সিপির দাবি, আরজি কর প্রসঙ্গে গুজব ছড়াচ্ছে
৩৬৫ দিন। আর জি করে ঠিক কত টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে বাম রামের পৃষ্ঠপোষকতায় পাঠানো তান্ডবকারীরা তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং ।এদিন মৌলালির মিছিল থেকে তার দাবি প্রায় ১০০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বাম রামের রাজনীতি করার এই তান্ডবে। আর তার ফল ভুগতে হবে এই হাসপাতালের ওপর নির্ভর করে থাকা উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার আর্থিকভাবে দুর্বল রোগীরা।প্রতিদিন প্রায় ৭০০ রোগী আউটডোর ও প্রায় ২০০ রোগী ইনডোরে ভর্তি হয় এই হাসপাতালে । বারাসাত জেলা হাসপাতাল থেকে রাজারহাট পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালের রেফারাল হাসপাতাল এর রোগীরা এই হাসপাতালে আসেন জটিল রোগীর চিকিৎসায় । এছাড়াও শহর কলকাতা সহ শহরতলীরও চিকিৎসায় ভরসা ছিল এই হাসপাতাল ।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে ইমার্জেন্সি সহ নেওনাটাল ইউনিট এর সব ইউনিটেই ভাঙচুর করা হয়েছে । মূলত এমার্জেনসিতে বেসরকারি হাসপাতালের সমকক্ষ করে গড়ে তোলা হয়েছিল আর জি করে । সে সব গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । এমনকি এমার্জেন্সি ও শিশুদের ওষুধ রাখার জন্য দামি ফ্রিজ সহ বেশ কিছু যন্ত্র ভাঙচুর করা হয়েছে।অন্যদিকে শুধু যন্ত্রপাতিই নয় বহু কর্মচারীদেরও এই ঘটনার ফলে অনেকটাই হতোদ্যম হয়ে পড়েছেন । স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার হাসপাতালের প্রিন্সিপাল দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও থাকার ফলে অসুস্থবোধ করেন। তাই শুক্রবার আর তিনি কলেজে আসেননি। আপাতত কিছুদিন তিনি ছুটিতেই থাকবেন। এর মধ্যেই স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ফোনে উপাধ্যক্ষকে জানিয়ে দেন বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে কোনও রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারলে তাঁকে নিকটবর্তী এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দিতে হবে। সেই অনুযায়ী এই তিনটি হাসপাতালকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ফলে চাপ বাড়বে বাকি হাসপাতালের ওপরেও ।
পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের প্রেস বৈঠকশুক্রবার পুলিশ কমিশনার ফের জানান ঘটনা নিয়ে অকারণ গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।এর ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে ও তদন্ত ব্যাহত হয়েছিল ।তিনি জানান বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারেও তৎপর পুলিশ। তবে এক্ষেত্রে আমজনতা ও সংবাদমাধ্যমের কাছেও দোষীদের চিহ্নিত করার আবেদন জানালেন তিনি। সিপি বলেন আমরা আমাদের ফেসবুকে পেজে সেদিনের ঘটনার ভিডিয়ো দিয়ে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। আপনারা নিজেরাও সেটা শেয়ার করেছেন। আপনাদের কাছেও অনুরোধ তাদের মধ্যে যদি কাউকে নিজেরা শনাক্ত করতে পারেন, তাহলে নির্দ্বিধায় আমাদের জানান। উঠে, কোনও ভয় না পেয়ে আমাদের জানাবেন। অভিযুক্ত যদি কোনও রাজনৈতিক নেতাও হন, তাহলেও নির্দ্বিধায় জানাবেন। তিনি আরও বলেন বৃহস্পতিবার রাতে যখন আরজিকরের সামনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল, তখনই আন্দোলনকারীদের বেশে হাসপাতালে ঢুকে পড়ে হাজার হাজার দুষ্কৃতী। চলে বেপরোয়া তাণ্ডব।তাতে প্রাথমিক ভাবে বেসামাল হলেও পরে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে তারা ।