ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে লালবাজার প্রমাণ করে দিল
৩৬৫ দিন।দিনভর আর জি করের ক্রাইম সিনে প্রচুর লোকের জমায়েত হয়েছিল বলে যে ইলেকট্রনিক , সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার ( খবর ৩৬৫ দিন বাদে ) একাংশ দিনভর যে ফুটেজ দেখাচ্ছে তা সম্পূর্ণ অসত্য বলে সোমবার জানিয়ে দিলো লালবাজার।সম্প্রতি প্রকাশিত ১৮ দফা নির্দেশিকা অনুসারেই প্রেস ব্রিফ করে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে একথা জানান ডিসি ( সেন্ট্রাল ) ইন্দিরা মুখার্জি ।একই সঙ্গে লালবাজারের তরফ থেকে বিশদে জানিয়ে দেওয়া হয় সেদিন পুলিশ তদন্ত ঠিক কিভাবে করা হয়েছিল ।তিনি জানান যেখানে দেহ পাওয়া গেছিলো মৃতার সেখান থেকে ৪০ ফুট এক্কেবারে সিল করে রাখা হয়েছিল ।ফলে ঘটনাস্থল থেকে ক্লু ও প্রমান গায়েব হয়ে গেছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা গুজব ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তা ছড়ানো হচ্ছে বলেই জানালেন তিনি । এদিন ডিসি সেন্ট্রাল জানান সেদিন যেখানে ঘটনা ঘটেছিলো তার কিছুক্ষনের মধ্যেই সেই জায়গা বা পিও ( প্লেস ওফ অকারেন্স ) এর প্রচুর লোক জমা হয়েছিল বলে যে দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন মিডিয়াতে তা সম্পূর্ণ ভুল ।তিনি বলেন যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে তার ৪০ ফিটের মধ্যে শুধুমাত্র তদন্তকারী ও মৃতার মা ও বাবা ছাড়া কেউ যেতে পারেনি ।এছাড়াও ঘটনার পরেই সেখানে আইনজীবী সহ প্রচুর লোক উপস্থিতিত হয়েছিল বলে যা দেখানো হচ্ছে তাও একেবারেই ঠিক নয় বলেই জানিয়েছেন ডিসি সেন্ট্রাল ।এছাড়াও ওই ভিডিও মোটেই ঘটনার পরের নয় । ভিডিওটি প্রায় বিকেল ৩ টের পরের অর্থ্যাৎ মৃতার দেহ যখন পোস্ট মর্টেমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই সময়ের বলেও দাবি করা হয় পুলিশের তরফে। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাস্থলে ঢোকার একটি মাত্র দরজা খোলা ছিল । তিনি জানান ওই ঘরটি ৫১ ফুট লম্বা ও ৩৫ ফুট চওড়া ।দরজা দিয়ে ঢুকে মাত্র ১০ ফুট খালি রেখে বাকিটা বন্ধ করা ছিল ভিউ কাটার দিয়ে ।সেখানেএই সানাইটাইজ এলাকার বাইরেই মৃতার বাবা ও মা এসে মেয়েকে সনাক্ত করে এসে বসেন ।পুলিশ জানিয়েছে ওই ১০ ফিটের মধ্যে কয়েকটি চেয়ার রাখা ছিল সেখানেই মৃতার বাবা ও মা বসেন ।ফলে ঘটনাস্থল একবারে সিল করা ছিল ।এমনকি সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পরেও তারা যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে সেইভাবেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কলকাতা পুলিশ ওই ক্রাইম সিন্ এক্কেবারে ঘিরে রেখেছে ।ফলে প্রমান লোপাটের যে অভিযোগ উঠছে তা একেবারে অমূলক ও ভিত্তিহীন ।ডিসি সেন্ট্রাল আরও জানান সেমিনার রুমে পড়েছিল মৃতার দেহ।৪০ ফুট দূরে বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর বাবা-মা। সাড়ে তিন ঘণ্টার অপেক্ষা।প্লেস অফ অকারেন্সে প্রবেশ ‘নিষিদ্ধ’ ছিল সবারই। এদিন পুলিশের তরফে ফের আবেদন জানানো হয় যে ভুল বা মিথ্যে ভিডিও , ছবি বা অডিও যাতে কোনো প্রচারমাধ্যমের প্রকাশ না করা হয়। এদিন পুলিশ আরও জানিয়েছে ঘটনার দিন একতলার টালা থানার ফাঁড়ি খবর পায় সকাল ১০: ১০ নাগাদ।তারা ১০;১৫ নাগাদ উপরে সেমিনার হলে যায় ও সেটিকে সুরক্ষিত করে ।পুলিশ জানায় দেহটি সৌমিত্র রায় বলে এক জুনিয়র ডাক্তার সকাল ৯.৪০ নাগাদ দেহটি প্রথম দেখে ।তারপর সে নানা লোককে ফোন করে ও অবশেষে ১০ ১০ নাগাদ পুলিশ খবৰ পায় ।পুলিশ যখন সেখানে পৌঁছয় তথন সেখানে সৌমিত্র একাই ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে সে । এরপর দুপুর ১ টা নাগাদ মৃতার মাং ও বাবা এক আত্মীয়কে নিয়ে সেখানে আসে ।সেই সময় তারা মিনিট ১০ মৃতকে দেখে কান্নায় ভেঙে পরে । এরপর বেলা ৩.৩০ নাগাদ দেহটিকে নিয়ে যাওয়া হয় পোর্স্ট মর্টেমে এর জন্য ।এই পুরো ঘটনার ৪ জন জুনিয়র ডাক্তার সহ মৃতার পরিবারের ৩ জন সাক্ষী রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ ।ফলে কোনো অবস্থাতেই ক্রাইম সিম থেকে কোনো ক্লু লোপাট হয়নি বা একাধিক ব্যক্তি গিয়ে ক্রাইম সিন্ নষ্ট করে দিয়েছে বলে যে তথ্য ছড়ানো তা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত বলেই জানাচ্ছে পুলিশ ।