কলকাতা পুরসভার সাফল্য
৩৬৫ দিন।বৃহস্পতিবার কলকাতায় প্রায় ৩৮ মিমি বৃষ্টি হওয়াতেও সেরকম ভাবে জলমগ্ন হয়নি শহর ।স্বাভাবিক ছিল যানচলাচল।অধিকাংশ রাস্তাতেও সামান্য কিছুক্ষনের জলজমলেও তা যান চলাচলে কোনো বিপত্তি সৃষ্টি করেনি ।কলকাতা ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে জলজমার ফলে দু একটি ক্ষেত্রে কিছুক্ষনের জন্য যান চলাচল নির্ধারিত পথের বদলে চালাতে হলেও এই ডাইভারশন বেশিক্ষন করতে হয়নি ।পুরসভা সূত্রে জানান গেছে সবকটি পাম্প ঠিকভাবে কাজ করতে ও আগে থেজে নালা ও গালিপিট পরিষ্কার রাখতেই জলজমা রাখা গেছে ।তবে এই হারে বৃষ্টি চললে এই রেকর্ড ধরে রাখা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান নিকাশি দফতরের কর্মীরাই । সাধারণত কলকাতায় ৭০ মিমি বৃষ্টি হলেই বেশ কিছু রাস্তা যেমন ঠনঠনিয়া, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর বেশ কিছু জায়গাতে জল দাঁড়িয়ে যায় ।মুক্তারামবাবু স্ট্রিট সহ বড়বাজারের কিছু জায়গায় জল জমে ।স্থানীয় ও পুরসভা সূত্রে খবর এবার সেসব জায়গাতেও জল জমলেও এই বৃষ্টিতে যতটা হওয়ার কথা ততটা দাঁড়ায় নি ।পুরসভার নিকাশি বিভাগের পরিষদ তারেক সিং জানিয়েছেন তারা বৃষ্টির মধ্যে পাম্প করার সমসয় পাচ্ছেন বলে জল জমা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন । ওই দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন হুগলি নদীতে বেড়ে যাওয়া জলস্তর সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।তবে নিকাশি দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে জল নামানোর কাজে রয়েছেন ও তাদের সবারই ছুটি বাতিল হয়েছে । পুরসভার নিকাশি দফতর সূত্রে খবর,বৃষ্টির সময় জোয়ার থাকায় গঙ্গার জলস্তর বেশি ছিল৷ বিকেল পর্যন্ত লকগেট বন্ধ থাকার কারণে বেশ কিছু এলাকায় জল জমে যায়। লকগেট খুলে দেওয়ার পর জমা জল নামতে শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য মূল রাস্তায় জল সরে যায়।নিকাশি দফতরের দাবি,সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তবে তা কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শহরের সর্বত্র জল নামানো গেছে । এমিনিতে টানা বৃষ্টিতে উত্তর কলকাতার কয়েকটি জায়গায় জল নিয়মিত জলজমার ইতিহাস রয়েছে । ঠনঠনিয়া, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে জমা জলে সমস্যায় পড়েন স্থানীয়রা।ফলে পোর্টেবল পাম্প বসিয়ে দ্রুত জল নামানোর পরিকাঠামো পুরসভার। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল সূত্রে খবর, উত্তর ও মধ্য কলকাতার কয়েকটি জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়লেও তা দ্রুত নেমে গেছে ।আজ শহরের সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঠনঠনিয়ায় ও সেন্ট্রাল এভিনিউ সংলগ্ন এলাকায়। মানিকতলায় বৃষ্টি হয়েছে একটু কম । এছাড়া চিংড়িঘাটাতে ৫৯ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সারা দিন ধরে এই বৃষ্টিতে তবে নাজেহাল শহর কলকাতা৷ কলকাতায় ভারী বৃষ্টি বৃহস্পতিবারের পর কিছুটা কমে আসবে বলেই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের । হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবার। শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের ৪টি জেলাতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টি কমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।তবে তার আগে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার কিন্তু কলকাতা ভারী বৃষ্টি পাবে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে জুনের শুরু থেকেই প্রবল বর্ষণ চলছে। চলতি সপ্তাহেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে ।