৩৬৫ দিন। কেন্দ্রের একের পর এক ভুল অর্থনীতির ফলে মূল্যবৃদ্ধি উর্ধমুখী ।তার খাড়া এসে পড়েছে স্বাস্থ্য বীমার ওপরেও । স্বাস্থ্যবীমার প্রিমিয়াম এর ওপর ১৮ % জি এস টি বসানোতে বীমার প্রিমিয়াম আরও বেশি হওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় ।প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে তৃণমূল বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি । স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়ামে ১৮ % জি এস টি নেওয়ার সরাসরি বিরোধিতা করে ও তা প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার তার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি । তার নির্দেশেই সংসদের উভয় কক্ষেই এই নিয়ে সরব হচ্ছেন তৃণমূলের সাংসদরাও। মমতার সাফ যুক্তি রোগের মতো বিপদ থেকে বাঁচতে যে চিকিৎসা প্রয়োজন তাতে কেন এতো বেশি হারে জিএসটি কেন দিতে হবে মানুষকে ।তার দাবি স্বাস্থ ও জীবনবীমা থেকে এই হারে কর অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক । তার সুরেই সংসদে তৃণমূলের দাবি একই মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে নাগরিকদের । এঅবস্থায় আবার স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়ামে ১৮ % জি এস টি চাপালে অনেক বেশি টাকা দিতে হবে।ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায় ফের জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল।সাংসদ সাকেত গোখেল তার বক্তব্যে প্রিমিয়ামের ওপর ১৮ % হারে কর নেওয়ার প্রবল প্রতিবাদ করেন। তৃণমূলের সাংসদের বক্তব্য স্বাস্থ্য সমস্ত নাগরিকের অধিকার ।সেই চিকিৎসার জন্য যে প্রিমিয়াম দেওয়া হচ্ছে তার ওপরে এই ১৮ % জি এস টি চাপানোতে প্রিমিয়াম বাড়ছে অনেকটাই । তৃণমূল সাংসদের জোরালো যুক্তি স্বাস্থ্যের অধিকার যখন প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পরে সেখানে এইভাবে প্রিমিয়ামের বৃদ্ধি হওয়ার ফলে অসুবিধায় পড়বেন সকলেই ।তৃণমূলের দাবি স্বাস্থ্যের মতো ন্যূনতম পরিষেবা পেতে কেন এতো খরচ করতে হবে।তিনিও এই কর প্রত্যাহারের দাবি তোলেন। তার যুক্তি এর ফলে চিকিৎসাবীমা আরও দামি হয়ে পড়বে ও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে । আর তাই জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের উপর থেকে জিএসটি তুলে নেওয়ার বা অন্তত ন্যূন্যতম করার আর্জি জানালেন এই সাংসদ।এই পুরো বিষয়টার গুরুত্ব অনুধাবন করেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালো মমতা । রাজ্যসভায় সাকেত উল্লেখ করেন মমতার নির্দেশে এই বিষয়টি ২৯ তারিখেও তিনি উত্তাপন করেছিলেন ও এই হার যাতে কমানো হয় তার জন্য জোরালো দাবিও তুলেছিলেন তিনি । কিন্তু সরকার এই নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য না করাতেই বারবার বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হচ্ছে তাদের । উল্লেখ্য ভাজপার প্রবীন নেতা নীতিন গড়করিও বিষয়টি মানুষের বিপক্ষে যাচ্ছে বুঝে তৃণমূলের সুরেই ৩০ জুলাই তার দলের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামানকে চিঠি পাঠিয়ে এই কর কমানোর করতে অনুরোধ করেছেন ।
