৩৬৫ দিন। পাত্থর গ্যাঙের আঘাতে বাঁ চোখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ইস্ট ডিভিশনের সাইবার সেলের আধিকারিক দেবাশীষ চক্রবর্তী সেরে উঠছেন।তবে শুক্রবারও ডাক্তাররা তা চোখ সেরে উঠলেও দৃষ্টি কতটা ফিরে আসবে তা নিয়ে কোনো আশারবাণী শোনাতে পারেননি তার পরিবার বা সতীর্থদের । তবে দেবাশীষ প্রাথমিক শক কাটিয়ে উঠে এখন বেশ চাঙ্গা আছেন । দেখা করছেন আত্মীয়স্বজন সহ বন্ধুদের সঙ্গে । তবে তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলাতে মানা রয়েছে চিকিৎসকদের ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেবাশীষের এক বন্ধু জানিয়েছেন দেবাশীষ সাইবার এর কাজে যথেষ্ট পটু ছিলেন । কিন্তু এখন সে ওই কাজ কতটা করতে পারবে তা নিয়ে তারাও চিন্তায় আছেন । দেবাশীষ তার ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছে তার এখন প্রধান চিন্তা তার বাঁ চোখের জন্য তার ডান চোখে যেন ক্ষতি না হয় । তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সে সম্ভাবনা সামনেও থাকলেও এখনই দেবাশীষের ডান চোখের দৃষ্টির ওপর সেরকম কোনো বিরূপ প্রভাব দেখা যায়নি। তবে রেটিনা খারাপ হয়ে যাওয়ার ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে । দেবাশীষ এর পরিবারের এক সদস্য জানান তিনি টিভিতে প্রথমে তার রক্তমাখা মুখ দেখে প্রথমে চিনতেই পারেননি ।পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন দেবাশীষের সঙ্গেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।তবে ময়দান থানাতে রুজু হওয়া দেবাশীষের ওপর আক্রমণের ঘটনাতে ৩ জনের গ্রেফতারির খবরও সে জেনেছে । তবে তার প্রতি হওয়া ঘটনার প্রতিবাদে যেভাবে পুলিশের সমস্ত স্তরের কর্মীরা তাদের ডিপি বদলে বা সংগঠনের ডিজিটাল ইমপ্রিন্টে তার ছবি দিয়ে যে প্রতিবাদ করছেন তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাদের কাছে। একই সঙ্গে তাকে কলকাতা পুলিশের মতো সংগঠনের প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠতে পেরেছেন তার জন্য তিনি সব স্তরের আধিকারিকদের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বলেও জানা গেছে তার ঘনিষ্ঠ সতীর্থদের কাছ থেকে ।
শুক্রবার বাই পাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের চারতলায় একটি কেবিনে শুয়ে দেবাশীষকে আগের থেকে অনেকটাই চাঙ্গা রয়েছেন বলে জানালেন তার আত্মীয়স্বজনরা ও বন্ধুরা । যদিও তার সঙ্গে পরিবারের খুব ঘনিষ্ট ও কর্মস্থলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ছাড়া কাউকেই তার ঘরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না । বাকিদের ঘরের দরজার বাইরে থেকেই দেখার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে । হটাৎ করে কেউ যাতে তার ঘরে না ঢুকে যায় তার জন্য ২৪ ঘন্টা দরজার বাইরে কলকাতা পুলিশের একজন পুরুষ ও মহিলা রক্ষী থাকছে সাদা পোশাকে।
