে কিনা তা হ্যাঁর জন্যেই তার পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে মরিয়া সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর পলিগ্রাফে সঠিক উত্তর না পেলে প্রয়োজনে সঞ্জয়ের নার্কো পরীক্ষাও করা যেতে পারে। তবে এই পরীক্ষার জন্য যেহেতু অভিযুক্তর সম্মতি প্রয়োজন।উল্লেখ্য সঞ্জয়কে আদালতে কোনো আইনজীবী সাহায্য করতে এগিয়ে না আসাতে নিয়ম অনুযায়ী লিগ্যাল সার্ভিসেস থেকে তাকে আইনজীবী দেওয়া হয়েছে কারণ নিয়মানুসারে সব অপরাধীরই শাস্তিবিধানে নির্দিষ্ট বি যেন এস এস এর পদ্ধতির মাধ্যমেই বিচার করতে হবে।একই কারণে মুম্বাই এর হামলাকারী কাসাবের ক্ষেত্রেও আইনজীবী দেয়া হয়েছিল রাজ্য থেকেই। উল্লেখ্য গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে। গত ১৩ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্ত শুরু করার পর সঞ্জয়কে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই।
